শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

ভোগান্তিতে মেট্রোরেলযাত্রীরা

#
news image

ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মেট্রোরেলের যাত্রীরা। হঠাৎ করেই চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার চলাচল বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে মেট্রোরেলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যান্ত্রিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে চলাচল। যাত্রীরা বলছেন, কতটা সময় চলাচল বন্ধ থাকতে পারে সে ব্যপারে কোনো ধারণাই দিতে পারেনি স্টেশনের কেউ। ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর স্টেশনের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় ‘যাদের জরুরি কাজ রয়েছে তারা বিকল্প উপায়ে চলে যেতে পারেন’। শনিবারও (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটেছে এমন ঘটনা। প্রায় এক ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী। কর্তৃপক্ষ বলছে, দরজায় সমস্যা দেখা দেয়ায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীলরা জানান, বেলা ২টা ৩৮ মিনিটের দিকে উত্তরা স্টেশনে রেলে দরজায় সমস্যা দেখা দেয়। দরজাগুলো স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক ডোর) হওয়ায় সেটি জোর করা যায় না। অটোমেটিক ডোরগুলোর সিগন্যাল দেয়া হয় টিও কক্ষ (ট্রেন অপারেটর) থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, অটোমেটিক ডোরে যাত্রীরা বাধা তৈরি করেছেন এবং জোর করে দরজা টেনে খুলে রেখেছেন। ট্রেন অপারেটর (অটোমেটিক্যালি) চেষ্টা করেছে দরজা বন্ধ করার। কিন্তু সেটি বন্ধ করতে পারেনি। এ কারণে সিগন্যাল লস করেছে। সিগন্যাল না পাওয়ায় দরজা খুলছে না। যার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে সেটি মেরামত করা হয়। পরে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গতকাল শেওড়াপাড়া স্টেশনে আমিনুদ্দিন নামে একজন নিয়মিত যাত্রী বলেন, ঢাকাবাসীর জন্য মেট্রোরেল আশীর্বাদস্বরূপ। কিন্তু সেটাও এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঢাকার প্রায় প্রতিটি মানুষই প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হন। মেট্রোরেলে শেওড়াপাড়া থেকে সচিবালয় স্টেশন (প্রেস ক্লাব) যেতে সময় লাগে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। তাই ওই সময় হাতে নিয়েই বের হয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েক দিন যাবত মেট্রোরেল ঠিক মতো না চলায় স্টেশনে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

আবুল  আলম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ট্রেনে সমস্যার সৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু স্টেশন থেকে এ ব্যাপারে কোনো ধরনের তথ্য দিয়ে যাত্রীদের সহযোগিতা করা হয় না। আনসার বা পুলিশ সদস্যরা কিছুই বলতে পারেন না। আর স্টেশনে দায়িত্বরতদেরও নাগাল পাওয়া যায় না। এ দিকে এই আসে এই আসে ভেবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকার পর মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাদের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে তারা কার্ড জমা দিয়ে ভাড়ার টাকা নিয়ে বিকল্প উপায়ে চলে যেতে পারেন। সেই ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গত দুই সপ্তাহ নানা কারণে কয়েকবার মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ দিকে, যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় গতকাল থেকে পিক আওয়ারে ১০ মিনিটের স্থলে ৮ মিনিট পর পর চলাচল করছে মেট্রোরেল।

নাগরিক প্রতিবেদন

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  5:07 PM

news image

ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মেট্রোরেলের যাত্রীরা। হঠাৎ করেই চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার চলাচল বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে মেট্রোরেলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যান্ত্রিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে চলাচল। যাত্রীরা বলছেন, কতটা সময় চলাচল বন্ধ থাকতে পারে সে ব্যপারে কোনো ধারণাই দিতে পারেনি স্টেশনের কেউ। ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর স্টেশনের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় ‘যাদের জরুরি কাজ রয়েছে তারা বিকল্প উপায়ে চলে যেতে পারেন’। শনিবারও (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটেছে এমন ঘটনা। প্রায় এক ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী। কর্তৃপক্ষ বলছে, দরজায় সমস্যা দেখা দেয়ায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীলরা জানান, বেলা ২টা ৩৮ মিনিটের দিকে উত্তরা স্টেশনে রেলে দরজায় সমস্যা দেখা দেয়। দরজাগুলো স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক ডোর) হওয়ায় সেটি জোর করা যায় না। অটোমেটিক ডোরগুলোর সিগন্যাল দেয়া হয় টিও কক্ষ (ট্রেন অপারেটর) থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, অটোমেটিক ডোরে যাত্রীরা বাধা তৈরি করেছেন এবং জোর করে দরজা টেনে খুলে রেখেছেন। ট্রেন অপারেটর (অটোমেটিক্যালি) চেষ্টা করেছে দরজা বন্ধ করার। কিন্তু সেটি বন্ধ করতে পারেনি। এ কারণে সিগন্যাল লস করেছে। সিগন্যাল না পাওয়ায় দরজা খুলছে না। যার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে সেটি মেরামত করা হয়। পরে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গতকাল শেওড়াপাড়া স্টেশনে আমিনুদ্দিন নামে একজন নিয়মিত যাত্রী বলেন, ঢাকাবাসীর জন্য মেট্রোরেল আশীর্বাদস্বরূপ। কিন্তু সেটাও এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঢাকার প্রায় প্রতিটি মানুষই প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হন। মেট্রোরেলে শেওড়াপাড়া থেকে সচিবালয় স্টেশন (প্রেস ক্লাব) যেতে সময় লাগে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। তাই ওই সময় হাতে নিয়েই বের হয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েক দিন যাবত মেট্রোরেল ঠিক মতো না চলায় স্টেশনে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

আবুল  আলম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ট্রেনে সমস্যার সৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু স্টেশন থেকে এ ব্যাপারে কোনো ধরনের তথ্য দিয়ে যাত্রীদের সহযোগিতা করা হয় না। আনসার বা পুলিশ সদস্যরা কিছুই বলতে পারেন না। আর স্টেশনে দায়িত্বরতদেরও নাগাল পাওয়া যায় না। এ দিকে এই আসে এই আসে ভেবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকার পর মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাদের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে তারা কার্ড জমা দিয়ে ভাড়ার টাকা নিয়ে বিকল্প উপায়ে চলে যেতে পারেন। সেই ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গত দুই সপ্তাহ নানা কারণে কয়েকবার মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ দিকে, যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় গতকাল থেকে পিক আওয়ারে ১০ মিনিটের স্থলে ৮ মিনিট পর পর চলাচল করছে মেট্রোরেল।