পাচারের শিকার অসহায়দের সামাজিক  অবস্থান তৈরীর লক্ষ্যে ঝিনাইদহে  ‘আশ্বাস' প্রকল্পের অবহিতকরণ 

#
news image

পাচারের শিকার অসহায় নারী-পুরুষদের নতুন একটা সামাজিক অবস্থান তৈরীর লক্ষ্য নিয়ে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে আশ^াস প্রকল্পের কাজ। বুধবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ঢাকা আহছানিয়া মিশন’র বাস্তবায়নে আশ্বস ফেজ ২ এর প্রকল্প সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ূম দুলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম জেলা জজ গোলাম নবী, আহছানিয়া মিশনের টিমলিডার শেখ মহব্বত হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার রামপ্রসাদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকল্পের কেস ম্যানেজার ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অফিসার রওশন আরা খাতুন।

অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়, সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসির অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল সহযোগিতায় ঝিনাইদহে গত ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলবে ২০২৭ সালের মে মাস পর্যন্ত। ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। পাচারের শিকার একজন সার্ভাইভারের মানসিক, শারিরিক চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও  কর্মমূখী শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানোই এর মূল লক্ষ্য। উল্লেখ্য, ঢাকা আহছানিয়া মিশন "স্রস্টার সেবা ও সৃষ্টির এবাদত " এই  আপ্তবাক্য ধারণ করেই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। পাচারের শিকার প্রতারিত অসহায় মানুষের জন্য সহযোগিতা, ক্ষেত্র বিশেষে আশ্রয় ও পূনর্বাসনের মতন গুরুত্বপূর্ণ কাজ ১৯৯৭ সাল থেকে ঢাকা আহসানিয়া মিশন বাস্তবায়ন করে চলেছে। আশ্রয়হীন মানুষের জন্য তাদের রয়েছে ঠিকানা শেল্টার হোম। এছাড়া মানুষকে কর্মমূখী শিক্ষাদানে তাকে কর্মের উপযোগী করে তোলার জন্য রয়েছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবারে ঝিনাইদহে পাচারের শিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য ‘আশ্বাস’ ফেজ-২ এ কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি।

 

 

দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  5:32 PM

news image

পাচারের শিকার অসহায় নারী-পুরুষদের নতুন একটা সামাজিক অবস্থান তৈরীর লক্ষ্য নিয়ে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে আশ^াস প্রকল্পের কাজ। বুধবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ঢাকা আহছানিয়া মিশন’র বাস্তবায়নে আশ্বস ফেজ ২ এর প্রকল্প সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ূম দুলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম জেলা জজ গোলাম নবী, আহছানিয়া মিশনের টিমলিডার শেখ মহব্বত হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার রামপ্রসাদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকল্পের কেস ম্যানেজার ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অফিসার রওশন আরা খাতুন।

অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়, সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসির অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল সহযোগিতায় ঝিনাইদহে গত ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলবে ২০২৭ সালের মে মাস পর্যন্ত। ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। পাচারের শিকার একজন সার্ভাইভারের মানসিক, শারিরিক চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও  কর্মমূখী শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানোই এর মূল লক্ষ্য। উল্লেখ্য, ঢাকা আহছানিয়া মিশন "স্রস্টার সেবা ও সৃষ্টির এবাদত " এই  আপ্তবাক্য ধারণ করেই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। পাচারের শিকার প্রতারিত অসহায় মানুষের জন্য সহযোগিতা, ক্ষেত্র বিশেষে আশ্রয় ও পূনর্বাসনের মতন গুরুত্বপূর্ণ কাজ ১৯৯৭ সাল থেকে ঢাকা আহসানিয়া মিশন বাস্তবায়ন করে চলেছে। আশ্রয়হীন মানুষের জন্য তাদের রয়েছে ঠিকানা শেল্টার হোম। এছাড়া মানুষকে কর্মমূখী শিক্ষাদানে তাকে কর্মের উপযোগী করে তোলার জন্য রয়েছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবারে ঝিনাইদহে পাচারের শিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য ‘আশ্বাস’ ফেজ-২ এ কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি।