মির্জাগঞ্জে মাটিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

#
news image

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পরিত্যক্ত ভিটা (ছাড়াভিটা) থেকে মাটিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।  শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত মরদেহটির পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে স্থানীয় কৃষক ফারুক মৃধা তার ধানক্ষেতে গিয়ে ফসল এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান। এতে তিনি রাগান্বিত হয়ে কিছু সময় ডাকাডাকি করে তার প্রতিবেশি তথা বোন জামাই আঃ আজিজ আকনের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান এবং তাকে ক্ষেত দেখাতে নিয়ে আসেন। এসময় তারা ক্ষেতের মাঝখানে চলার পথের মতো দেখতে পেয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে। পরে তারা ক্ষেতের পশ্চিম পার্শ্বে একটি পরিত্যক্ত ছাড়াভিটায় মাটিচাপা দেওয়ার মতো দেখতে পান।

উল্লেখ্য যে,ঐ ছাড়াভিটা তথা জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আঃ মান্নান,পিতা আঃ রকমান হাওলাদার। বিষয়টি তারা স্থানীয় জলিল মেম্বারের ছেলে সাগর চৌকিদারকে জানালে তিনি লোকজন নিয়ে এসে বিষয়টি দেখে সন্দেহজনক মনে হলে থানা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে এক নারীর মরদেহ দেখতে পান। পুলিশের কাছে বিষয়টি চাঞ্চল্যকর মনে হলে তারা সিআইডি ও পিবিআইকে জানান। সিআইডি ও পিবিআই এসে লাশের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেও প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। পরে তারা প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন,
"ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।"

মোঃ শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩,  9:02 PM

news image

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পরিত্যক্ত ভিটা (ছাড়াভিটা) থেকে মাটিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।  শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত মরদেহটির পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে স্থানীয় কৃষক ফারুক মৃধা তার ধানক্ষেতে গিয়ে ফসল এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান। এতে তিনি রাগান্বিত হয়ে কিছু সময় ডাকাডাকি করে তার প্রতিবেশি তথা বোন জামাই আঃ আজিজ আকনের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান এবং তাকে ক্ষেত দেখাতে নিয়ে আসেন। এসময় তারা ক্ষেতের মাঝখানে চলার পথের মতো দেখতে পেয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে। পরে তারা ক্ষেতের পশ্চিম পার্শ্বে একটি পরিত্যক্ত ছাড়াভিটায় মাটিচাপা দেওয়ার মতো দেখতে পান।

উল্লেখ্য যে,ঐ ছাড়াভিটা তথা জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আঃ মান্নান,পিতা আঃ রকমান হাওলাদার। বিষয়টি তারা স্থানীয় জলিল মেম্বারের ছেলে সাগর চৌকিদারকে জানালে তিনি লোকজন নিয়ে এসে বিষয়টি দেখে সন্দেহজনক মনে হলে থানা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে এক নারীর মরদেহ দেখতে পান। পুলিশের কাছে বিষয়টি চাঞ্চল্যকর মনে হলে তারা সিআইডি ও পিবিআইকে জানান। সিআইডি ও পিবিআই এসে লাশের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেও প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। পরে তারা প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন,
"ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।"