কুষ্টিয়া দৌলতপুরে পান চাষ করে বছরে ১২ কোটি টাকা আয় যাচ্ছে বিদেশেও

#
news image

স্বাদ ও সুনাম খ্যাত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে পান’ এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে  বিদেশেও। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কুষ্টিয়াসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি জেলার পান এখন রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। এদিকে কুষ্টিয়ার অন্য সব উপজেলার মতো দৌলতপুরের পানও যাচ্ছে বিদেশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের তুলনায় বেশি দামে পান বিক্রি করায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক।তবে কৃষকরা বলছে, এ অঞ্চলে একটি পান গবেষণা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব হলে পান চাষকে আরো সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তৈরি হবে নতুন উদ্যোক্তা। এতে যেমন বাড়বে নতুন কর্মসংস্থান, আরো বৃদ্ধি পাবে রপ্তানি। সম্ভব হবে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।

স্থানীয় পান বাজারের মোঃ সেলিম বলছে প্রতিদিন দৌলতপুর থেকে ৩ থেকে ৪ টন পান রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। প্রতি কেজি পন রপ্তানিকারকদের কাছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।ভৌগোলিক ও উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের চাষিরা অর্থকারী ফসল হিসেবে পান চাষ করেন। অন্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার কৃষক পান চাষে জড়িত। কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পান।তবে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, পান  চাষকে আরো সমৃদ্ধ করতে তারা কাজ করছেন।পাশাপাশি সরকারীভাবে এসব পান বাইরে রপ্তানির উদ্যোগও হাতে নিয়েছেন তারা। যা দ্রুত কার্যকর হবে, ফলে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে এই অঞ্চলে স্থানীয় বাজার থেকে বছরে পানের আয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। উপজেলাটিতে  পানের চাষ হয় প্রায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে। তবে, বিদেশে পান রপ্তানি সঠিক হিসেব নেই এই অফিসে। পান চাষকে কেন্দ্র করে এই উপজেলার গড়ে উঠেছে দুটি পান বাজার বা আড়ৎ। সেখান থেকে চাষিদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পান কিনে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন । মাঝে মাঝে অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও এসব বাজার থেকে পান কিনে নিয়ে যান। দেশে ৮০টি পান পাতাকে এক বিড়া বা এক পন হিসেবে বিক্রি করা হয়। পান ক্ষেতকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ’পান বরজ’। প্রতিদিন  চাষিরা বরজ থেকে পান ভেঙে বাজারে বিক্রি করে থাকেন।

পান চাষ নিয়ে কথা হয় কয়েক জন প্রবীণ পান চাষিদের সাথে। যারা দুই যুগের বেশি সময় ধরে এই চাষের সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামের এক চাষি জানান, এখন বর্তমানে পানের বাজার দর ভালো স্থানীয় বাজারে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে ১ পন পান  বিক্রি হচ্ছে। আর যে পানটি রপ্তানির জন্য ব্যবসায়ীরা নিচ্ছেন সেটা ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তার এই পান চাষ করে এবং পান রপ্তানি শুরুর  করে বেশি লাভবান তিনি। কালু নামের তারাগুনিয়া এলাকার আরেক চাষী জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষ করা গেলে রপ্তানিযোগ্য পানের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। কুষ্টিয়ায় পান গবেষণা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলে আরো ভালো পরামর্শ নেওয়া সম্ভব হতো বলে জানান তিনি।
জালাল নামের এক ব্যবসায়ী জানান, রপ্তানিযোগ্য পান সরাসরি চাষীদের ’বরজ’ থেকে সংগ্রহ করা হয়। যেসব চাষী সাপ্লাই পান বিক্রি করতে ইচ্ছুক, তাঁরা ব্যাবসিকদের সংবাদ দেন। ব্যবসায়ীরা ক্ষেতে গিয়ে নিজস্ব লোকজন দিয়ে পান সংগ্রহ করেন।তিনি আরো বলেন, রপ্তানির জন্য সব ক্ষেত থেকে পান সংগ্রহ করা হয় না। আকারে বড়, ওজনে ভালো, সুন্দর রং এবং রোগ মুক্ত পান সংগ্রহ করা হয়। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে এসব পান ক্রয় করা হয়। 
এসময় তিনি আরো বলেন, ক্ষেতের সেরা পানগুলোই নেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা সারাদিন ক্ষেত থেকে পান সংগ্রহ করে ঢাকায় রপ্তানিকারকদের কাছে পৌঁছিয়ে দেন। এখন পানের রপ্তানি ও চাহিদাও বাড়ছে। দৌলতপুর থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টন পান সৌদিআরব, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছে। 

ঢাকা এয়ারপোর্টে বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজি দরে। তবে, বেশি দামে পান বিক্রি করতে পেরে খুশি চাষীরা । তৈরি করছে নতুন নতুন পান ক্ষেত বা বোরজ। বাদশা সর্দার ও বাবু নামের দুই চাষী জানান, দীর্ঘদিন পানের দাম না পাওয়ায় হতাশা জনক থাকার পর পানের দাম বেড়েছে। পান এখন বিদেশে যাচ্ছে দাম এমনি থাকলে নতুন নতুন পানের ক্ষেতও  তৈরি হবে। এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, দৌলতপুরে ৫০০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হচ্ছে এতে স্থানীয় বাজার থেকে বছরে অন্তত ১২ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। তবে, বিদেশে রপ্তানির বিষয়টি আমাদের জানা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ জানান, জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ পান উৎপাদনে কৃষি অফিস পান চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। এখন কুষ্টিয়া থেকে প্রচুর পান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। সরকারীভাবে পান বাইরে রপ্তানির উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। যা দ্রুত কার্যকর হবে, ফলে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এতে কৃষকরাও বেশি লাভবান হবে বলে তিনি জানান। আরোও এক জন পান চাষীর সাথে জড়িত হয়ে এ অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরাও এখন স্বচ্ছল। লেখা পড়ার পাশাপাশি সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত দুই ঘন্টা পান বরজে কাজ করে প্রায় ৩০০ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয় তারা। তাই এই পান চাষের উপর সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়লে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে  বড় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করছেন অনেকেই ।

মোঃ জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া

২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩,  9:01 AM

news image

স্বাদ ও সুনাম খ্যাত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে পান’ এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে  বিদেশেও। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কুষ্টিয়াসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি জেলার পান এখন রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। এদিকে কুষ্টিয়ার অন্য সব উপজেলার মতো দৌলতপুরের পানও যাচ্ছে বিদেশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের তুলনায় বেশি দামে পান বিক্রি করায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক।তবে কৃষকরা বলছে, এ অঞ্চলে একটি পান গবেষণা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব হলে পান চাষকে আরো সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তৈরি হবে নতুন উদ্যোক্তা। এতে যেমন বাড়বে নতুন কর্মসংস্থান, আরো বৃদ্ধি পাবে রপ্তানি। সম্ভব হবে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।

স্থানীয় পান বাজারের মোঃ সেলিম বলছে প্রতিদিন দৌলতপুর থেকে ৩ থেকে ৪ টন পান রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। প্রতি কেজি পন রপ্তানিকারকদের কাছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।ভৌগোলিক ও উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের চাষিরা অর্থকারী ফসল হিসেবে পান চাষ করেন। অন্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার কৃষক পান চাষে জড়িত। কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পান।তবে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, পান  চাষকে আরো সমৃদ্ধ করতে তারা কাজ করছেন।পাশাপাশি সরকারীভাবে এসব পান বাইরে রপ্তানির উদ্যোগও হাতে নিয়েছেন তারা। যা দ্রুত কার্যকর হবে, ফলে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে এই অঞ্চলে স্থানীয় বাজার থেকে বছরে পানের আয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। উপজেলাটিতে  পানের চাষ হয় প্রায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে। তবে, বিদেশে পান রপ্তানি সঠিক হিসেব নেই এই অফিসে। পান চাষকে কেন্দ্র করে এই উপজেলার গড়ে উঠেছে দুটি পান বাজার বা আড়ৎ। সেখান থেকে চাষিদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পান কিনে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন । মাঝে মাঝে অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও এসব বাজার থেকে পান কিনে নিয়ে যান। দেশে ৮০টি পান পাতাকে এক বিড়া বা এক পন হিসেবে বিক্রি করা হয়। পান ক্ষেতকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ’পান বরজ’। প্রতিদিন  চাষিরা বরজ থেকে পান ভেঙে বাজারে বিক্রি করে থাকেন।

পান চাষ নিয়ে কথা হয় কয়েক জন প্রবীণ পান চাষিদের সাথে। যারা দুই যুগের বেশি সময় ধরে এই চাষের সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামের এক চাষি জানান, এখন বর্তমানে পানের বাজার দর ভালো স্থানীয় বাজারে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে ১ পন পান  বিক্রি হচ্ছে। আর যে পানটি রপ্তানির জন্য ব্যবসায়ীরা নিচ্ছেন সেটা ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তার এই পান চাষ করে এবং পান রপ্তানি শুরুর  করে বেশি লাভবান তিনি। কালু নামের তারাগুনিয়া এলাকার আরেক চাষী জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষ করা গেলে রপ্তানিযোগ্য পানের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। কুষ্টিয়ায় পান গবেষণা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলে আরো ভালো পরামর্শ নেওয়া সম্ভব হতো বলে জানান তিনি।
জালাল নামের এক ব্যবসায়ী জানান, রপ্তানিযোগ্য পান সরাসরি চাষীদের ’বরজ’ থেকে সংগ্রহ করা হয়। যেসব চাষী সাপ্লাই পান বিক্রি করতে ইচ্ছুক, তাঁরা ব্যাবসিকদের সংবাদ দেন। ব্যবসায়ীরা ক্ষেতে গিয়ে নিজস্ব লোকজন দিয়ে পান সংগ্রহ করেন।তিনি আরো বলেন, রপ্তানির জন্য সব ক্ষেত থেকে পান সংগ্রহ করা হয় না। আকারে বড়, ওজনে ভালো, সুন্দর রং এবং রোগ মুক্ত পান সংগ্রহ করা হয়। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে এসব পান ক্রয় করা হয়। 
এসময় তিনি আরো বলেন, ক্ষেতের সেরা পানগুলোই নেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা সারাদিন ক্ষেত থেকে পান সংগ্রহ করে ঢাকায় রপ্তানিকারকদের কাছে পৌঁছিয়ে দেন। এখন পানের রপ্তানি ও চাহিদাও বাড়ছে। দৌলতপুর থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টন পান সৌদিআরব, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছে। 

ঢাকা এয়ারপোর্টে বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজি দরে। তবে, বেশি দামে পান বিক্রি করতে পেরে খুশি চাষীরা । তৈরি করছে নতুন নতুন পান ক্ষেত বা বোরজ। বাদশা সর্দার ও বাবু নামের দুই চাষী জানান, দীর্ঘদিন পানের দাম না পাওয়ায় হতাশা জনক থাকার পর পানের দাম বেড়েছে। পান এখন বিদেশে যাচ্ছে দাম এমনি থাকলে নতুন নতুন পানের ক্ষেতও  তৈরি হবে। এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, দৌলতপুরে ৫০০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হচ্ছে এতে স্থানীয় বাজার থেকে বছরে অন্তত ১২ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। তবে, বিদেশে রপ্তানির বিষয়টি আমাদের জানা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ জানান, জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ পান উৎপাদনে কৃষি অফিস পান চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। এখন কুষ্টিয়া থেকে প্রচুর পান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। সরকারীভাবে পান বাইরে রপ্তানির উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। যা দ্রুত কার্যকর হবে, ফলে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এতে কৃষকরাও বেশি লাভবান হবে বলে তিনি জানান। আরোও এক জন পান চাষীর সাথে জড়িত হয়ে এ অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরাও এখন স্বচ্ছল। লেখা পড়ার পাশাপাশি সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত দুই ঘন্টা পান বরজে কাজ করে প্রায় ৩০০ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয় তারা। তাই এই পান চাষের উপর সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়লে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে  বড় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করছেন অনেকেই ।