ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার

নাগরিক ডেস্ক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, 5:11 PM
ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার
জয়পুরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনে এবং একই জেলার পাঁচবিবি ষ্টেশনে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও উত্তরা মেইল ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বগুড়া সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ (জিআরপি) তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে নুরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্য।
পরে বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তাদের জানালে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নুরুলইসলামকে পাকশী পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। এছাড়া সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার নিশির মোড় এলাকার বনোমালি পাড়ার তাইজুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার মো. অপু (২১) ও জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আব্দুল মমিন (২১)।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন জানান, গত ৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি ষ্টেশনে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ও গত ১৫ ডিসেম্বর জয়পুরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনে উত্তরা মেইল ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরহাট জেলার নিশিরমোড় থেকে তাইজুল ও অপুকে গ্রেপ্তার করে এবং আক্কেলপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রাম থেকে আব্দুল মমিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত তিন জনকে আজ শুক্রবার দুপুরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জিআরপি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনষ্টেবল নুরুল ইসলামকে পাকশী পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যন্যাদের তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা সান্তাহার জিআরপি থানার সামনে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, দেশে বর্তমান একটি নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সারাদেশে নাশকতামূলক নানা অপতৎরতা অব্যহত রয়েছে। এ সব অপতৎরতা প্রতিরোধে সাংবাদিক, পুলিশ এক হয়ে কাজ করছে ঠিক সেই মুহূর্তে সান্তাহার জিআরপি থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা তথ্য প্রদানে নানা তালবাহানা সৃষ্টি করার অর্থ কি? তাহলে কি আমরা ধরে নেব রেলওয়ে নাশকতার পিছনে জিআরপি পুলিশের হাত রয়েছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক শফিক ছোটন বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে সকালে জিআরপি থানায় যাই। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ফেরদৌস আটককৃতদের বিষয়ে আমাকে তথ্য দেন। পরে থানা ফটকের ছবি নেওয়ার সময় লুঙ্গি ও গেঙ্গি পড়া কনস্টেবল নুরুল ইসলাম এসে আমাকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তার আরও দুই সহকর্মীসহ আমাকে অকর্থভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মুঠোফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি করছি।’ আমাদের সময়
নাগরিক ডেস্ক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, 5:11 PM
জয়পুরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনে এবং একই জেলার পাঁচবিবি ষ্টেশনে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও উত্তরা মেইল ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বগুড়া সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ (জিআরপি) তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে নুরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্য।
পরে বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তাদের জানালে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নুরুলইসলামকে পাকশী পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। এছাড়া সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার নিশির মোড় এলাকার বনোমালি পাড়ার তাইজুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার মো. অপু (২১) ও জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আব্দুল মমিন (২১)।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন জানান, গত ৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি ষ্টেশনে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ও গত ১৫ ডিসেম্বর জয়পুরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনে উত্তরা মেইল ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরহাট জেলার নিশিরমোড় থেকে তাইজুল ও অপুকে গ্রেপ্তার করে এবং আক্কেলপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রাম থেকে আব্দুল মমিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত তিন জনকে আজ শুক্রবার দুপুরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জিআরপি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনষ্টেবল নুরুল ইসলামকে পাকশী পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যন্যাদের তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা সান্তাহার জিআরপি থানার সামনে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, দেশে বর্তমান একটি নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সারাদেশে নাশকতামূলক নানা অপতৎরতা অব্যহত রয়েছে। এ সব অপতৎরতা প্রতিরোধে সাংবাদিক, পুলিশ এক হয়ে কাজ করছে ঠিক সেই মুহূর্তে সান্তাহার জিআরপি থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা তথ্য প্রদানে নানা তালবাহানা সৃষ্টি করার অর্থ কি? তাহলে কি আমরা ধরে নেব রেলওয়ে নাশকতার পিছনে জিআরপি পুলিশের হাত রয়েছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক শফিক ছোটন বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে সকালে জিআরপি থানায় যাই। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ফেরদৌস আটককৃতদের বিষয়ে আমাকে তথ্য দেন। পরে থানা ফটকের ছবি নেওয়ার সময় লুঙ্গি ও গেঙ্গি পড়া কনস্টেবল নুরুল ইসলাম এসে আমাকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তার আরও দুই সহকর্মীসহ আমাকে অকর্থভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মুঠোফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি করছি।’ আমাদের সময়