সাংবাদিক সেলিমের মৃত্যু সন্দেহজনক!

#
news image

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ আলফালাহ হাসপাতালের সামনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবু সেলিম মিয়া (৫৪) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সেলিম মিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের হামদহ এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ২ টার দিকে মৃত্যু ঘটে। 

তবে এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ কাটছে না পুলিশের। তারা এ পর্যন্ত সেলিমের পাশের ফ্লাটের দুই নারিকে আটক করেছেন এবং আরেক নারি ও যুবককে খুঁজছেন। এ দুজনকে আটক করা গেলেই পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে কেন এবং কিভাবে সেলিমের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত’র জামাই ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, বগুড়া থেকে ফিরে এসে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে আলফালাহ হাসপাতাল এলাকায় যান তার শ^শুর। কাজ শেষে করে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তায় পড়ে মাথায় আঘাত পান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে নিহত’র স্ত্রী মমতা বেগম ঝিনাইদহ থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে লেখা অভিযোগপত্রে বলেন, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। 

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ নির্ণয় সম্ভব হবে। তার মতে, এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ কাটছে না পুলিশের। তারা এ পর্যন্ত সেলিমের পাশের ফ্লাটের দুই নারিকে আটক করেছেন এবং আরেক নারি ও যুবককে খুঁজছেন। এ দুজনকে আটক করা গেলেই পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে কেন এবং কিভাবে সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তার গ্রামের বাড়িতে যান শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শান্তনা দেন। 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ

২০ ডিসেম্বর, ২০২৩,  8:35 PM

news image

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ আলফালাহ হাসপাতালের সামনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবু সেলিম মিয়া (৫৪) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সেলিম মিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের হামদহ এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ২ টার দিকে মৃত্যু ঘটে। 

তবে এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ কাটছে না পুলিশের। তারা এ পর্যন্ত সেলিমের পাশের ফ্লাটের দুই নারিকে আটক করেছেন এবং আরেক নারি ও যুবককে খুঁজছেন। এ দুজনকে আটক করা গেলেই পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে কেন এবং কিভাবে সেলিমের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত’র জামাই ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, বগুড়া থেকে ফিরে এসে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে আলফালাহ হাসপাতাল এলাকায় যান তার শ^শুর। কাজ শেষে করে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তায় পড়ে মাথায় আঘাত পান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে নিহত’র স্ত্রী মমতা বেগম ঝিনাইদহ থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে লেখা অভিযোগপত্রে বলেন, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। 

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ নির্ণয় সম্ভব হবে। তার মতে, এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ কাটছে না পুলিশের। তারা এ পর্যন্ত সেলিমের পাশের ফ্লাটের দুই নারিকে আটক করেছেন এবং আরেক নারি ও যুবককে খুঁজছেন। এ দুজনকে আটক করা গেলেই পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে কেন এবং কিভাবে সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তার গ্রামের বাড়িতে যান শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শান্তনা দেন।