নারী নির্যাতন সভ্য সমাজে বেমানান

#
news image

নারীর ক্ষমতায়নে অনেক এগিয়েছে দেশ। উৎপাদন, পেশাগত, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে নারীর সক্রিয়তা বাড়ছে। তার পরও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে নারী নির্যাতন। যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সব ক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করার পরেও নারীরা পদে পদে বৈষম্যের শিকার।

ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারীরা। তারপরও আইন প্রণয়নে সরকারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগও নেই। সভ্য সমাজে যা একেবারেই বেমানান। নারী সহিংসতা রোধে আছে আইন, বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি। কিন্তু এগুলোর তেমন কোনো বাস্তবায়ন নেই। এসব আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষও সচেতন নয়। এই সমস্যা সমাধানে প্রতিটি দেশই কাজ করে চলেছে। আমরাও চাইছি যেন দেশ নারী নির্যাতনমুক্ত হয়। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বাড়ার পেছনে বড় কারণ হচ্ছে নির্যাতনকারীর শাস্তি না হওয়া। নারী বা শিশুর সুরক্ষায় যেসব আইন আছে, সেসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। ফলে নির্যাতনকারীরা নারী ও শিশু নির্যাতন করতে আর ভয় পাঁচ্ছে না। তাই সর্বপ্রথম নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। সহিংসতা রোধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি নারীদেরও সোচ্চার হতে হবে। কথা বলতে হবে নিজ অধিকার আদায়ে। এ সমস্যা মোকাবিলায় নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেয়া দরকার। উন্নত আইনব্যবস্থা, সামাজিক রীতিনীতি বদল ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির দিক থেকে পুরুষেরও এগিয়ে আসা দরকার। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের দায়িত্ব শুধু পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ সমাবেশই নয় বরং ব্যক্তি, সমাজ ও সরকারের মূল দায়িত্বটা পালন করা জরুরি।

বাস বা লঞ্চ কোথাও যেন নিরাপত্তা নেই। নারীর জন্য এই সমাজকে নিরাপদ করতে হলে এবং সুস্থ সমাজ গঠনে ধর্ষণের মতো ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সমাজের অধঃপতন ঠেকাতে যে করেই হোক ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে আমাদের প্রতিদিন ভয়ংকর সব নারী নির্যাতনের খবর পড়তে হবে। যখন সমাজের আর উত্তরণের কোনো পথ থাকবে না।

ধর্ষণ রুখতে আইনের প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে সমাজকে শুদ্ধ করতে হবে। যে সমাজে মানুষ থাকবে কোনো অমানুষ থাকবে না। ফলে দ্রুত নারী ও কন্যাশিশুর ওপর এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। না হলে, সুস্থ সমাজ প্রত্যাশা করা যায় না।

নাগরিক ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩,  5:13 PM

news image

নারীর ক্ষমতায়নে অনেক এগিয়েছে দেশ। উৎপাদন, পেশাগত, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে নারীর সক্রিয়তা বাড়ছে। তার পরও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে নারী নির্যাতন। যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সব ক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করার পরেও নারীরা পদে পদে বৈষম্যের শিকার।

ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারীরা। তারপরও আইন প্রণয়নে সরকারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগও নেই। সভ্য সমাজে যা একেবারেই বেমানান। নারী সহিংসতা রোধে আছে আইন, বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি। কিন্তু এগুলোর তেমন কোনো বাস্তবায়ন নেই। এসব আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষও সচেতন নয়। এই সমস্যা সমাধানে প্রতিটি দেশই কাজ করে চলেছে। আমরাও চাইছি যেন দেশ নারী নির্যাতনমুক্ত হয়। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বাড়ার পেছনে বড় কারণ হচ্ছে নির্যাতনকারীর শাস্তি না হওয়া। নারী বা শিশুর সুরক্ষায় যেসব আইন আছে, সেসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। ফলে নির্যাতনকারীরা নারী ও শিশু নির্যাতন করতে আর ভয় পাঁচ্ছে না। তাই সর্বপ্রথম নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। সহিংসতা রোধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি নারীদেরও সোচ্চার হতে হবে। কথা বলতে হবে নিজ অধিকার আদায়ে। এ সমস্যা মোকাবিলায় নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেয়া দরকার। উন্নত আইনব্যবস্থা, সামাজিক রীতিনীতি বদল ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির দিক থেকে পুরুষেরও এগিয়ে আসা দরকার। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের দায়িত্ব শুধু পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ সমাবেশই নয় বরং ব্যক্তি, সমাজ ও সরকারের মূল দায়িত্বটা পালন করা জরুরি।

বাস বা লঞ্চ কোথাও যেন নিরাপত্তা নেই। নারীর জন্য এই সমাজকে নিরাপদ করতে হলে এবং সুস্থ সমাজ গঠনে ধর্ষণের মতো ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সমাজের অধঃপতন ঠেকাতে যে করেই হোক ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে আমাদের প্রতিদিন ভয়ংকর সব নারী নির্যাতনের খবর পড়তে হবে। যখন সমাজের আর উত্তরণের কোনো পথ থাকবে না।

ধর্ষণ রুখতে আইনের প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে সমাজকে শুদ্ধ করতে হবে। যে সমাজে মানুষ থাকবে কোনো অমানুষ থাকবে না। ফলে দ্রুত নারী ও কন্যাশিশুর ওপর এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। না হলে, সুস্থ সমাজ প্রত্যাশা করা যায় না।