শৈলকুপার আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য রিপন  খুনের মামলায় ৩ আসামী গ্রেফতার

#
news image

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রিপন হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা ওই তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-উপজেলার মিনগ্রামের মৃত আইজাল বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল ইসলাম টেবি, টুকু বিশ্বাসের ছেলে জুমারত বিশ্বাস ও ইয়াকুব শেখের ছেলে নায়েব আলী। হাইকোর্ট ৪ ডিসেম্বর নিম্নআদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে আসামীরা ওই তারিখে নিম্নআদালতে হাজির না হয়েছে হাইকোর্ট থেকে নেওয়া একটি ভুয়া জামিননামা থানায় জমা দেয়। বলা হয়েছে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে যা সম্পুর্ণ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।

ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের ওসি জুয়েল ইসলাম জানান, শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন রিপন হত্যা মামলার আসামী শহরের কালিকাপুরে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাতে শৈলকুপা উপজেলা শহর থেকে ফেরার পথে আবাইপুর ইউনিয়নের মিনগ্রাম মাঠের মধ্যে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরের দিন নিহতের ভাই আহসানুল কবির বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে ২৭ জন আসামী জামিন নেয়। হাইকোর্টের সেই জামিন আদেশে ৪ ডিসেম্বর নিম্নআদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে আসামীরা ওই তারিখে নিম্নআদালতে হাজির না হয়েছে হাইকোর্ট থেকে নেওয়া একটি ভুয়া জামিননামা থানায় জমা দেয়। সেখানে বলা হয়েছে ২৮ নভেম্বর তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে যা সম্পুর্ণ ভুয়া বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে মামলার অন্য আসামীরা ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেয়। আটককের বিষয়টি জানাজানি হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে যাওয়া আসামীরা পালিয়ে যায়।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ

১২ ডিসেম্বর, ২০২৩,  10:07 PM

news image

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রিপন হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা ওই তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-উপজেলার মিনগ্রামের মৃত আইজাল বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল ইসলাম টেবি, টুকু বিশ্বাসের ছেলে জুমারত বিশ্বাস ও ইয়াকুব শেখের ছেলে নায়েব আলী। হাইকোর্ট ৪ ডিসেম্বর নিম্নআদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে আসামীরা ওই তারিখে নিম্নআদালতে হাজির না হয়েছে হাইকোর্ট থেকে নেওয়া একটি ভুয়া জামিননামা থানায় জমা দেয়। বলা হয়েছে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে যা সম্পুর্ণ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।

ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের ওসি জুয়েল ইসলাম জানান, শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন রিপন হত্যা মামলার আসামী শহরের কালিকাপুরে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাতে শৈলকুপা উপজেলা শহর থেকে ফেরার পথে আবাইপুর ইউনিয়নের মিনগ্রাম মাঠের মধ্যে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরের দিন নিহতের ভাই আহসানুল কবির বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে ২৭ জন আসামী জামিন নেয়। হাইকোর্টের সেই জামিন আদেশে ৪ ডিসেম্বর নিম্নআদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে আসামীরা ওই তারিখে নিম্নআদালতে হাজির না হয়েছে হাইকোর্ট থেকে নেওয়া একটি ভুয়া জামিননামা থানায় জমা দেয়। সেখানে বলা হয়েছে ২৮ নভেম্বর তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে যা সম্পুর্ণ ভুয়া বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে মামলার অন্য আসামীরা ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেয়। আটককের বিষয়টি জানাজানি হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে যাওয়া আসামীরা পালিয়ে যায়।