শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা মুসাকে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম ফারাহ দিবা ছন্দা ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সকালে সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিপু হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন’ মুসা।
ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রাথমিকভাবে তিনি এই হতাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আজ আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হবে।”
এরপর তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। রিমান্ডের শুনানিতে রাষ্ট্র পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌশুলি আবদুল্লাহ আবু ও আসামির আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী অংশ নেন।
গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাজাহানপুরে যানজটে আটকে পড়া গাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।
মোটরসাইকেলে আসা এক ব্যক্তি টিপুর গাড়ির কাছে এসে তাকে এলোপাথাড়ি গুলি করেন। ওই সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী প্রীতি গুলিতে নিহত হন। টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন।
আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে প্রথমে মুসার নাম আসে।
পরে জানা যায়, মুসা ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান। পরে সেখান থেকে ওমানে চলে যান তিনি।
এ মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশের পুলিশ।
এরপর গত ১২ মে ওমানে গ্রেপ্তার হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি জানাজানি হয় ৩ জুন।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে মুসা ছাড়াও আর ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছে।
“তাদের রিমান্ডে এনে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসা করে আরও তথ্য চাওয়া হবে। তখনই নিশ্চিত হওয়া যাবে এই হত্যাকাণ্ডটি কার নির্দেশে হয়েছে এবং আর কারা জড়িত।”
টিপু হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন মুসা ওমানে ইন্টারপোলের হাতে গ্রেপ্তার হলে বৃহস্পতিবার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ঢাকায় নামার পর তাকে নেওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
হত্যাকাণ্ডের পর টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি যে মামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় কারও নাম উল্লেখ করা ছিল না।