পদ্মা সেতু থেকে শুধু টোল আদায় নয়, প্রফিটও করবো: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ এপ্রিল, ২০২২, 7:37 AM

পদ্মা সেতু থেকে শুধু টোল আদায় নয়, প্রফিটও করবো: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি অর্থবছরের শেষে জুনে পদ্মা সেতু চালু করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি। পদ্মা সেতু থেকে শুধু টোল আদায় নয়, প্রফিটও করবো। কিন্তু টোলের পরিমাণ এখনো নির্ধারিত হয়নি। আমরা একটা কথা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই।
পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোল বাবদ আদায় করবো। আমরা অন্যান্য প্রোজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এ প্রত্যাশার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। পদ্মা সেতু চালু হতে বিলম্ব হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারবো, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল বছর যেটি জুনে শেষ হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এরমধ্যে আমরা এটি চালু করতে পারবো। পদ্মা সেতুর টোল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টোল আদায় হবে এটা জানি। কিন্তু টোলের পরিমাণ এখনো নির্ধারিত হয়নি। আমরা একটা কথা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই। পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোল বাবদ আদায় করবো। আমরা অন্যান্য প্রোজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি, এখান (পদ্মা সেতু) থেকেও টোল আদায় হবে। শুধু টোল আদায় হবে না, আমরা প্রফিটও করবো। এ প্রজেক্টের জন্য আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি তার চেয়েও বেশি আমরা অর্জন করবো। সারাবিশ্বেও তাই করে। সারাবিশ্বে এ ধরনের প্রকল্পগুলো টোল ভিত্তিকই করা হয়। টোলের হার এখনো ঠিক হয়নি। হলে আপনারা (গণমাধ্যম) জানতে পারবেন। আমরা বলতে পারি যে পরিমাণ টাকা এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে এবং শেষ দিন পর্যন্ত যে খরচ হবে সেটি আমাদের টোল থেকেই আদায় করতে হবে। না হলে এগোনো যাবে না, কারণ এগুলো আমাদের মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের একটা প্রকল্প থেকে আরেকটা প্রকল্প করতে হবে। একটা ব্রিজ থেকে আরেকটা ব্রিজ করতে হবে। সুতরাং এগুলো করার জন্য রেভিনিউ দরকার হবে। তবে সবার জন্য লাভজনক অবস্থায় থাকবে। যারা ব্যবহার করবে তারাও লাভজনক অবস্থায় থাকবে, সরকারও থাকবে। কত বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর ব্যয় তুলতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ডিটেইলে এখনো এটি নিয়ে কাজ করিনি। আমরা টোলের মাধ্যমেই আমাদের খরচ তুলে নিয়ে আসবো। এবং সেখান থেকে কিছু লাভও করতে চাই। সেই লাভটা সরকারের ফান্ডে না নিয়ে আরো নতুন প্রকল্প দাঁড় করানোর চেস্টা করবো। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো এবং শক্তিশালী বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখনো গোটা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক শক্তিশালী। যেসব দেশের জিডিপির তুলনায় ঋণের পরিমাণ বেশি, তারা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিব্রত। তারা বিপদেও আছে। বাংলাদেশ সেই বিপদে নেই। সেজন্য আমরা ওইসব দিক নিয়ে চিন্তা করছি না। মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অবস্থা অনেক ভালো, অনেক শক্তিশালী। আরও শক্তিশালী হবো।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো একটি দিক খুঁজে বের করতে পারবেন না, যেগুলো পর্যালোচনা করে বুঝবো সামনের দিনগুলো ভালো নয়। সামনের দিনগুলো আমাদের ভালোই কাটবে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনায় অস্বস্তিবোধ করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ আলোচনা তো আমরা করিনি। কেউ যদি আলোচনা করে, সেটা তাদের ব্যাপার। এ আলোচনা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না, তা আপনারা ভালো বুঝবেন। এটি আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভালোভাবেই জানেন, আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভও অনেক ওপরে আছে। রাজস্ব আদায় বাড়ছে, রিজার্ভও বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আমাদের তো সমস্যা নেই। আমি মনে করি উই আর সেইফ।
প্রখ/ সাদ্দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ এপ্রিল, ২০২২, 7:37 AM

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি অর্থবছরের শেষে জুনে পদ্মা সেতু চালু করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি। পদ্মা সেতু থেকে শুধু টোল আদায় নয়, প্রফিটও করবো। কিন্তু টোলের পরিমাণ এখনো নির্ধারিত হয়নি। আমরা একটা কথা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই।
পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোল বাবদ আদায় করবো। আমরা অন্যান্য প্রোজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এ প্রত্যাশার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। পদ্মা সেতু চালু হতে বিলম্ব হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারবো, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল বছর যেটি জুনে শেষ হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এরমধ্যে আমরা এটি চালু করতে পারবো। পদ্মা সেতুর টোল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টোল আদায় হবে এটা জানি। কিন্তু টোলের পরিমাণ এখনো নির্ধারিত হয়নি। আমরা একটা কথা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই। পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোল বাবদ আদায় করবো। আমরা অন্যান্য প্রোজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি, এখান (পদ্মা সেতু) থেকেও টোল আদায় হবে। শুধু টোল আদায় হবে না, আমরা প্রফিটও করবো। এ প্রজেক্টের জন্য আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি তার চেয়েও বেশি আমরা অর্জন করবো। সারাবিশ্বেও তাই করে। সারাবিশ্বে এ ধরনের প্রকল্পগুলো টোল ভিত্তিকই করা হয়। টোলের হার এখনো ঠিক হয়নি। হলে আপনারা (গণমাধ্যম) জানতে পারবেন। আমরা বলতে পারি যে পরিমাণ টাকা এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে এবং শেষ দিন পর্যন্ত যে খরচ হবে সেটি আমাদের টোল থেকেই আদায় করতে হবে। না হলে এগোনো যাবে না, কারণ এগুলো আমাদের মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের একটা প্রকল্প থেকে আরেকটা প্রকল্প করতে হবে। একটা ব্রিজ থেকে আরেকটা ব্রিজ করতে হবে। সুতরাং এগুলো করার জন্য রেভিনিউ দরকার হবে। তবে সবার জন্য লাভজনক অবস্থায় থাকবে। যারা ব্যবহার করবে তারাও লাভজনক অবস্থায় থাকবে, সরকারও থাকবে। কত বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর ব্যয় তুলতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ডিটেইলে এখনো এটি নিয়ে কাজ করিনি। আমরা টোলের মাধ্যমেই আমাদের খরচ তুলে নিয়ে আসবো। এবং সেখান থেকে কিছু লাভও করতে চাই। সেই লাভটা সরকারের ফান্ডে না নিয়ে আরো নতুন প্রকল্প দাঁড় করানোর চেস্টা করবো। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো এবং শক্তিশালী বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখনো গোটা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক শক্তিশালী। যেসব দেশের জিডিপির তুলনায় ঋণের পরিমাণ বেশি, তারা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিব্রত। তারা বিপদেও আছে। বাংলাদেশ সেই বিপদে নেই। সেজন্য আমরা ওইসব দিক নিয়ে চিন্তা করছি না। মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অবস্থা অনেক ভালো, অনেক শক্তিশালী। আরও শক্তিশালী হবো।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো একটি দিক খুঁজে বের করতে পারবেন না, যেগুলো পর্যালোচনা করে বুঝবো সামনের দিনগুলো ভালো নয়। সামনের দিনগুলো আমাদের ভালোই কাটবে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনায় অস্বস্তিবোধ করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ আলোচনা তো আমরা করিনি। কেউ যদি আলোচনা করে, সেটা তাদের ব্যাপার। এ আলোচনা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না, তা আপনারা ভালো বুঝবেন। এটি আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভালোভাবেই জানেন, আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভও অনেক ওপরে আছে। রাজস্ব আদায় বাড়ছে, রিজার্ভও বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আমাদের তো সমস্যা নেই। আমি মনে করি উই আর সেইফ।
প্রখ/ সাদ্দাম