বন্ধ হয়ে গেল পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

জেলা সংবাদদাতা
০৫ জুন, ২০২৩, 7:52 PM
বন্ধ হয়ে গেল পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কয়লা শেষ হওয়ায় সোমবার থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে দেশের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রায়।ইতিমধ্যে এলসি খুলে কয়লা আমদানীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে আবার পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিকটন কয়লা দরকার হয়। বৈশ্বিক মন্দায় চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়লা আমদানীতে ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরে। বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠান সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কয়লা সংকটে গত ২৫ মে বন্ধ হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন। জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশব্যাপী শুরু হয় লোডশেডিং। প্রায় ৪৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ঘাটতিতে তীব্র গরমের মধ্যে দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না পেয়ে নাকাল সাধারন মানুষ। জনজীবনে নেমে আসে চরম অস্বস্তি।
সদর রোডের ব্যাবসায়ী আনিচ বলেন, দিনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিং হয়। এই গরমের মধ্যে প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘন্টা লোডশেডে আমরা খুবই কষ্টে আছি। গৃহিণী মুক্ত বলন, ছেলে-মেয়েদের পড়া লেখায় বেশ সমস্যা হচ্ছে, রাতে গরমের জন্য ঘুমাতে পারি না।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারনে আমাদের এলসি খুলতে একটু দেরী হয়ে যায়। এটি সাময়িক একটি সমস্যা। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ আমাদের জেটিতে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জাহাজ আসার ৩/৪ দিনের মধ্যে কয়লা আনলোড করে আগামী ১ জুলাইের মধ্যে ইউনিটগুলো চালু করতে পারবো।
উল্লেখ্য, চিন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। ১ হাজার ৩'শ ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সম্পন্ন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুইটি ইউনিট রয়েছে। ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট গত মাসের ২৫ মে বন্ধ হয়েছে। বাকি ইউনিটটি কয়লা সংকটের কারণে আজ বন্ধ হয়ে গেছে। আর এতে দক্ষিণাঞ্চল সহ দেশের সর্বত্র ভয়াবহ লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। বর্তমানে অসহনীয় তীব্র দাবদাহে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) কয়লা সরবরাহ করে আসছিলো। এপ্রিল পর্যন্ত কয়লার ৩ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সিএমসি প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণেই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি সাময়িকভাবে বন্ধ হচ্ছে।
তবে এ পরিস্থিতির সামাল দেয়ার জন্য সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে কয়লা আসার কথা রয়েছে। তখন আবার পুরোপুরি চালু হবে এর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
জেলা সংবাদদাতা
০৫ জুন, ২০২৩, 7:52 PM
কয়লা শেষ হওয়ায় সোমবার থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে দেশের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রায়।ইতিমধ্যে এলসি খুলে কয়লা আমদানীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে আবার পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিকটন কয়লা দরকার হয়। বৈশ্বিক মন্দায় চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়লা আমদানীতে ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরে। বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠান সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কয়লা সংকটে গত ২৫ মে বন্ধ হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন। জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশব্যাপী শুরু হয় লোডশেডিং। প্রায় ৪৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ঘাটতিতে তীব্র গরমের মধ্যে দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না পেয়ে নাকাল সাধারন মানুষ। জনজীবনে নেমে আসে চরম অস্বস্তি।
সদর রোডের ব্যাবসায়ী আনিচ বলেন, দিনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিং হয়। এই গরমের মধ্যে প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘন্টা লোডশেডে আমরা খুবই কষ্টে আছি। গৃহিণী মুক্ত বলন, ছেলে-মেয়েদের পড়া লেখায় বেশ সমস্যা হচ্ছে, রাতে গরমের জন্য ঘুমাতে পারি না।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারনে আমাদের এলসি খুলতে একটু দেরী হয়ে যায়। এটি সাময়িক একটি সমস্যা। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ আমাদের জেটিতে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জাহাজ আসার ৩/৪ দিনের মধ্যে কয়লা আনলোড করে আগামী ১ জুলাইের মধ্যে ইউনিটগুলো চালু করতে পারবো।
উল্লেখ্য, চিন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। ১ হাজার ৩'শ ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সম্পন্ন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুইটি ইউনিট রয়েছে। ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট গত মাসের ২৫ মে বন্ধ হয়েছে। বাকি ইউনিটটি কয়লা সংকটের কারণে আজ বন্ধ হয়ে গেছে। আর এতে দক্ষিণাঞ্চল সহ দেশের সর্বত্র ভয়াবহ লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। বর্তমানে অসহনীয় তীব্র দাবদাহে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) কয়লা সরবরাহ করে আসছিলো। এপ্রিল পর্যন্ত কয়লার ৩ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সিএমসি প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণেই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি সাময়িকভাবে বন্ধ হচ্ছে।
তবে এ পরিস্থিতির সামাল দেয়ার জন্য সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে কয়লা আসার কথা রয়েছে। তখন আবার পুরোপুরি চালু হবে এর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।