৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ, জেলেদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে

নাগরিক ডেস্ক
২১ মে, ২০২৩, 6:53 PM

৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ, জেলেদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে
বিশ্বের চতুর্থতম মাছ উৎপাদনকারী দেশ এখন বাংলাদেশ। এর একটি প্রধান অংশ আসে ইলিশ আহরণের মাধ্যমে। মিঠা পানির যেসব মাছ উৎপাদিত হয় তার একটি বড় অংশ আসে পুকুরের চাষ থেকে।
কয়েক দশক আগেও স্বাদু পানির মাছের প্রজাতির দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে এক নম্বর। এত ছোট জায়গায় এত বেশিসংখ্যক প্রজাতি আর কোনো দেশেই ছিল না। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবে, একক প্রাকৃতিক পণ্য হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান ইলিশের। ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদও পেয়েছে বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অন্যতম বড় পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইলিশ। গত মার্চ ও এপ্রিল-এই দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। প্রতিবছরই এই সময়ে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকে। উদ্দেশ্য জাটকা সংরক্ষণ।
ইলিশের পোনা জাটকার জন্য পরিবেশ তৈরি করতেই মার্চ ও এপ্রিল-এই দুই মাস বেছে নেওয়া হয়েছে। এর ইতিবাচক ফলও পাওয়া গেছে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২১ হাজার টন করে ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। ইলিশ শিকার নিষিদ্ধকালে জেলেদের প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতিদরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রভাব ফেলেছে ইলিশের উৎপাদনে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বেশি বাড়বে।
দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে এপ্রিলের পর মে মাসের শুরুতে বিপুল উৎসাহ নিয়ে ইলিশ আহরণে গিয়ে কাক্সিক্ষত মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর জেলেরা। ওদিকে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ মে রাত ১২টা থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। তবে সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় জেলেরা মাছ শিকারে যেতে পারবেন। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভোলার প্রায় ৬৩ হাজার ৯৫০ জন জেলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
টানা দুই মাসের বেশি সময় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সেই চিন্তায় তাঁরা দিশাহারা। আমাদের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু মৎস্য আহরণ যাঁদের পেশা, সেই জেলেদের দিকেও তাকাতে হবে।
মাছ শিকার বন্ধ থাকার সময় জেলেদের সহায়তা বাড়াতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে। জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে কল্যাণ তহবিল গঠন করা যেতে পারে। জেলেদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা, গ্রামীণ তহবিল গঠনও তাঁদের জন্য সহায়ক হবে।
নাগরিক ডেস্ক
২১ মে, ২০২৩, 6:53 PM

বিশ্বের চতুর্থতম মাছ উৎপাদনকারী দেশ এখন বাংলাদেশ। এর একটি প্রধান অংশ আসে ইলিশ আহরণের মাধ্যমে। মিঠা পানির যেসব মাছ উৎপাদিত হয় তার একটি বড় অংশ আসে পুকুরের চাষ থেকে।
কয়েক দশক আগেও স্বাদু পানির মাছের প্রজাতির দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে এক নম্বর। এত ছোট জায়গায় এত বেশিসংখ্যক প্রজাতি আর কোনো দেশেই ছিল না। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবে, একক প্রাকৃতিক পণ্য হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান ইলিশের। ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদও পেয়েছে বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অন্যতম বড় পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইলিশ। গত মার্চ ও এপ্রিল-এই দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। প্রতিবছরই এই সময়ে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকে। উদ্দেশ্য জাটকা সংরক্ষণ।
ইলিশের পোনা জাটকার জন্য পরিবেশ তৈরি করতেই মার্চ ও এপ্রিল-এই দুই মাস বেছে নেওয়া হয়েছে। এর ইতিবাচক ফলও পাওয়া গেছে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২১ হাজার টন করে ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। ইলিশ শিকার নিষিদ্ধকালে জেলেদের প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতিদরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রভাব ফেলেছে ইলিশের উৎপাদনে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বেশি বাড়বে।
দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে এপ্রিলের পর মে মাসের শুরুতে বিপুল উৎসাহ নিয়ে ইলিশ আহরণে গিয়ে কাক্সিক্ষত মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর জেলেরা। ওদিকে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ মে রাত ১২টা থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। তবে সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় জেলেরা মাছ শিকারে যেতে পারবেন। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভোলার প্রায় ৬৩ হাজার ৯৫০ জন জেলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
টানা দুই মাসের বেশি সময় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সেই চিন্তায় তাঁরা দিশাহারা। আমাদের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু মৎস্য আহরণ যাঁদের পেশা, সেই জেলেদের দিকেও তাকাতে হবে।
মাছ শিকার বন্ধ থাকার সময় জেলেদের সহায়তা বাড়াতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে। জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে কল্যাণ তহবিল গঠন করা যেতে পারে। জেলেদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা, গ্রামীণ তহবিল গঠনও তাঁদের জন্য সহায়ক হবে।