লাইনের নিচে চলে ট্রেন

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
১০ মে, ২০২৩, 4:30 PM

লাইনের নিচে চলে ট্রেন
ট্রেন রেললাইনের উপর দিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন উল্টোভাবে রেললাইনের নিচ দিয়ে চলছে, তাহলে নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে!
তবে সত্যি এ ধরনের ট্রেন আছে। এর দেখা পেতে হলে যেতে হবে জার্মানির উত্তর রাইন রাজ্যের শহর উপেরতালে। এখানকার সোয়েবেবান রেলওয়েতে দেখা যাবে এমন আশ্চর্য ট্রেনের।
এ ধরনের রেলওয়ে পরিচিত ঝুলন্ত বা সাসপেনশন রেলওয়ে নামে। পাইলন বা খুঁটির সাথে ঝুলতে থাকা রেল ট্র্যাকের নিচ দিয়ে ঝুলতে ঝুলতে চলে যায়। রাস্তা, ঘরবাড়ি, নদীসহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকের উপর দিয়ে ছুটে যায় ট্রেনের বগিগুলো। উল্টো বলা হলেও আসলে কিন্তু মোটেই উল্টে থাকে না বগিগুলো। বরং রেল ট্র্যাকের নিচ দিয়ে ঝুলে যাওয়ায় এমনটা মনে হয়।
পৃথিবীতে এমন ঝুলন্ত রেলওয়ে আছে জাপানেও। জার্মানির এই মনোরেল শহরের যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ট্রেনে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৯০১ সালে।
ঝুলন্ত এই রেল ট্র্যাক তৈরি করতে লাগে ২০ হাজার টন ইস্পাত। কাঠ ও কাচ দিয়ে ভেতরের অংশ সাজানো প্রতিটি বগি ৬৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। রেল ট্র্যাক কিছুটা বিস্তৃত হয়ে এখনকার পর্যায়ে পৌঁছায় ১৯০৩ সালে। এর দৈর্ঘ্য ১৩.৩ কিলোমিটার বা ৮.৩ মাইল। গোটা রেললাইনের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মোটে আধা ঘণ্টা। চলার পথে পড়ে মোট ২০টি স্টেশন। ২৪ ঘণ্টায় যতবার ইচ্ছা ট্রেনভ্রমণের টিকিটের জন্য গুনতে হবে ৭.৩০ ইউরো বা ৮২৮ টাকা। একবার ভ্রমণের জন্য টিকিট কাটলে পড়বে তিন ইউরো বা ৩৫৪ টাকা।
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
১০ মে, ২০২৩, 4:30 PM

ট্রেন রেললাইনের উপর দিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন উল্টোভাবে রেললাইনের নিচ দিয়ে চলছে, তাহলে নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে!
তবে সত্যি এ ধরনের ট্রেন আছে। এর দেখা পেতে হলে যেতে হবে জার্মানির উত্তর রাইন রাজ্যের শহর উপেরতালে। এখানকার সোয়েবেবান রেলওয়েতে দেখা যাবে এমন আশ্চর্য ট্রেনের।
এ ধরনের রেলওয়ে পরিচিত ঝুলন্ত বা সাসপেনশন রেলওয়ে নামে। পাইলন বা খুঁটির সাথে ঝুলতে থাকা রেল ট্র্যাকের নিচ দিয়ে ঝুলতে ঝুলতে চলে যায়। রাস্তা, ঘরবাড়ি, নদীসহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকের উপর দিয়ে ছুটে যায় ট্রেনের বগিগুলো। উল্টো বলা হলেও আসলে কিন্তু মোটেই উল্টে থাকে না বগিগুলো। বরং রেল ট্র্যাকের নিচ দিয়ে ঝুলে যাওয়ায় এমনটা মনে হয়।
পৃথিবীতে এমন ঝুলন্ত রেলওয়ে আছে জাপানেও। জার্মানির এই মনোরেল শহরের যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ট্রেনে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৯০১ সালে।
ঝুলন্ত এই রেল ট্র্যাক তৈরি করতে লাগে ২০ হাজার টন ইস্পাত। কাঠ ও কাচ দিয়ে ভেতরের অংশ সাজানো প্রতিটি বগি ৬৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। রেল ট্র্যাক কিছুটা বিস্তৃত হয়ে এখনকার পর্যায়ে পৌঁছায় ১৯০৩ সালে। এর দৈর্ঘ্য ১৩.৩ কিলোমিটার বা ৮.৩ মাইল। গোটা রেললাইনের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মোটে আধা ঘণ্টা। চলার পথে পড়ে মোট ২০টি স্টেশন। ২৪ ঘণ্টায় যতবার ইচ্ছা ট্রেনভ্রমণের টিকিটের জন্য গুনতে হবে ৭.৩০ ইউরো বা ৮২৮ টাকা। একবার ভ্রমণের জন্য টিকিট কাটলে পড়বে তিন ইউরো বা ৩৫৪ টাকা।