তালিকায় অস্তিত্বহীন স্কুল, সরকারীকরণে সতর্ক হতে হবে

নাগরিক ডেস্ক
২৫ এপ্রিল, ২০২৩, 10:07 PM

তালিকায় অস্তিত্বহীন স্কুল, সরকারীকরণে সতর্ক হতে হবে
সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা। দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে হলে শিক্ষা সুবিধা সম্প্রসারিত করতে হবে। শিক্ষার্থীর দুয়ারে নিয়ে যেতে হবে শিক্ষার সব সুযোগ। তার প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এবং শিক্ষার মান বাড়ানো। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রয়োজনীয় শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
এটা ঠিক যে দেশের প্রত্যন্ত ও অনুন্নত এলাকাগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে নাগরিক সুবিধায় সাম্য আনা সম্ভব হবে না। শিক্ষার মানের উন্নতির প্রথম শর্ত ভালো শিক্ষক। যেকোনো পর্যায়ের শিক্ষকতার চেয়ে প্রাথমিকে শিক্ষকতা কঠিন। স্পর্শকাতর ও কোমলমতি শিশুদের বুঝে শিক্ষা দিতে হয়। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায়, চাকরি পেলেই শিক্ষক হয়ে যাচ্ছেন। অনেক পরে হয়তো তাঁদের প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়।
আবার এটাও সত্য যে সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারীরাই আসছেন প্রাথমিকের শিক্ষকতায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকেই কোনো চাকরি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতায় এসেছেন। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষার মান সেভাবে বাড়ছে না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল। সে জন্যই শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের সময় যদি জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়, তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে অসত্য তথ্য দিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অস্তিত্বহীন ১১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের চেষ্টা চলছে। ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসন থেকে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লিখিত সদর উপজেলার ৬১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকায় এই ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ছিল না। এই ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ও তথ্য পিইএমআইএসে সংযোজন করা হয়েছে ২০২১ সালে।
এসব বিদ্যালয়ের প্রতিটির একতলা ভবন, নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জমি ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবছর এসব ভুয়া তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অনেকে বিদ্যালয় সরকারীকরণের জন্য কয়েক লাখ টাকাও ব্যয় করেছেন। অনেক স্কুলের জন্য যে জমি দেখানো হয়েছে, সেটি আসলে বোরো ধানের ক্ষেত। আমরা আশা করি, এসব বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাগরিক ডেস্ক
২৫ এপ্রিল, ২০২৩, 10:07 PM

সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা। দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে হলে শিক্ষা সুবিধা সম্প্রসারিত করতে হবে। শিক্ষার্থীর দুয়ারে নিয়ে যেতে হবে শিক্ষার সব সুযোগ। তার প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এবং শিক্ষার মান বাড়ানো। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রয়োজনীয় শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
এটা ঠিক যে দেশের প্রত্যন্ত ও অনুন্নত এলাকাগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে নাগরিক সুবিধায় সাম্য আনা সম্ভব হবে না। শিক্ষার মানের উন্নতির প্রথম শর্ত ভালো শিক্ষক। যেকোনো পর্যায়ের শিক্ষকতার চেয়ে প্রাথমিকে শিক্ষকতা কঠিন। স্পর্শকাতর ও কোমলমতি শিশুদের বুঝে শিক্ষা দিতে হয়। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায়, চাকরি পেলেই শিক্ষক হয়ে যাচ্ছেন। অনেক পরে হয়তো তাঁদের প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়।
আবার এটাও সত্য যে সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারীরাই আসছেন প্রাথমিকের শিক্ষকতায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকেই কোনো চাকরি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতায় এসেছেন। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষার মান সেভাবে বাড়ছে না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল। সে জন্যই শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের সময় যদি জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়, তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে অসত্য তথ্য দিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অস্তিত্বহীন ১১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের চেষ্টা চলছে। ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসন থেকে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লিখিত সদর উপজেলার ৬১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকায় এই ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ছিল না। এই ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ও তথ্য পিইএমআইএসে সংযোজন করা হয়েছে ২০২১ সালে।
এসব বিদ্যালয়ের প্রতিটির একতলা ভবন, নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জমি ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবছর এসব ভুয়া তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অনেকে বিদ্যালয় সরকারীকরণের জন্য কয়েক লাখ টাকাও ব্যয় করেছেন। অনেক স্কুলের জন্য যে জমি দেখানো হয়েছে, সেটি আসলে বোরো ধানের ক্ষেত। আমরা আশা করি, এসব বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।