শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে চার লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

নাগরিক প্রতিবেদক
২২ এপ্রিল, ২০২৩, 3:24 PM

শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে চার লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে দেশে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় চার লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। দৈনিক বাংলা, প্রথম আলো
শোলাকিয়ায় এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের ১৯৬তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো। নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে ঈদগাহ ময়দানের রেওয়াজ অনুযায়ী পরপর তিনবার শটগানের গুলি ছুড়ে মুসল্লিদের নামাজে দাঁড়ানোর সংকেত দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবারও দেশ-বিদেশের চার লাখেরও বেশি মানুষ এ ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন।
গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) থেকে শুরু করে শনিবার (২২ এপ্রিল) ভোর পর্যন্ত লাখ লাখ মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে। সকাল সাড়ে ৮টার আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা-ঘাট, বাসাবাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পারে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়িয়ে যান।
শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে গত দুই দিন ধরেই কুমিল্লা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে লোকজন আসতে শুরু করেন। অনেকে আবার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে ও ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত্রিযাপন করেন। ভোরে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষের গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগা ময়দানে আসেন। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রতিবারের মতো এবারেও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে গিয়ে সকাল ৮টায় কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে আসে। অন্যটি ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে গিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। পরবর্তীতে ট্রেন দুটি দুপুর ১২টায় আগত মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব ও ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে করতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহন করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ), পাঁচ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং জেলা পুলিশের সহস্রাধিক সদস্য। মাঠের ভেতর ও বাইরে ছিল ৬৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণের জন্য ছিল চারটি ড্রোন। ছয়টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে আগত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ ছাড়া মাঠের ভেতর-বাইরে কিছু স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে মুঠোফোন, ছাতা বা কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু পাতলা জায়নামাজ নিয়ে নামাজ আদায় করতে আসেন মুসল্লিরা।
নাগরিক প্রতিবেদক
২২ এপ্রিল, ২০২৩, 3:24 PM

সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে দেশে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় চার লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। দৈনিক বাংলা, প্রথম আলো
শোলাকিয়ায় এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের ১৯৬তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো। নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে ঈদগাহ ময়দানের রেওয়াজ অনুযায়ী পরপর তিনবার শটগানের গুলি ছুড়ে মুসল্লিদের নামাজে দাঁড়ানোর সংকেত দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবারও দেশ-বিদেশের চার লাখেরও বেশি মানুষ এ ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন।
গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) থেকে শুরু করে শনিবার (২২ এপ্রিল) ভোর পর্যন্ত লাখ লাখ মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে। সকাল সাড়ে ৮টার আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা-ঘাট, বাসাবাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পারে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়িয়ে যান।
শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে গত দুই দিন ধরেই কুমিল্লা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে লোকজন আসতে শুরু করেন। অনেকে আবার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে ও ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত্রিযাপন করেন। ভোরে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষের গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগা ময়দানে আসেন। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রতিবারের মতো এবারেও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে গিয়ে সকাল ৮টায় কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে আসে। অন্যটি ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে গিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। পরবর্তীতে ট্রেন দুটি দুপুর ১২টায় আগত মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব ও ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে করতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহন করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ), পাঁচ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং জেলা পুলিশের সহস্রাধিক সদস্য। মাঠের ভেতর ও বাইরে ছিল ৬৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণের জন্য ছিল চারটি ড্রোন। ছয়টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে আগত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ ছাড়া মাঠের ভেতর-বাইরে কিছু স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে মুঠোফোন, ছাতা বা কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু পাতলা জায়নামাজ নিয়ে নামাজ আদায় করতে আসেন মুসল্লিরা।