উজিরপুরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে গভীর রাতে ইউপি সদস্য'র বসতঘরে হামলা

#
news image

বরিশাল জেলার উজিরপুরে মামলা তুলে না নেয়ায় গভীর রাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ইউপি সদস্য'র বসতঘরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের সানুহার গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য, বামরাইল ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মোঃ খোকন হাওলাদারের বসতঘরে এ তান্ডব চালায় প্রতিপক্ষরা। ৫ মার্চ রবিবার রাত আড়াইটার দিকে সানুহার গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদার (৩২) ও মোঃ শাহাদাত হোসেন হাওলাদারের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে ডায়মন্ড (৩২)সহ অজ্ঞাত ১০/১২জন সন্ত্রাসী পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে।

এতে সন্দেহ হওয়ায়  ডাকচিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসার টের পেলে তারা বসতঘর কুপিয়ে তছনছ করে এবং মামলা তুলে না নিলে পরবর্তীতে ইউপি সদস্য মোঃ খোকন হাওলাদার ও তার একমাত্র ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম সৈকত(৩০)কে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে সটকে পড়ে। পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলে ওই রাতেই মডেল থানার এসআই সজিব মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগী মাহফুজ আলম সৈকত জানান, সানুহার বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারের ব্যবসা করতে হলে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান ডায়মন্ডসহ সন্ত্রাসীরা।

দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৯ জানুয়ারি রাতে সানুহার বন্দরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি,লোহার রড ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালায়। দীর্ঘদিন বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হই। এরপরেও ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই সন্ত্রাসীরা। পূনরায় আমাদের বসতঘরে হামলা চালায় এবং আমাকে ও আমার বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। এছাড়াও  হামলা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা।

ইউপি সদস্য খোকন হাওলাদার জানান তারা এলাকায় মূর্তিয়মান আতঙ্ক। তাদের ভয়ে মুখ খুলেছে এলাকার সাধারণরা। একের পর এক তাদের হামলা ও হুমকির মুখে প্রতিনিয়ত আমার পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান ডায়মন্ডের কাছে বিষয়টি জানার জন্য ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভ‚ক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ও ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোঃ মাহফুজুর রহমান, উজিরপুর

০৬ মার্চ, ২০২৩,  7:09 PM

news image

বরিশাল জেলার উজিরপুরে মামলা তুলে না নেয়ায় গভীর রাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ইউপি সদস্য'র বসতঘরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের সানুহার গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য, বামরাইল ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মোঃ খোকন হাওলাদারের বসতঘরে এ তান্ডব চালায় প্রতিপক্ষরা। ৫ মার্চ রবিবার রাত আড়াইটার দিকে সানুহার গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদার (৩২) ও মোঃ শাহাদাত হোসেন হাওলাদারের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে ডায়মন্ড (৩২)সহ অজ্ঞাত ১০/১২জন সন্ত্রাসী পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে।

এতে সন্দেহ হওয়ায়  ডাকচিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসার টের পেলে তারা বসতঘর কুপিয়ে তছনছ করে এবং মামলা তুলে না নিলে পরবর্তীতে ইউপি সদস্য মোঃ খোকন হাওলাদার ও তার একমাত্র ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম সৈকত(৩০)কে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে সটকে পড়ে। পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলে ওই রাতেই মডেল থানার এসআই সজিব মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগী মাহফুজ আলম সৈকত জানান, সানুহার বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারের ব্যবসা করতে হলে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান ডায়মন্ডসহ সন্ত্রাসীরা।

দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৯ জানুয়ারি রাতে সানুহার বন্দরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি,লোহার রড ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালায়। দীর্ঘদিন বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হই। এরপরেও ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই সন্ত্রাসীরা। পূনরায় আমাদের বসতঘরে হামলা চালায় এবং আমাকে ও আমার বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। এছাড়াও  হামলা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা।

ইউপি সদস্য খোকন হাওলাদার জানান তারা এলাকায় মূর্তিয়মান আতঙ্ক। তাদের ভয়ে মুখ খুলেছে এলাকার সাধারণরা। একের পর এক তাদের হামলা ও হুমকির মুখে প্রতিনিয়ত আমার পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান ডায়মন্ডের কাছে বিষয়টি জানার জন্য ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভ‚ক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ও ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।