নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হওয়া দরকার

নাগরিক ডেস্ক
০৫ মার্চ, ২০২৩, 10:07 AM

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হওয়া দরকার
বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকলে দেশের সকল পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে এর ধারাবাহিকতায় নিত্য পণ্যের দাম ও বাড়তে থাকবে। এতে সবচেয়ে ভুক্তভোগী হবে নিম্ন আয়ের মানুষ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করা দরকার তা করা সম্ভব হচ্ছেনা। কারণ বৈদেশিক মুদ্রা ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলছে না ব্যাংক। ফলে তেলের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজান। এই রমজানে দেখা দিতে পাড়ে প্রচণ্ড লোডশেডিং। মার্চের শেষ দিক ও এপ্রিল মাসজুড়ে রমজান মাসে গরমের সময়। এ সময় প্রচণ্ড গরমে রোজাদারদের জন্য বিদ্যুৎ আবশ্যক। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ডলার সংকটে এলসি খুলতে পারছে না বলে বিআইপিপিএর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, প্রয়োজনীয় তেল আমদানি করতে না পারায় অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে লোডশেডিংয়ের মধ্যে পড়তে হবে। এছাড়াও রমজান মাসে চতুর্মুখী সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্যাস ও কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। ডলার সঙ্কটে আমদানিতে ভাঁটা পড়েছে। ব্যবসায়ীর টাকা দিয়ে ব্যাংক এলসি খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। কয়লার অভাবে এরইমধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ এবং পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমনিতেই পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তার মধ্যে মার্চ-এপ্রিলের গরমে রমজান মাসে গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হবে মানুষ। রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আসা করে মানুষ। কিন্তু কিছুই সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সঙ্কট: শতভাগ বিদ্যুতের ঘোষণা দেয়া হলেও বিদ্যুৎ সঙ্কটে ভোগান্তিতে লাখো গ্রাহক। রমজান মাসে (গ্রীষ্ম) লোডশেডিং মোকাবিলা করতে সরকার ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গ্যাসের অভাবে অনেক দিন থেকেই কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়লার অভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হতে যাচ্ছে।
রামপালের মজুত কয়লা দিয়ে বড়জোর এক সপ্তাহ আর পায়রার মজুত কয়লায় বড়জোর দুই সপ্তাহ চালু থাকতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সঙ্কটের কারণে এলসি বা ঋণপত্র খুলতে পারছে না এ দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পায়রর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার টাকা ১২ মাস বাকি পড়েছে। ডলার সঙ্কটের কারণে এই অর্থ দেয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ডলার সহায়তা দেয়াও জরুরি। তাহলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। এতে শান্তির সন্ধান পাবে মানুষ।
নাগরিক ডেস্ক
০৫ মার্চ, ২০২৩, 10:07 AM

বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকলে দেশের সকল পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে এর ধারাবাহিকতায় নিত্য পণ্যের দাম ও বাড়তে থাকবে। এতে সবচেয়ে ভুক্তভোগী হবে নিম্ন আয়ের মানুষ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করা দরকার তা করা সম্ভব হচ্ছেনা। কারণ বৈদেশিক মুদ্রা ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলছে না ব্যাংক। ফলে তেলের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজান। এই রমজানে দেখা দিতে পাড়ে প্রচণ্ড লোডশেডিং। মার্চের শেষ দিক ও এপ্রিল মাসজুড়ে রমজান মাসে গরমের সময়। এ সময় প্রচণ্ড গরমে রোজাদারদের জন্য বিদ্যুৎ আবশ্যক। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ডলার সংকটে এলসি খুলতে পারছে না বলে বিআইপিপিএর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, প্রয়োজনীয় তেল আমদানি করতে না পারায় অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে লোডশেডিংয়ের মধ্যে পড়তে হবে। এছাড়াও রমজান মাসে চতুর্মুখী সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্যাস ও কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। ডলার সঙ্কটে আমদানিতে ভাঁটা পড়েছে। ব্যবসায়ীর টাকা দিয়ে ব্যাংক এলসি খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। কয়লার অভাবে এরইমধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ এবং পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমনিতেই পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তার মধ্যে মার্চ-এপ্রিলের গরমে রমজান মাসে গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হবে মানুষ। রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আসা করে মানুষ। কিন্তু কিছুই সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সঙ্কট: শতভাগ বিদ্যুতের ঘোষণা দেয়া হলেও বিদ্যুৎ সঙ্কটে ভোগান্তিতে লাখো গ্রাহক। রমজান মাসে (গ্রীষ্ম) লোডশেডিং মোকাবিলা করতে সরকার ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গ্যাসের অভাবে অনেক দিন থেকেই কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়লার অভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হতে যাচ্ছে।
রামপালের মজুত কয়লা দিয়ে বড়জোর এক সপ্তাহ আর পায়রার মজুত কয়লায় বড়জোর দুই সপ্তাহ চালু থাকতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সঙ্কটের কারণে এলসি বা ঋণপত্র খুলতে পারছে না এ দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পায়রর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার টাকা ১২ মাস বাকি পড়েছে। ডলার সঙ্কটের কারণে এই অর্থ দেয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ডলার সহায়তা দেয়াও জরুরি। তাহলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। এতে শান্তির সন্ধান পাবে মানুষ।