বকশীগঞ্জে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আটক মাদক ব্যবসায়ী!

#
news image

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ ও বিচক্ষণতায় মাদক মামলা থেকে রক্ষা পান মসজিদ কমিটির সভাপতি মুর্শিদ মিয়া। এ ঘটনায় ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ।  

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বৈষ্ণবপাড়া গ্রামের জামে মসজিদের সভাপতি মুর্শিদ মিয়ার(৫৫) সাথে পাশবর্তী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইস্রাফিল আলমের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলছিলো। রোববার রাতে মুর্শিদ মিয়ার বাড়ির পেছনে ফেনসিডিল রয়েছে এমন তথ্য পুলিশকে জানান ইস্রাফিল আলম (৪৫)। এমন খবরের ভিত্তিতে থানা পুলিশ রাত ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে মুর্শিদ মিয়ার বাড়ির পেছন থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এসময় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহেল রানা ঘটনাটি অবহিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন এবং অভিযোগকারী ইস্রাফিল আলমের গতিবিধি অনুসরণ করেন, এক পর্যায়ে ইস্রাফিলকে সন্দেহজনক হলে তাকে আটক করা হয়। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মুর্শিদ মিয়াকে ফাঁসাতে তিনি ও তার এক সহযোগী ফেনসিডিলের বোতলগুলো রেখেছেন বলে পুলিশকে জানায় ইস্রাফিল আলম। 

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, এই ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি মুর্শিদ মিয়াকে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক উমর ফারুক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ইস্রাফিল আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইস্রাফিল আলমকে সোমবার দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পার্শবর্তী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। 

উল্লেখ্য, রহস্য উদঘাটন করে নিরীহ ওই পরিবারকে রক্ষা করায় স্থানীয় এলাকাবাসী নবাগত ওসি সোহেল রানার ভূমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

আসমাউল আসিফ, জামালপুর 

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  8:34 PM

news image

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ ও বিচক্ষণতায় মাদক মামলা থেকে রক্ষা পান মসজিদ কমিটির সভাপতি মুর্শিদ মিয়া। এ ঘটনায় ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ।  

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বৈষ্ণবপাড়া গ্রামের জামে মসজিদের সভাপতি মুর্শিদ মিয়ার(৫৫) সাথে পাশবর্তী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইস্রাফিল আলমের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলছিলো। রোববার রাতে মুর্শিদ মিয়ার বাড়ির পেছনে ফেনসিডিল রয়েছে এমন তথ্য পুলিশকে জানান ইস্রাফিল আলম (৪৫)। এমন খবরের ভিত্তিতে থানা পুলিশ রাত ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে মুর্শিদ মিয়ার বাড়ির পেছন থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এসময় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহেল রানা ঘটনাটি অবহিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন এবং অভিযোগকারী ইস্রাফিল আলমের গতিবিধি অনুসরণ করেন, এক পর্যায়ে ইস্রাফিলকে সন্দেহজনক হলে তাকে আটক করা হয়। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মুর্শিদ মিয়াকে ফাঁসাতে তিনি ও তার এক সহযোগী ফেনসিডিলের বোতলগুলো রেখেছেন বলে পুলিশকে জানায় ইস্রাফিল আলম। 

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, এই ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি মুর্শিদ মিয়াকে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক উমর ফারুক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ইস্রাফিল আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইস্রাফিল আলমকে সোমবার দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পার্শবর্তী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। 

উল্লেখ্য, রহস্য উদঘাটন করে নিরীহ ওই পরিবারকে রক্ষা করায় স্থানীয় এলাকাবাসী নবাগত ওসি সোহেল রানার ভূমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।