যমজ চার কন্যা সন্তানকে খেতে দিতে পারছে না কাঠমিস্ত্রী পিতা

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 7:13 PM

যমজ চার কন্যা সন্তানকে খেতে দিতে পারছে না কাঠমিস্ত্রী পিতা
ত্রিশ বছর বয়সী আতাউর রহমান বাবু জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামে থাকেন। অভাব অনটনের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা তার। স্ত্রী ও চার যমজ কন্যা সন্তানদের ঠিকমতো ভরণপোষণ দিতে না পেরে ভীষণ বিষণ্নতায় কাটছে তার এক একটি দিন।
আতাউর রহমান বাবু জানান, দীর্ঘদিন নি:সন্তান থাকার পর আল্লাহর রহমতে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী আমার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম একটি বেসরকারী এ্যাপোলো হাসপাতালে ৪টি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। নাম রাখা হয় ফাতেমা, কুলসুম, মরিয়ম ও জয়নব। গ্রামের উৎসুক নারী পুরুষ যমজ চার বাচ্চাদের দেখতে আসলেও বিষন্নতা ছাড়ছে না বাবু ও আঞ্জুমায়ার। তাদের লালন পালন করতে হিমশিম খাচ্ছে কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবু। অন্যের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে যা উপার্জন তা দিয়েই চাল ডাল ক্রয় করাই কঠিন হয়ে পড়ে। চার যমজ কন্যা সন্তানদের জন্য ২দিন পর পর এক হাজার টাকার দুধ কিনতে হয় যা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, দানশীল ব্যক্তিবর্গ ও সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবু এবং তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, আল্লাহতালা ৪টি কন্যা সন্তান দিয়েছেন এতে অনেক খুশি আমরা। কিন্তু অভাবের সংসারে বাচ্চাদের খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। বিকাশ-01927768064 এই নাম্বারে যে যতটুকু পারেন সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হল।
এ-বিষয়ে সাতপোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ঐ শিশুদের মায়ের নামে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। সেখান থেকে সে মাসে মাসে টাকা পাবে। এছাড়া তারা পরিষদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতা পাবে।
রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 7:13 PM

ত্রিশ বছর বয়সী আতাউর রহমান বাবু জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামে থাকেন। অভাব অনটনের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা তার। স্ত্রী ও চার যমজ কন্যা সন্তানদের ঠিকমতো ভরণপোষণ দিতে না পেরে ভীষণ বিষণ্নতায় কাটছে তার এক একটি দিন।
আতাউর রহমান বাবু জানান, দীর্ঘদিন নি:সন্তান থাকার পর আল্লাহর রহমতে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী আমার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম একটি বেসরকারী এ্যাপোলো হাসপাতালে ৪টি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। নাম রাখা হয় ফাতেমা, কুলসুম, মরিয়ম ও জয়নব। গ্রামের উৎসুক নারী পুরুষ যমজ চার বাচ্চাদের দেখতে আসলেও বিষন্নতা ছাড়ছে না বাবু ও আঞ্জুমায়ার। তাদের লালন পালন করতে হিমশিম খাচ্ছে কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবু। অন্যের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে যা উপার্জন তা দিয়েই চাল ডাল ক্রয় করাই কঠিন হয়ে পড়ে। চার যমজ কন্যা সন্তানদের জন্য ২দিন পর পর এক হাজার টাকার দুধ কিনতে হয় যা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, দানশীল ব্যক্তিবর্গ ও সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবু এবং তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, আল্লাহতালা ৪টি কন্যা সন্তান দিয়েছেন এতে অনেক খুশি আমরা। কিন্তু অভাবের সংসারে বাচ্চাদের খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। বিকাশ-01927768064 এই নাম্বারে যে যতটুকু পারেন সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হল।
এ-বিষয়ে সাতপোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ঐ শিশুদের মায়ের নামে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। সেখান থেকে সে মাসে মাসে টাকা পাবে। এছাড়া তারা পরিষদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতা পাবে।