বকশীগঞ্জে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

#
news image

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদারের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নিজ বাসভবনে বিছানায় শুয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন জুমান তালুকদারের স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাফিয়া ইসলাম রোমকী। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাফিয়া ইসলাম রোমকী বলেন, গত বছরের ২৮ নভেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি করা হয় সাবেক মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমকে। শাহীনা বেগম ও তার বাবা আব্দুল কাইয়ুম মুন্সীকে নিয়ে একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হলে আমার স্বামী সংবাদটি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। একারণে আমার স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয় শাহীনা বেগম। রোমকী আরও বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় যান। ২৫ ডিসেম্বর আমি ও আমার শিশু কন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হই। তখন থেকে আমার স্বামী আমাদের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য যখন আমাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন ওই সময় আমার স্বামী আমার সাথেই সেখানে ছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারী রাতে আমার স্বামী ঔষধ আনতে বাইরে গেলে পঙ্গু হাসপাতালের গেট থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মূলত, গত ২৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাড়িতে কথিত ডাকাতির ঘটনায় ফাঁসাতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদারকে মিথ্যা মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের গেট থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামালপুরে এনে ডাকাতি মামলায় জেলে পাঠানো হয়।   

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই ডাকাতির ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ডাকাতির রহস্যের জট খুলে যাবে। এছাড়াও শাহীনা বেগমের বিভিন্ন ধরণের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই মিথ্যা ও সাজানো ডাকাতি মামলা থেকে আমার স্বামী জুমান তালুকদারের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি। 

সংবাদ সম্মেলনে জুমান তালুকদারের মা জুলেখা বেগম, বড় কন্যা জুয়ারিয়া জান্নাত জারা, ছোট কন্যা জান্নাতুল নাইম জেসিয়া উপস্থিত ছিলেন। 

আসমাউল আসিফ, জামালপুর 

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  5:04 PM

news image

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদারের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নিজ বাসভবনে বিছানায় শুয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন জুমান তালুকদারের স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাফিয়া ইসলাম রোমকী। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাফিয়া ইসলাম রোমকী বলেন, গত বছরের ২৮ নভেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি করা হয় সাবেক মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমকে। শাহীনা বেগম ও তার বাবা আব্দুল কাইয়ুম মুন্সীকে নিয়ে একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হলে আমার স্বামী সংবাদটি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। একারণে আমার স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয় শাহীনা বেগম। রোমকী আরও বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় যান। ২৫ ডিসেম্বর আমি ও আমার শিশু কন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হই। তখন থেকে আমার স্বামী আমাদের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য যখন আমাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন ওই সময় আমার স্বামী আমার সাথেই সেখানে ছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারী রাতে আমার স্বামী ঔষধ আনতে বাইরে গেলে পঙ্গু হাসপাতালের গেট থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মূলত, গত ২৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাড়িতে কথিত ডাকাতির ঘটনায় ফাঁসাতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদারকে মিথ্যা মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের গেট থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামালপুরে এনে ডাকাতি মামলায় জেলে পাঠানো হয়।   

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই ডাকাতির ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ডাকাতির রহস্যের জট খুলে যাবে। এছাড়াও শাহীনা বেগমের বিভিন্ন ধরণের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই মিথ্যা ও সাজানো ডাকাতি মামলা থেকে আমার স্বামী জুমান তালুকদারের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি। 

সংবাদ সম্মেলনে জুমান তালুকদারের মা জুলেখা বেগম, বড় কন্যা জুয়ারিয়া জান্নাত জারা, ছোট কন্যা জান্নাতুল নাইম জেসিয়া উপস্থিত ছিলেন।