মৌলভীবাজারের প্রতিবন্ধির ছেলে অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী ছাত্র দেলোয়ার হোসেন

#
news image

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ  উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের রিক্সা চালক কনু মিয়ার ও মা প্রতিবন্ধি দিলারা বেগমের  ছেলে  দেলোয়ার হোসেন।  অনেক সময় টাকার কাছে হেরে যায় মানুষের বিবেক আবার টাকার অভাবে বাধা গ্রস্থ হয়ে যায় আগত উজ্জল ভবিষ্যৎ। তেমনি অস্বচ্ছল পরিবারের একজন মেধাবী  উজ্জল নক্ষত্রের নাম দেলোয়ার হোসেন। শত দারিদ্র্যতায়ও দমাতে পারেনি অদম্য মেধাবী এই ছেলে । কিন্ত এখনো জানেনা তারা আদ্যে কলেজে ভর্র্তি হতে পারবে কিনা।

প্রতিবন্ধির ছেলে অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী ছাত্র মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত অবহেলিত, দিনমজুর পরিবারের ছেলে মেয়েরা শত অভাব অনটন সহ নিদারুন কষ্টে লেখাপড়া করে কেউ জিপিএ-ফোর সহ ভালো রিজাল্ট করেছে।

বাবা মা ও এক বোন  সহ মোট চার  জন মিলে তাদের পরিবার। তার পিতা একজন  রিক্সা চালক। দারিদ্রতার মধ্যে থেকেও সে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০২০ সালে এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শমশেরনগর এসএসসি  জিপিএ ৩.৬৭ । এইচএসসি জিপিএ  ৪.০৮. ২০২২ শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেমনি রয়েছে তার মেধাগত প্রভাব তেমনিভাবে এলাকায় সকলের ভালোবাসার পাত্র সে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগুরুগন গর্বের সাথে সর্বদা সাফল্য কামনা করে তার। তাদের দোঁয়া ও অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে এতোদুরের পথচলা দেলোয়ার হোসেন ।

এই অবস্থায় অর্থের সাথে যুদ্ধ করে কতদুর অগ্রসর হতে পারবে তার স্বপ্ন?
পরিবারের সন্তানের  ভালো ফলাফল করায় নিজ বিদ্যালয় এবং এলাকায় আনন্দের ঢল নামলেও দেলোয়ারদের পরিবারে ছেলের উচ্চশিক্ষা অর্জনে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে আশংকার বাতাস বইছে।অশ্রুঝরা চোখে  জানায়, “ছোটবেলা থেকে পুলিশ অফিসার হবে এই সপ্ন। পড়ার স্বপ্ন লালন করে নানান বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এসেছি। আমার খুবই ইচ্ছ পুলিশ অফিসার  হবে  সমাজের মানুষের পাসে দাড়ানোর কিন্তু আল্লাহ ভালো জানেন আমার এই স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়ন হবে।” অনেক মেধাবী হওয়া সত্বেও তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের যুদ্ধে হয়তো পরাজিত হতে পারে বলে জানায় প্রতিবন্ধি মা ।

তার পড়াশুনার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর তাই অর্থের অভাবেই হয়তো তার  স্বপ্নটা বাস্তব রুপ লাভ করা সম্ভব  হয়ে  উঠবে না। সমাজের স্বহৃদয়বান ব্যাক্তিদের আর্থিক সহযোগিতাই তার এই স্বপ্নের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে পারে।

তার বাবা-মা প্রভাবশালী মহলের প্রতি আকুল আবেদন দেলোয়ার হোসেন  আপনাদের নিজের সন্তান ভেবে ওর জন্য একটু সহযোগীতার হাত বাড়ীয়ে দিলে হয়তো দেলোয়ার হোসেন  লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। নয়তো সপ্ন সপ্ন তেকে যাবে।

মা একজন শারীরীক প্রতিবন্ধি হওয়ায় কলেজে ভর্তি হওয়া সহ লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার অর্থের যোগান দেওয়ার তার পক্ষে অসম্ভব। দেলোয়ার এর উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাবা কনু মিয়ার ও মা প্রতিবন্ধি দিলারা বেগমে  প্রধানমন্ত্রী সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

 

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার 

০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  4:55 PM

news image

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ  উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের রিক্সা চালক কনু মিয়ার ও মা প্রতিবন্ধি দিলারা বেগমের  ছেলে  দেলোয়ার হোসেন।  অনেক সময় টাকার কাছে হেরে যায় মানুষের বিবেক আবার টাকার অভাবে বাধা গ্রস্থ হয়ে যায় আগত উজ্জল ভবিষ্যৎ। তেমনি অস্বচ্ছল পরিবারের একজন মেধাবী  উজ্জল নক্ষত্রের নাম দেলোয়ার হোসেন। শত দারিদ্র্যতায়ও দমাতে পারেনি অদম্য মেধাবী এই ছেলে । কিন্ত এখনো জানেনা তারা আদ্যে কলেজে ভর্র্তি হতে পারবে কিনা।

প্রতিবন্ধির ছেলে অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী ছাত্র মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত অবহেলিত, দিনমজুর পরিবারের ছেলে মেয়েরা শত অভাব অনটন সহ নিদারুন কষ্টে লেখাপড়া করে কেউ জিপিএ-ফোর সহ ভালো রিজাল্ট করেছে।

বাবা মা ও এক বোন  সহ মোট চার  জন মিলে তাদের পরিবার। তার পিতা একজন  রিক্সা চালক। দারিদ্রতার মধ্যে থেকেও সে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০২০ সালে এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শমশেরনগর এসএসসি  জিপিএ ৩.৬৭ । এইচএসসি জিপিএ  ৪.০৮. ২০২২ শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেমনি রয়েছে তার মেধাগত প্রভাব তেমনিভাবে এলাকায় সকলের ভালোবাসার পাত্র সে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগুরুগন গর্বের সাথে সর্বদা সাফল্য কামনা করে তার। তাদের দোঁয়া ও অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে এতোদুরের পথচলা দেলোয়ার হোসেন ।

এই অবস্থায় অর্থের সাথে যুদ্ধ করে কতদুর অগ্রসর হতে পারবে তার স্বপ্ন?
পরিবারের সন্তানের  ভালো ফলাফল করায় নিজ বিদ্যালয় এবং এলাকায় আনন্দের ঢল নামলেও দেলোয়ারদের পরিবারে ছেলের উচ্চশিক্ষা অর্জনে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে আশংকার বাতাস বইছে।অশ্রুঝরা চোখে  জানায়, “ছোটবেলা থেকে পুলিশ অফিসার হবে এই সপ্ন। পড়ার স্বপ্ন লালন করে নানান বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এসেছি। আমার খুবই ইচ্ছ পুলিশ অফিসার  হবে  সমাজের মানুষের পাসে দাড়ানোর কিন্তু আল্লাহ ভালো জানেন আমার এই স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়ন হবে।” অনেক মেধাবী হওয়া সত্বেও তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের যুদ্ধে হয়তো পরাজিত হতে পারে বলে জানায় প্রতিবন্ধি মা ।

তার পড়াশুনার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর তাই অর্থের অভাবেই হয়তো তার  স্বপ্নটা বাস্তব রুপ লাভ করা সম্ভব  হয়ে  উঠবে না। সমাজের স্বহৃদয়বান ব্যাক্তিদের আর্থিক সহযোগিতাই তার এই স্বপ্নের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে পারে।

তার বাবা-মা প্রভাবশালী মহলের প্রতি আকুল আবেদন দেলোয়ার হোসেন  আপনাদের নিজের সন্তান ভেবে ওর জন্য একটু সহযোগীতার হাত বাড়ীয়ে দিলে হয়তো দেলোয়ার হোসেন  লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। নয়তো সপ্ন সপ্ন তেকে যাবে।

মা একজন শারীরীক প্রতিবন্ধি হওয়ায় কলেজে ভর্তি হওয়া সহ লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার অর্থের যোগান দেওয়ার তার পক্ষে অসম্ভব। দেলোয়ার এর উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাবা কনু মিয়ার ও মা প্রতিবন্ধি দিলারা বেগমে  প্রধানমন্ত্রী সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।