রাজশাহীতে অবৈধভাবে চলছে পুকুর ভরাট

#
news image

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- আরডিএ'র তেমন কোনো তৎপরতা না থাকার কারনে নগরীতে একের পর এক পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরডিএ'র কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

রাজশাহী মহানগরীতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলছে পুকুর ও জলাশয় ভরাটের কাজ।

সরে জমিনে, রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া জিয়া পার্ক সংলগ্ন রাসিকের নার্সারির বেড়া ভেঙ্গে পুকুর ভরাটের কাজ করতে দেখা যায়।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে এ কাজ করছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শাহাদাত আলী শাহুর নাম ভাঙিয়ে শাহিন মৃধা, এ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা পুকুর ভরাট করে আসছে এ চক্রটি । নগরীর নওদাপাড়া বাগান পাড়া এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে এই 
শাহিন মৃধা।

গত ৭ ফেব্রুয়ারী ডা. এনামুক হকের ১৪৫ ধারা জারিকৃত সম্পত্তিতে ১০ টি ড্রামট্রাক দিয়ে ভরাটের কাজ চালাচ্ছিলেন সাহিন একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। 

এ বিষয়ে শাহিন মৃধা সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন আমি এ ভরাট কাজের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নায়।

নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের একে একে সবগুলো পুকুর ভরাট হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন পরিবেশবিদ ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বছর খানেক আগে এ ওয়ার্ডে ৫০টির ও অধিক পুকুর ছিল এখন তা নেমে এসেছে ২০ টির মত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসের সাথে যোগসাজশ করে জমির মালিকরা অবৈধ এই কাজটি বৈধ করছে।

সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, জলাশয় ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, 'পুকুর ভরাটের কারণে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সারফেস ওয়াটারের স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে।'

নগর পরিকল্পনাবিদ আজমেরী আফসারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- আরডিএ'র চেয়ারম্যান জিয়াউল হক (যুগ্ম সচিব) বলেন,আমি নতুন জয়েন করেছি এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে পুকুর ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জলাশয় আইনে সব ধরনের পুকুর ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ উল্লেখ থাকলেও এ নিয়ম মানছেন না কেউই।

মোঃ ইসরাফিল হোসেন,রাজশাহী

০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  4:22 PM

news image

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- আরডিএ'র তেমন কোনো তৎপরতা না থাকার কারনে নগরীতে একের পর এক পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরডিএ'র কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

রাজশাহী মহানগরীতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলছে পুকুর ও জলাশয় ভরাটের কাজ।

সরে জমিনে, রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া জিয়া পার্ক সংলগ্ন রাসিকের নার্সারির বেড়া ভেঙ্গে পুকুর ভরাটের কাজ করতে দেখা যায়।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে এ কাজ করছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শাহাদাত আলী শাহুর নাম ভাঙিয়ে শাহিন মৃধা, এ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা পুকুর ভরাট করে আসছে এ চক্রটি । নগরীর নওদাপাড়া বাগান পাড়া এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে এই 
শাহিন মৃধা।

গত ৭ ফেব্রুয়ারী ডা. এনামুক হকের ১৪৫ ধারা জারিকৃত সম্পত্তিতে ১০ টি ড্রামট্রাক দিয়ে ভরাটের কাজ চালাচ্ছিলেন সাহিন একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। 

এ বিষয়ে শাহিন মৃধা সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন আমি এ ভরাট কাজের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নায়।

নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের একে একে সবগুলো পুকুর ভরাট হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন পরিবেশবিদ ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বছর খানেক আগে এ ওয়ার্ডে ৫০টির ও অধিক পুকুর ছিল এখন তা নেমে এসেছে ২০ টির মত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসের সাথে যোগসাজশ করে জমির মালিকরা অবৈধ এই কাজটি বৈধ করছে।

সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, জলাশয় ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, 'পুকুর ভরাটের কারণে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সারফেস ওয়াটারের স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে।'

নগর পরিকল্পনাবিদ আজমেরী আফসারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- আরডিএ'র চেয়ারম্যান জিয়াউল হক (যুগ্ম সচিব) বলেন,আমি নতুন জয়েন করেছি এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে পুকুর ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জলাশয় আইনে সব ধরনের পুকুর ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ উল্লেখ থাকলেও এ নিয়ম মানছেন না কেউই।