মার্কিন উপসহকারি মন্ত্রীর আলোচ্য নিরাপত্তা, নির্বাচন

#
news image

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার। এছাড়াও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত অর্থ বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

 নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন ও ইউএসএইডের (মার্কিন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা) বাংলাদেশ কার্যালয় বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মেরিটাইম ইউনিট সচিব অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আফরিন আক্তার আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, সেই বিষয়েও আলোচনা করেন। দুই দিনের সফরে শনিবার রাতে তিনি ঢাকা আসেন। এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় ২৬ ঘণ্টার জন্য যাত্রাবিরতি করবেন আফরিন।
আফরিন আক্তার বলেন, আমি এখানে প্রথমবারের মতো এসেছি, সরকারের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি; কীভাবে একসঙ্গে আমরা কাজ করতে পারি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেক্রেটারি অব স্টেট রোহিঙ্গাদের জন্য যে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি বাস্তবায়নে কীভাবে কাজ করা যায়; তা নিয়ে  বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
অন্য আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে উপ-সহকারী মন্ত্রী বলেন, এর বাইরে মেরিটাইম সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও খনিজসম্পদের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, সেটি আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশ সফরে এসে খুব ভালো লাগছে বলেও জানান আফরিন আক্তার।
দুই দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী মন্ত্রী। সফরে পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে আফরিনের।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, উপ-সহকারী মন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র উন্নত সরঞ্জাম দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। চুক্তিগুলো হলো আকসা বা দ্য অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট ও জিসোমিয়া বা জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট। চলতি বছরের এপ্রিলে জিসোমিয়া চুক্তির খসড়ার সর্বশেষ সংস্করণ ঢাকা সফরে এসে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ দেখভাল করেন। পাশাপাশি তিনি বাইডেন প্রশাসনের নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স দেখেন। তিনি মার্কিন সহকারী মন্ত্রী ডন লু’র সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন। এসব দায়িত্বে আসার আগে তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

 

অনলাইন ডেস্ক

০৮ নভেম্বর, ২০২২,  1:32 AM

news image

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার। এছাড়াও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত অর্থ বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

 নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন ও ইউএসএইডের (মার্কিন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা) বাংলাদেশ কার্যালয় বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মেরিটাইম ইউনিট সচিব অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আফরিন আক্তার আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, সেই বিষয়েও আলোচনা করেন। দুই দিনের সফরে শনিবার রাতে তিনি ঢাকা আসেন। এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় ২৬ ঘণ্টার জন্য যাত্রাবিরতি করবেন আফরিন।
আফরিন আক্তার বলেন, আমি এখানে প্রথমবারের মতো এসেছি, সরকারের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি; কীভাবে একসঙ্গে আমরা কাজ করতে পারি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেক্রেটারি অব স্টেট রোহিঙ্গাদের জন্য যে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি বাস্তবায়নে কীভাবে কাজ করা যায়; তা নিয়ে  বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
অন্য আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে উপ-সহকারী মন্ত্রী বলেন, এর বাইরে মেরিটাইম সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও খনিজসম্পদের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, সেটি আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশ সফরে এসে খুব ভালো লাগছে বলেও জানান আফরিন আক্তার।
দুই দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী মন্ত্রী। সফরে পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে আফরিনের।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, উপ-সহকারী মন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র উন্নত সরঞ্জাম দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। চুক্তিগুলো হলো আকসা বা দ্য অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট ও জিসোমিয়া বা জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট। চলতি বছরের এপ্রিলে জিসোমিয়া চুক্তির খসড়ার সর্বশেষ সংস্করণ ঢাকা সফরে এসে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ দেখভাল করেন। পাশাপাশি তিনি বাইডেন প্রশাসনের নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স দেখেন। তিনি মার্কিন সহকারী মন্ত্রী ডন লু’র সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন। এসব দায়িত্বে আসার আগে তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।