'যুদ্ধের জন্য টাকা আছে, জলবায়ুর জন্য নেই'

অনলাইন ডেস্ক
০৪ নভেম্বর, ২০২২, 12:38 AM

'যুদ্ধের জন্য টাকা আছে, জলবায়ুর জন্য নেই'
আসন্ন জাতিসংঘের উদ্যোগে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ- কপ সম্মেলন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের আলোচনায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম বলেন, ‘বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধের জন্য বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন টাকা খরচ করছে। অথচ যেটার জন্য টাকা দিলে পৃথিবী বাঁচবে সেখানে তারা টাকা দেবে না। ইলন মাস্ক বিপুল টাকা খরচ করে টুইটার কিনেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কিছু করবে না।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) সহ ২৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্লাটর্ফম থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সি.পি.আর.ডি’র নির্বাহী প্রধান মো: শামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শাহীন আনাম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, ওয়াটার এইডের পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখসহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মর্কতা কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে না বরং এটি আমাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিচ্ছে। অনেকেই বলেন- এর আগের সম্মেলনগুলো থেকে বাংলাদেশ বা অন্যান্য দেশ কি পেয়েছে। যদি দরকষাকষি ভালোভাবে করা না যায় তাহলে আমাদের প্রত্যাশা কখনও পূরণ হবে না।
সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জটিলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭টি দেশ এখানে সদস্য। এখানে বলা আছে একটি শব্দ বা সেমিকোলনের যদি কেউ বিরোধিতা করে তাহলেও হবে না। প্রত্যেকবার এমনটা হয়। জরুরি অবস্থায়ও যদি কেউ বিরোধিতা করে সেক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ জন্যই আমি বলি, সবাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কথা বললেও জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনে (ইউএনএফসিসিসি) আসলে গণতন্ত্র নেই। একটা বা দুইটা দেশ পুরো প্রক্রিয়া জিম্মি করে রেখেছে।
এ সময় কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিজেদের জায়গা থেকে শক্ত অবস্থান নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবে বলেও জানান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
বিগত বছরের সম্মেলনগুলোতে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ তুলে সাবের বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে সম্মেলনে নাটক হয়। গভীর রাত পর্যন্ত দরকষাকষি হচ্ছে। কপ শেষ হয়ে যাচ্ছে, আবার দেখা গেলো আরও একদিন চলবে। তখন কী হয়, অনেক দেশের প্রতিনিধিরা থাকে না। এখন যদি ১৮ তারিখের জায়গায় ২০ তারিখ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অনেক দেশের প্রতিনিধিরা থাকবে না। দেখা গেল বাংলাদেশও থাকবে না। আমরা তো টিকিটে বুক করে চলে আসব। পরে যে কয় দেশের লোক থেকে যাবে তাদের নিয়ে যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বলা হয়, এটা কপ-২৭ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত তাহলে তো হবে না।’
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বক্তব্য হবে ১৮ তারিখের মধ্যে যেসব সিদ্ধান্ত হবে সেটার সঙ্গে বাংলাদেশ আছে। এরপর যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তা পরবর্তীতে কপ-২৮ সম্মেলনে সংশোধন করা হবে।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি কপ বা এমন সংস্থার দিকে তাকিয়ে থাকব, না নিজস্ব ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় খরচ করব? সেটা ভাবতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক ফান্ডিং থেকে কিছু হবে না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে হওয়া উচিত বলেও মনে করেন এই সংসদ সদস্য।
দুর্ভিক্ষ নিয়ে সরকার প্রধানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সংকট যেহেতু আসছে তখন নেতৃত্বের কোয়ালিটি দেখা দরকার। আমাদের জন্য সেটা স্বস্তির কারণ। যিনি রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্বে আছেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছেন, তিনি বিষয়গুলো ভালো বোঝেন।
আমরা কপ-২৬ এর কাছ থেকে চেয়েছিলাম যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে অঙ্গীকার আদায় করবে। কিন্তু আমরা সেটি পাইনি। আমরা বৈশ্বিক কার্বন উদগীরণ কমানোর যে সীমা নির্ধারন করা হয়েছে সেখান এখনো অনেক দূরে রয়েছি। বর্তমান শর্ত গুলো পূরণ করলেও এই শতাব্দির শেষ নাগাদ ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। এই সমঝোতা সম্মেলনে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বিবেচনায় রেখে নতুন জাতীয় নির্ধারিত অবদান ঠিক করার কোন বিকল্প নেই। তিনি নতুন টার্গেটকে প্রতি দুই বছর অন্তর হালনাগাদ ও বর্ধিত করার সুযোগ রাখার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্ব অভিযোজন অর্থায়ন নিয়ে যে তালবাহানা শুরু করেছে অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে এবং পূর্বে প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণের ঘাটতি পূরণ করতে হবে, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন চাহিদা বিচেনায় নিয়ে অন্তত বার্ষিক ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করতে হবে। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন বাংলাদেশের পরিকল্পনা এবং দলিল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিদেশি পরামর্শকদের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
ফারাহ কবির বরেন, আমরা জলবায়ু আলোচনার শুরু থেকেই নানান তথ্য, যুক্তি এবং বক্তব্য হাজির করেছি কিন্তু উন্নত বিশ্বকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। এই বছর (২০২২) সালকে বলা হচ্ছে সব থেকে বেশি দূর্যোগের বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনেই বছর বছর দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবুও বিশ্ব নেতৃত্ব নির্বিকার।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের স্থানান্তরনও দিন দিন বেড়ে চলছে। মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে । বিজ্ঞানিরাও বলে যাচ্ছেন ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে উষ্ণায়নকে সীমিত রাখা না যায় তাহলে বাচাঁর আর কোন সুযোগ থাকবে না। আমরা অভিলম্বে উদগীরণ হ্রাসে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নিধারণের দাবি জানাই এবং অভিযোজন করার জন্য যথেষ্ট পরিমানে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করার আহবান জানান । তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমরা যদি নিরাপদে না থাকি তাহলে উন্নত বিশ্ব কি নিরাপদে থাকবে?
অনলাইন ডেস্ক
০৪ নভেম্বর, ২০২২, 12:38 AM

আসন্ন জাতিসংঘের উদ্যোগে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ- কপ সম্মেলন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের আলোচনায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম বলেন, ‘বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধের জন্য বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন টাকা খরচ করছে। অথচ যেটার জন্য টাকা দিলে পৃথিবী বাঁচবে সেখানে তারা টাকা দেবে না। ইলন মাস্ক বিপুল টাকা খরচ করে টুইটার কিনেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কিছু করবে না।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) সহ ২৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্লাটর্ফম থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সি.পি.আর.ডি’র নির্বাহী প্রধান মো: শামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শাহীন আনাম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, ওয়াটার এইডের পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখসহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মর্কতা কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে না বরং এটি আমাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিচ্ছে। অনেকেই বলেন- এর আগের সম্মেলনগুলো থেকে বাংলাদেশ বা অন্যান্য দেশ কি পেয়েছে। যদি দরকষাকষি ভালোভাবে করা না যায় তাহলে আমাদের প্রত্যাশা কখনও পূরণ হবে না।
সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জটিলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭টি দেশ এখানে সদস্য। এখানে বলা আছে একটি শব্দ বা সেমিকোলনের যদি কেউ বিরোধিতা করে তাহলেও হবে না। প্রত্যেকবার এমনটা হয়। জরুরি অবস্থায়ও যদি কেউ বিরোধিতা করে সেক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ জন্যই আমি বলি, সবাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কথা বললেও জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনে (ইউএনএফসিসিসি) আসলে গণতন্ত্র নেই। একটা বা দুইটা দেশ পুরো প্রক্রিয়া জিম্মি করে রেখেছে।
এ সময় কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিজেদের জায়গা থেকে শক্ত অবস্থান নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবে বলেও জানান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
বিগত বছরের সম্মেলনগুলোতে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ তুলে সাবের বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে সম্মেলনে নাটক হয়। গভীর রাত পর্যন্ত দরকষাকষি হচ্ছে। কপ শেষ হয়ে যাচ্ছে, আবার দেখা গেলো আরও একদিন চলবে। তখন কী হয়, অনেক দেশের প্রতিনিধিরা থাকে না। এখন যদি ১৮ তারিখের জায়গায় ২০ তারিখ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অনেক দেশের প্রতিনিধিরা থাকবে না। দেখা গেল বাংলাদেশও থাকবে না। আমরা তো টিকিটে বুক করে চলে আসব। পরে যে কয় দেশের লোক থেকে যাবে তাদের নিয়ে যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বলা হয়, এটা কপ-২৭ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত তাহলে তো হবে না।’
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বক্তব্য হবে ১৮ তারিখের মধ্যে যেসব সিদ্ধান্ত হবে সেটার সঙ্গে বাংলাদেশ আছে। এরপর যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তা পরবর্তীতে কপ-২৮ সম্মেলনে সংশোধন করা হবে।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি কপ বা এমন সংস্থার দিকে তাকিয়ে থাকব, না নিজস্ব ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় খরচ করব? সেটা ভাবতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক ফান্ডিং থেকে কিছু হবে না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে হওয়া উচিত বলেও মনে করেন এই সংসদ সদস্য।
দুর্ভিক্ষ নিয়ে সরকার প্রধানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সংকট যেহেতু আসছে তখন নেতৃত্বের কোয়ালিটি দেখা দরকার। আমাদের জন্য সেটা স্বস্তির কারণ। যিনি রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্বে আছেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছেন, তিনি বিষয়গুলো ভালো বোঝেন।
আমরা কপ-২৬ এর কাছ থেকে চেয়েছিলাম যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে অঙ্গীকার আদায় করবে। কিন্তু আমরা সেটি পাইনি। আমরা বৈশ্বিক কার্বন উদগীরণ কমানোর যে সীমা নির্ধারন করা হয়েছে সেখান এখনো অনেক দূরে রয়েছি। বর্তমান শর্ত গুলো পূরণ করলেও এই শতাব্দির শেষ নাগাদ ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। এই সমঝোতা সম্মেলনে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বিবেচনায় রেখে নতুন জাতীয় নির্ধারিত অবদান ঠিক করার কোন বিকল্প নেই। তিনি নতুন টার্গেটকে প্রতি দুই বছর অন্তর হালনাগাদ ও বর্ধিত করার সুযোগ রাখার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্ব অভিযোজন অর্থায়ন নিয়ে যে তালবাহানা শুরু করেছে অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে এবং পূর্বে প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণের ঘাটতি পূরণ করতে হবে, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন চাহিদা বিচেনায় নিয়ে অন্তত বার্ষিক ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করতে হবে। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন বাংলাদেশের পরিকল্পনা এবং দলিল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিদেশি পরামর্শকদের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
ফারাহ কবির বরেন, আমরা জলবায়ু আলোচনার শুরু থেকেই নানান তথ্য, যুক্তি এবং বক্তব্য হাজির করেছি কিন্তু উন্নত বিশ্বকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। এই বছর (২০২২) সালকে বলা হচ্ছে সব থেকে বেশি দূর্যোগের বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনেই বছর বছর দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবুও বিশ্ব নেতৃত্ব নির্বিকার।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের স্থানান্তরনও দিন দিন বেড়ে চলছে। মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে । বিজ্ঞানিরাও বলে যাচ্ছেন ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে উষ্ণায়নকে সীমিত রাখা না যায় তাহলে বাচাঁর আর কোন সুযোগ থাকবে না। আমরা অভিলম্বে উদগীরণ হ্রাসে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নিধারণের দাবি জানাই এবং অভিযোজন করার জন্য যথেষ্ট পরিমানে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করার আহবান জানান । তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমরা যদি নিরাপদে না থাকি তাহলে উন্নত বিশ্ব কি নিরাপদে থাকবে?