সিস্টেম লসে বছরে অপচয় ৩,৫০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ মে, ২০২২, 8:38 PM

সিস্টেম লসে বছরে অপচয় ৩,৫০০ কোটি টাকা
গ্যাসের মতো বিদ্যুৎ খাতেও সিস্টেম লসের কারণে অপচয় হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ১ শতাংশ সিস্টেম লস হলেই অন্তত ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি গুনতে হয় বিদ্যুৎ খাতে। এসবের দায় চাপে গ্রাহকের ওপর। শিগগিরই গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া।
গত এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে পাঁচ গুণ। সঞ্চালন লাইন বেড়েছে পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি। বিতরণ লাইন বেড়ে হয়েছে প্রায় তিনগুণ। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। সবার ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সংযোগ সহজ হয়েছে। এরপরও বিদ্যুতের অপব্যবহার ও চুরি বন্ধ হয়নি। সিস্টেম লস প্রতিবছর কিছু করে কমছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশিত জায়গায় আসেনি।
বিইআরসির তথ্য বলছে, এক যুগে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১১৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এবং খুচরা দাম প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে নতুন করে ৬৪ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৬৬ থেকে ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বিইআরসিতে। ১৮ মে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও বাড়ছে। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের অতিরিক্ত সক্ষমতা বসিয়ে রেখে ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) প্রদান ও সিস্টেম লসের অপচয় কমাতে পারলে উৎপাদন ব্যয় এতটা বাড়ত না। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সরকারের ভর্তুকির পাশাপাশি দাম বাড়িয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিতে হচ্ছে। গত এক দশকে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ায়। আর সিস্টেম লসে বছরে অপচয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।
অবৈধ সংযোগ আছে, এখনো চুরি হচ্ছে। এসব বিষয়গুলোও দেখা উচিত। কাগজে-কলমে এখন যা সিস্টেম লস আছে, তা উন্নতির ইঙ্গিত করে। এটি আরও কমানোর সুযোগ আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ মে, ২০২২, 8:38 PM

গ্যাসের মতো বিদ্যুৎ খাতেও সিস্টেম লসের কারণে অপচয় হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ১ শতাংশ সিস্টেম লস হলেই অন্তত ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি গুনতে হয় বিদ্যুৎ খাতে। এসবের দায় চাপে গ্রাহকের ওপর। শিগগিরই গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া।
গত এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে পাঁচ গুণ। সঞ্চালন লাইন বেড়েছে পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি। বিতরণ লাইন বেড়ে হয়েছে প্রায় তিনগুণ। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। সবার ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সংযোগ সহজ হয়েছে। এরপরও বিদ্যুতের অপব্যবহার ও চুরি বন্ধ হয়নি। সিস্টেম লস প্রতিবছর কিছু করে কমছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশিত জায়গায় আসেনি।
বিইআরসির তথ্য বলছে, এক যুগে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১১৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এবং খুচরা দাম প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে নতুন করে ৬৪ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৬৬ থেকে ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বিইআরসিতে। ১৮ মে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও বাড়ছে। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের অতিরিক্ত সক্ষমতা বসিয়ে রেখে ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) প্রদান ও সিস্টেম লসের অপচয় কমাতে পারলে উৎপাদন ব্যয় এতটা বাড়ত না। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সরকারের ভর্তুকির পাশাপাশি দাম বাড়িয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিতে হচ্ছে। গত এক দশকে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ায়। আর সিস্টেম লসে বছরে অপচয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।
অবৈধ সংযোগ আছে, এখনো চুরি হচ্ছে। এসব বিষয়গুলোও দেখা উচিত। কাগজে-কলমে এখন যা সিস্টেম লস আছে, তা উন্নতির ইঙ্গিত করে। এটি আরও কমানোর সুযোগ আছে।