ভবিষ্যৎ রক্ষায় তরুণরাও আওয়াজ তুলতে চায়

অনলাইন ডেস্ক
২০ অক্টোবর, ২০২২, 1:57 AM

ভবিষ্যৎ রক্ষায় তরুণরাও আওয়াজ তুলতে চায়
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্দোলন এবং র্যালিই একমাত্র কর্মপন্থা নয়। নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষার অধিকার রয়েছে তরুণদের। তারা আওয়াজ তুলতে, উদ্যোগ নিতে, গবেষণা কার্যক্রম করতে, প্রকৃতির প্রতি আচরণ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে এবং নীতিনির্ধারকদের জাবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চায়। সর্বোপরি জলবায়ু সংকট সমাধানে দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি তরুণরাও ভূমিকা রাখতে চায়।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত এক কর্মশালায় জলবায়ু রক্ষায় কাজ করা তরুণরা এসব কথা বলেন।
এসময় তারা এ কার্যক্রমে নীতি নির্ধারক, দাতা সংস্থা, গবেষকদের অংশীদারত্ব এবং কার্যকরী সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
তরুণরা বলেন, কিছু স্বতঃপ্রণোদিত যুবগোষ্ঠী বাস্তবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে অত্যন্ত গঠনমূলক কাজ করছে। কিন্তু তহবিলের অভাব, পদ্ধতিগত বাধা বা গুরুত্বের অভাবের কারণে এসব উদ্যোগ এবং ধারণাগুলো এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অতীতের কিছু সফল উদ্যোগের উদাহরণ তুলে ধরে তরুণরা চারটি প্রস্তাব পেশ করেন। সেগুলো হলো-
১.যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন এবং নেটওয়ার্কগুলোকে অর্থায়ন করতে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে একটি সরকার অনুমোদিত জাতীয় যুব জলবায়ু তহবিল প্রতিষ্ঠা করা।
২.উন্নয়ন সহযোগী, দূতাবাস এবং প্রাইভেট সেক্টর এ তহবিলে তাদের অর্থায়ন জমা করবে।
৩.এ তহবিল যুব নেতৃত্বাধীন জলবায়ু কার্যক্রম, সক্রিয়তা এবং সমর্থনের পাশাপাশি বিভিন্ন গঠনমূলক ও যৌক্তিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করবে।
৪.তহবিল অ্যাডভোকেসি ভ্রমণ অনুদানসহ জাতিসংঘের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কনফারেন্সগুলোতে যুব প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, তরুণরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করছেন। তাদের জন্য অবশ্যই প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করতে হবে। যেন তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তরুণদের সিদ্ধান্তকে শুধুমাত্র ডায়েরিতে নোট নিয়ে সমর্থন না জানিয়ে কার্যকর করতে হবে। আমি তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং কণ্ঠস্বরকে উৎসাহিত করতে চাই।
ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের কো-অর্ডিনেটর সোহানুর রহমান বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছি। নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় তরুণদের আওয়াজ তুলতে হবে। সে অনুযায়ী কাজও করতে হবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রাইটার্স সোসাইটি বাংলাদেশের চিফ অব অপারেশনস ফারিয়া এস অমি এবং ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের ইয়ুথ অ্যাডভোকেট ফারজানা ফারুক ঝুমু।
অনলাইন ডেস্ক
২০ অক্টোবর, ২০২২, 1:57 AM

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্দোলন এবং র্যালিই একমাত্র কর্মপন্থা নয়। নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষার অধিকার রয়েছে তরুণদের। তারা আওয়াজ তুলতে, উদ্যোগ নিতে, গবেষণা কার্যক্রম করতে, প্রকৃতির প্রতি আচরণ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে এবং নীতিনির্ধারকদের জাবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চায়। সর্বোপরি জলবায়ু সংকট সমাধানে দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি তরুণরাও ভূমিকা রাখতে চায়।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত এক কর্মশালায় জলবায়ু রক্ষায় কাজ করা তরুণরা এসব কথা বলেন।
এসময় তারা এ কার্যক্রমে নীতি নির্ধারক, দাতা সংস্থা, গবেষকদের অংশীদারত্ব এবং কার্যকরী সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
তরুণরা বলেন, কিছু স্বতঃপ্রণোদিত যুবগোষ্ঠী বাস্তবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে অত্যন্ত গঠনমূলক কাজ করছে। কিন্তু তহবিলের অভাব, পদ্ধতিগত বাধা বা গুরুত্বের অভাবের কারণে এসব উদ্যোগ এবং ধারণাগুলো এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অতীতের কিছু সফল উদ্যোগের উদাহরণ তুলে ধরে তরুণরা চারটি প্রস্তাব পেশ করেন। সেগুলো হলো-
১.যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন এবং নেটওয়ার্কগুলোকে অর্থায়ন করতে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে একটি সরকার অনুমোদিত জাতীয় যুব জলবায়ু তহবিল প্রতিষ্ঠা করা।
২.উন্নয়ন সহযোগী, দূতাবাস এবং প্রাইভেট সেক্টর এ তহবিলে তাদের অর্থায়ন জমা করবে।
৩.এ তহবিল যুব নেতৃত্বাধীন জলবায়ু কার্যক্রম, সক্রিয়তা এবং সমর্থনের পাশাপাশি বিভিন্ন গঠনমূলক ও যৌক্তিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করবে।
৪.তহবিল অ্যাডভোকেসি ভ্রমণ অনুদানসহ জাতিসংঘের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কনফারেন্সগুলোতে যুব প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, তরুণরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করছেন। তাদের জন্য অবশ্যই প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করতে হবে। যেন তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তরুণদের সিদ্ধান্তকে শুধুমাত্র ডায়েরিতে নোট নিয়ে সমর্থন না জানিয়ে কার্যকর করতে হবে। আমি তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং কণ্ঠস্বরকে উৎসাহিত করতে চাই।
ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের কো-অর্ডিনেটর সোহানুর রহমান বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছি। নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় তরুণদের আওয়াজ তুলতে হবে। সে অনুযায়ী কাজও করতে হবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রাইটার্স সোসাইটি বাংলাদেশের চিফ অব অপারেশনস ফারিয়া এস অমি এবং ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের ইয়ুথ অ্যাডভোকেট ফারজানা ফারুক ঝুমু।