দিনাজপুরে সৌর বিদ্যুতে আলোকিত ১৩ উপজেলার তৃণমূল জনপদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ অক্টোবর, ২০২২, 10:31 PM

দিনাজপুরে সৌর বিদ্যুতে আলোকিত ১৩ উপজেলার তৃণমূল জনপদ
জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়ন এবং ৯টি পৌরসভায় ৫ হাজার ২৬০টি সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনে তৃণমূল জনপদে আলোকিত হয়েছে। বিদুৎ চলে গেলেও সৌর বিদ্যুতের আলোকে জনপদে চলাচল সুগম হয়েছে। জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেন, গত ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়ন এবং ৯টি পৌরসভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের অর্থায়নে ৫ হাজার ২৬০টি সৌর বিদ্যুৎ তৃণমূল পর্যায়ের জনপদে স্থাপন করা হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ পোলগুলো দিন শেষে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই জ্বলে উঠে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ের জনপদে রাস্তার মোড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির এবং ঘনবসতি এলাকায় এখন আর অন্ধকারে আচ্ছন্নতা কেটে গিয়ে আলোর উজ্জ্বলতা বিকশিত হয়েছে। জেলার তৃণমূল পর্যায়ে রাতের চলাচল করতে জনসাধারণের আর বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে না। বিদ্যুৎ চলে গেলেও সৌর বিদ্যুতের পোলগুলোতে আলোকিত হয়ে জ্বলতে থাকে এই সৌর বিদ্যুতের বাতিগুলো।
তিনি জানান, চলতি অর্থ বছরে জেলায় আরও ১ হাজার ২০০ সৌর বিদ্যুৎ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। প্রাপ্ত সৌর বিদ্যুৎগুলো জেলায় প্রতিনিধিদের প্রেরিত প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে। যাতে জেলার তৃণমূল পর্যায়ে বিদ্যুতের সংকট সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে জনসাধারণের চলাচল সুগম করা যায় সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার সৌর বিদ্যুতের পোল স্থাপনে এই প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। হাকিমপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ও হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হরুনুর রশিদ হারুন জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিভিন্ন সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে জ্বলছে সৌর বিদ্যুতের বাতি। স্থানীয়রা বলছেন, একটা সময় এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া ছিল দুষ্কর, এখন এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সঙ্গে মোড়ে মোড়ে জ্বলছে সৌরবিদ্যুতের বাতি। এতে এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকা- কমে গেছে।
হাকিমপুর পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যগুদাম মোড়ের চা দোকানি খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘ বিদ্যুৎ চলে গেলে মোড়টিতে ভূতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হতো। এখন সৌরবিদ্যুতের ল্যাম্পপোস্ট থাকায় বিদ্যুৎ না থাকলেও কোনো সমস্যা হয় না। সারারাত আলোকিত থাকে মোড়টি।’ হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া বাজারের কয়েক মুদি দোকানদার বলেন, ‘এখন থেকে ১০ বছর আগেও এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল। কিন্তু সড়ক বা মোড়গুলোতে কোনো বাতির ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে সৌরবিদ্যুতের বাতি জ্বলায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। সন্ধ্যার পর সৌর বিদ্যুতের বাতি নিজে নিজেই জ্বলে উঠে। এতে করে অপরাধমূলক কর্মকা- কমেছে।’ বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সদরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আগে অন্ধকার হয়ে থাকতো। রাস্তার ধারে সৌরবিদ্যুতের ল্যাম্পপোস্ট বসানোয় ওই মোড়গুলো সন্ধ্যার পর আলোকিত হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের চলাচলে অনেক সুবিধা হয়েছে।’
হাকিমপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাওছার আলী বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের সড়কের ধারে, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৩০০টি স্ট্রিট লাইট ও সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে।’ যেসব স্থানে এখন সৌর বিদ্যুতের আওতায় আসেনি সেগুলোতে সৌর বিদ্যুৎ পোল স্থাপনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরেই প্রাপ্ত সৌর বিদ্যুতের পোলগুলো ওই স্থানগুলোতে বসিয়ে এই উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের জনপদ আলোকিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ অক্টোবর, ২০২২, 10:31 PM

জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়ন এবং ৯টি পৌরসভায় ৫ হাজার ২৬০টি সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনে তৃণমূল জনপদে আলোকিত হয়েছে। বিদুৎ চলে গেলেও সৌর বিদ্যুতের আলোকে জনপদে চলাচল সুগম হয়েছে। জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেন, গত ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়ন এবং ৯টি পৌরসভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের অর্থায়নে ৫ হাজার ২৬০টি সৌর বিদ্যুৎ তৃণমূল পর্যায়ের জনপদে স্থাপন করা হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ পোলগুলো দিন শেষে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই জ্বলে উঠে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ের জনপদে রাস্তার মোড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির এবং ঘনবসতি এলাকায় এখন আর অন্ধকারে আচ্ছন্নতা কেটে গিয়ে আলোর উজ্জ্বলতা বিকশিত হয়েছে। জেলার তৃণমূল পর্যায়ে রাতের চলাচল করতে জনসাধারণের আর বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে না। বিদ্যুৎ চলে গেলেও সৌর বিদ্যুতের পোলগুলোতে আলোকিত হয়ে জ্বলতে থাকে এই সৌর বিদ্যুতের বাতিগুলো।
তিনি জানান, চলতি অর্থ বছরে জেলায় আরও ১ হাজার ২০০ সৌর বিদ্যুৎ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। প্রাপ্ত সৌর বিদ্যুৎগুলো জেলায় প্রতিনিধিদের প্রেরিত প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে। যাতে জেলার তৃণমূল পর্যায়ে বিদ্যুতের সংকট সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে জনসাধারণের চলাচল সুগম করা যায় সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার সৌর বিদ্যুতের পোল স্থাপনে এই প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। হাকিমপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ও হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হরুনুর রশিদ হারুন জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিভিন্ন সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে জ্বলছে সৌর বিদ্যুতের বাতি। স্থানীয়রা বলছেন, একটা সময় এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া ছিল দুষ্কর, এখন এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সঙ্গে মোড়ে মোড়ে জ্বলছে সৌরবিদ্যুতের বাতি। এতে এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকা- কমে গেছে।
হাকিমপুর পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যগুদাম মোড়ের চা দোকানি খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘ বিদ্যুৎ চলে গেলে মোড়টিতে ভূতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হতো। এখন সৌরবিদ্যুতের ল্যাম্পপোস্ট থাকায় বিদ্যুৎ না থাকলেও কোনো সমস্যা হয় না। সারারাত আলোকিত থাকে মোড়টি।’ হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া বাজারের কয়েক মুদি দোকানদার বলেন, ‘এখন থেকে ১০ বছর আগেও এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল। কিন্তু সড়ক বা মোড়গুলোতে কোনো বাতির ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে সৌরবিদ্যুতের বাতি জ্বলায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। সন্ধ্যার পর সৌর বিদ্যুতের বাতি নিজে নিজেই জ্বলে উঠে। এতে করে অপরাধমূলক কর্মকা- কমেছে।’ বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সদরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আগে অন্ধকার হয়ে থাকতো। রাস্তার ধারে সৌরবিদ্যুতের ল্যাম্পপোস্ট বসানোয় ওই মোড়গুলো সন্ধ্যার পর আলোকিত হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের চলাচলে অনেক সুবিধা হয়েছে।’
হাকিমপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাওছার আলী বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের সড়কের ধারে, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৩০০টি স্ট্রিট লাইট ও সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে।’ যেসব স্থানে এখন সৌর বিদ্যুতের আওতায় আসেনি সেগুলোতে সৌর বিদ্যুৎ পোল স্থাপনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরেই প্রাপ্ত সৌর বিদ্যুতের পোলগুলো ওই স্থানগুলোতে বসিয়ে এই উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের জনপদ আলোকিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।