ড্রেজারে বসছে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম

হরলাল রায় সাগর
১৮ মে, ২০২২, 8:54 PM

ড্রেজারে বসছে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম
অভ্যন্তরীণ নৌপথ খনন কাজে স্বচ্ছতা আনতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজারে বসানো হচ্ছে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম। অতি অল্প খরচে এই ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহারে কাজের জবাবদিহিও বাড়বে বলওে মনে করছনে সংশ্লষ্টিরা।
তবে ভিন্ন মত জানিয়েছেন নৌগবেষক, নৌপথ ব্যবহারকারী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা।
মাত্র চার লাখ টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ১৫টি ড্রেজারে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এটি সফল হলে ড্রেজার এবং টাগবোটসহ এর সহায়ক তিন শতাধিক নৌযানে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হবে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ।
দেশের বিভিন্ন নৌপথ সচল রাখতে পানির নিচে ড্রেজিং (খনন) করা হয়। এতে অনেক সময় পলি কাটা পরিমাপ ও তদারকি করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই খনন কাজে স্বচ্ছতা আনতে নিজস্ব ড্রেজার (খননযন্ত্র) ও এর সহায়ক নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়ছেে বলে তারা বলনে।
"এলক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৫টি নৌযানে ইতিমধ্যে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলক করা হয়েছে। গত মাসে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হয়ছে,ে" বলনে ড্রেজিং বিভাগের এক উচ্চপদস্থ র্কমর্কতা।
সূত্র জানায়, ড্রেজিং বিভাগের নৌযানে যুক্ত করা সিস্টেমগুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে চার লাখ টাকা। এই ট্র্যাকিং সিস্টেম প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রতিটির জন্য ব্যয় হবে দেড় হাজার টাকা। তবে ড্রেজিং বিভাগের সবগুলো নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হলে এগুলোর নাবায়ন ব্যয় আরও কমে আসবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, ড্রেজার ও সহায়ক নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হলে এসব নৌযানের গতিবিধি, উৎপাদন বা কর্মক্ষমতা, ফুয়েল কনজাম্পশনসহ বিভিন্ন বিষয় মনিটরিং করা সহজতর হবে। এটি সফল হলে ড্রেজিং বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক নৌযানে এ যন্ত্র বসানো হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় দেশের ১০হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই ৭ হাজার কিলোমিটার খনন কাজ শেষ হয়েছে।
"ড্রেজিং কাজ সব সময় মনিটরিং করা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একারণে ড্রেজিং কাজে জড়িত সকল প্রকার জলযান কিভাবে কোথায় পরিচালনা হচ্ছে তা নিশ্চিত করা হবে। এলক্ষ্যে নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম সংযুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ড্রেজিং বিভাগে পরীক্ষামূলক কাযর্ক্রম শুরু করেছে," বলনে প্রতিমন্ত্রী চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ট্র্যাকিং সিস্টেম পরীক্ষামূলক, সেহেতু এটি সফল পরিচালনার উপর নির্ভর করছে ড্রেজিং বিভাগ তথা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সব নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেমে যুক্ত করার বিষয়টি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নদ-নদী ড্রেজিং কার্যক্রম সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। একারণে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে যখন যেখানে সমস্যা দেখা দেবে সেখানেই দ্রুত ড্রেজার মুভ করানো সম্ভব হবে।’
নৌপ্রতিমন্ত্রী এবং বিআইডব্লিউটিএ ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম নয়িে আশাবাদী থাকলওে ভিন্ন মত পোষন করছেনে নৌগবেষক, নৌপথ ব্যবহারকারী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, ড্রেজারে ট্রাকিং সিস্টেম চালু হলে সংশ্লিষ্টরা হয়তো কিছুটা মানসিক চাপে থাকবেন। কিন্তু অর্থের চুরি ঠেকানো কতটা যাবে তা নিয়ে বরাবরের মত সংশয় রয়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে ড্রেজারে এই ভ্যাসেল ট্রাকিং সিস্টেম স্থাপনের কথা জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর বাধার কারণে তা বলিম্বতি হয়েছে।
নদী গবেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আশীষ কুমার দে দনৈকি প্রভাতী খবরকে বলেন, নদী খনন কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নৌমন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র উচিত কাজের প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি ও অর্থ ব্যয় সম্পর্কে গণমাধ্যমের কাছে তথ্য প্রকাশ করা। প্রয়োজনে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও এসব তথ্য প্রকাশ করতে পারে।
সূত্রমতে, সারা দেশের নৌপথের খনন কাজ হয় উন্নয়ন প্রকল্প ও সংরক্ষণ খাতের আওতায়। উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বড় বড় নদী এবং সংরক্ষণ খাতে তুলনামূলক ছোট নদী বা নিয়মিত নৌরুট খনন করা হয়। এতে বছরে প্রায় ৯০ লাখ ঘনফুট পলি কাটা হয়। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উত্তর বঙ্গের পুনর্ভবা ও মহানন্দাসহ চার নদী খননে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদ ধরা আছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই প্রকল্পে কাগজে-কলমে প্রতি বছর ৩০-৪০ লাখ ঘনফুট পলি খননের হিসাব দেখানো হয়। এছাড়া দেশের ৫৩ নদীর ২৪টি নৌপথে খনন প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১০ সালের দিকে। এতে বরাদ্দ ধরা আছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। আর সংরক্ষণ খাতে মাওয়া এবং আরিচা-কাজীরহাট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে নিজস্ব ড্রেজারে খনন কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ। এতে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ ঘণফুট পলি উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি বেসরকারি ড্রেজার দিয়ে প্রতি বছর পলি কাটা হয় ৬ থেকে ৮ লাখ ঘনফুট।
বিআইডব্লিউটিএর বর্তমানে ড্রেজার আছে ৪৫টি। এই ড্রেজার টানার টাগবোটসহ সহায়ক নৌযান আছে তিনশরও বেশি। এর বাইরে চুক্তির মাধ্যমে বেসরকারি ড্রেজার নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু নদী খননের সঠিক হিসেব জানা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না।
বহু পুরানো অভিযোগ রয়েছে, পানির নীচে নদীর তলদেশ থেকে মাটি কাটা বা খননের সঠিক পরিমাপ করা হয় না। বড় ধরনের কারচুপি করা হয় হিসেবে। কেউই জানতে পারে না আসলে কত মাটি কাটা হয়েছে।
হরলাল রায় সাগর
১৮ মে, ২০২২, 8:54 PM

অভ্যন্তরীণ নৌপথ খনন কাজে স্বচ্ছতা আনতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজারে বসানো হচ্ছে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম। অতি অল্প খরচে এই ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহারে কাজের জবাবদিহিও বাড়বে বলওে মনে করছনে সংশ্লষ্টিরা।
তবে ভিন্ন মত জানিয়েছেন নৌগবেষক, নৌপথ ব্যবহারকারী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা।
মাত্র চার লাখ টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ১৫টি ড্রেজারে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এটি সফল হলে ড্রেজার এবং টাগবোটসহ এর সহায়ক তিন শতাধিক নৌযানে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হবে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ।
দেশের বিভিন্ন নৌপথ সচল রাখতে পানির নিচে ড্রেজিং (খনন) করা হয়। এতে অনেক সময় পলি কাটা পরিমাপ ও তদারকি করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই খনন কাজে স্বচ্ছতা আনতে নিজস্ব ড্রেজার (খননযন্ত্র) ও এর সহায়ক নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়ছেে বলে তারা বলনে।
"এলক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৫টি নৌযানে ইতিমধ্যে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলক করা হয়েছে। গত মাসে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হয়ছে,ে" বলনে ড্রেজিং বিভাগের এক উচ্চপদস্থ র্কমর্কতা।
সূত্র জানায়, ড্রেজিং বিভাগের নৌযানে যুক্ত করা সিস্টেমগুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে চার লাখ টাকা। এই ট্র্যাকিং সিস্টেম প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রতিটির জন্য ব্যয় হবে দেড় হাজার টাকা। তবে ড্রেজিং বিভাগের সবগুলো নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হলে এগুলোর নাবায়ন ব্যয় আরও কমে আসবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, ড্রেজার ও সহায়ক নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হলে এসব নৌযানের গতিবিধি, উৎপাদন বা কর্মক্ষমতা, ফুয়েল কনজাম্পশনসহ বিভিন্ন বিষয় মনিটরিং করা সহজতর হবে। এটি সফল হলে ড্রেজিং বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক নৌযানে এ যন্ত্র বসানো হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় দেশের ১০হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই ৭ হাজার কিলোমিটার খনন কাজ শেষ হয়েছে।
"ড্রেজিং কাজ সব সময় মনিটরিং করা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একারণে ড্রেজিং কাজে জড়িত সকল প্রকার জলযান কিভাবে কোথায় পরিচালনা হচ্ছে তা নিশ্চিত করা হবে। এলক্ষ্যে নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম সংযুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ড্রেজিং বিভাগে পরীক্ষামূলক কাযর্ক্রম শুরু করেছে," বলনে প্রতিমন্ত্রী চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ট্র্যাকিং সিস্টেম পরীক্ষামূলক, সেহেতু এটি সফল পরিচালনার উপর নির্ভর করছে ড্রেজিং বিভাগ তথা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সব নৌযানে ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেমে যুক্ত করার বিষয়টি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নদ-নদী ড্রেজিং কার্যক্রম সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। একারণে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে যখন যেখানে সমস্যা দেখা দেবে সেখানেই দ্রুত ড্রেজার মুভ করানো সম্ভব হবে।’
নৌপ্রতিমন্ত্রী এবং বিআইডব্লিউটিএ ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম নয়িে আশাবাদী থাকলওে ভিন্ন মত পোষন করছেনে নৌগবেষক, নৌপথ ব্যবহারকারী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, ড্রেজারে ট্রাকিং সিস্টেম চালু হলে সংশ্লিষ্টরা হয়তো কিছুটা মানসিক চাপে থাকবেন। কিন্তু অর্থের চুরি ঠেকানো কতটা যাবে তা নিয়ে বরাবরের মত সংশয় রয়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে ড্রেজারে এই ভ্যাসেল ট্রাকিং সিস্টেম স্থাপনের কথা জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর বাধার কারণে তা বলিম্বতি হয়েছে।
নদী গবেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আশীষ কুমার দে দনৈকি প্রভাতী খবরকে বলেন, নদী খনন কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নৌমন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র উচিত কাজের প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি ও অর্থ ব্যয় সম্পর্কে গণমাধ্যমের কাছে তথ্য প্রকাশ করা। প্রয়োজনে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও এসব তথ্য প্রকাশ করতে পারে।
সূত্রমতে, সারা দেশের নৌপথের খনন কাজ হয় উন্নয়ন প্রকল্প ও সংরক্ষণ খাতের আওতায়। উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বড় বড় নদী এবং সংরক্ষণ খাতে তুলনামূলক ছোট নদী বা নিয়মিত নৌরুট খনন করা হয়। এতে বছরে প্রায় ৯০ লাখ ঘনফুট পলি কাটা হয়। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উত্তর বঙ্গের পুনর্ভবা ও মহানন্দাসহ চার নদী খননে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদ ধরা আছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই প্রকল্পে কাগজে-কলমে প্রতি বছর ৩০-৪০ লাখ ঘনফুট পলি খননের হিসাব দেখানো হয়। এছাড়া দেশের ৫৩ নদীর ২৪টি নৌপথে খনন প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১০ সালের দিকে। এতে বরাদ্দ ধরা আছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। আর সংরক্ষণ খাতে মাওয়া এবং আরিচা-কাজীরহাট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে নিজস্ব ড্রেজারে খনন কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ। এতে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ ঘণফুট পলি উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি বেসরকারি ড্রেজার দিয়ে প্রতি বছর পলি কাটা হয় ৬ থেকে ৮ লাখ ঘনফুট।
বিআইডব্লিউটিএর বর্তমানে ড্রেজার আছে ৪৫টি। এই ড্রেজার টানার টাগবোটসহ সহায়ক নৌযান আছে তিনশরও বেশি। এর বাইরে চুক্তির মাধ্যমে বেসরকারি ড্রেজার নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু নদী খননের সঠিক হিসেব জানা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না।
বহু পুরানো অভিযোগ রয়েছে, পানির নীচে নদীর তলদেশ থেকে মাটি কাটা বা খননের সঠিক পরিমাপ করা হয় না। বড় ধরনের কারচুপি করা হয় হিসেবে। কেউই জানতে পারে না আসলে কত মাটি কাটা হয়েছে।