ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

#
news image

শিক্ষাবিদ, লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালত একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপর একজনকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং চার জনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলার ৬২ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে গত ১০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। এরপর গত ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন। যুক্তিতর্কের শেষ তারিখে বাকি ৫ আসামির জামিন স্থগিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সব আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডসংলগ্ন মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে বসা অধ্যাপক জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে মো. ফয়জুল হাসান নামে এক তরুণ।

হামলাকারী ফয়জুলকে তখনই আটক করেন উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা। তারপর তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে গুরুতর আহত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরদিন শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ওই বছর ৬ মে ফয়জুলকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, ফয়জুলের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়া, বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান ও ভাই মো. এনামুল হাসান।

অভিযোগপত্রের পর ওই বছর ৪ অক্টোবর এ ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করেন আদালত। পরে ২০২০ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে মামলাটি এ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

 

প্র.খ/বিপ্লব

প্রভাতী খবর ডেস্ক:

২৬ এপ্রিল, ২০২২,  9:51 PM

news image
শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ফাইল ফটো

শিক্ষাবিদ, লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালত একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপর একজনকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং চার জনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলার ৬২ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে গত ১০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। এরপর গত ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন। যুক্তিতর্কের শেষ তারিখে বাকি ৫ আসামির জামিন স্থগিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সব আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডসংলগ্ন মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে বসা অধ্যাপক জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে মো. ফয়জুল হাসান নামে এক তরুণ।

হামলাকারী ফয়জুলকে তখনই আটক করেন উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা। তারপর তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে গুরুতর আহত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরদিন শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ওই বছর ৬ মে ফয়জুলকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, ফয়জুলের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়া, বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান ও ভাই মো. এনামুল হাসান।

অভিযোগপত্রের পর ওই বছর ৪ অক্টোবর এ ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করেন আদালত। পরে ২০২০ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে মামলাটি এ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

 

প্র.খ/বিপ্লব