ফের করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী

হরলাল রায় সাগর
২৮ জুন, ২০২২, 12:51 AM

ফের করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী
দেশে ফের অতিমারি করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। শুরু হয়েছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। করোনা ভাইরাস অমিক্রনের নতুন উপধরনটি (সাব-ভেরিয়েন্ট) দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। একারণে প্রায় শূন্যে নেমে আসা করোনা শনাক্তের হার আবার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত রোগী দুই হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের পক্ষ থেকে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার চর্চা অব্যাহত রাখা এবং বেপরোয়াভাবে চলাচল না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনায় দেশে গত একদিনে (রোবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়) শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১০১ জন। আর ২ জন মারা গেছেন। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৬৮০ জন। এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেশি হয়েছে ৪২১জন। সর্বশেষ একদিনে ২ হাজার ১৫০ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি।
আরও উদ্বেগের বিষয় একসঙ্গে ১২জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একজন নির্বাচন কমিশনারেরও করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে আইনমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন।
চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকে। শনাক্তের হার নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোটায়। কিন্তু চলতি জুন মাসের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘরে ঘরে জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির প্রকোপও বাড়ছে। তবে আবাহওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এই জ্বর-সর্দির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানালেও করোনা সংক্রমণের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
গত ২১ জুন যশোরে অমিক্রনের উপধরণ শনাক্তের কথা জানান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। তারা বলেন, যশোরের দুজন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এই উপধরনটি (ইঅ.৪/৫) শনাক্ত করা হয়। গবেষকদলটি জানায়, আক্রান্ত দুজনই পুরুষ। যাদের একজনের বয়স ৪৪ এবং আরেকজনের বয়স ৭৯ বছর। এরমধ্যে একজন করোনার টিকার বুস্টার ডোজ এবং অপরজন দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে।
অমিক্রনের এই উপধরন জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছে। গত মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ ভারতে এই উপধরন শনাক্ত হয়।
অবশ্য গত এপ্রিল মাসেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কানপুর আইআইটি’র এক গবেষণা প্রতিবেদনে জুন থেকেই করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের কথা বলা হয়েছে। আর ওই দেশটিতেই অমিক্রণের নতুন উপধরণ শনাক্ত হয়। এই ধরণটির তাণ্ডব চলতে পারে অক্টোবর পর্যন্ত।
সামনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেনাকাটাসহ সর্বত্রই জনসমাগম বাড়বে। আর ঈদে বাড়ি যেতেও ভীড়-বাট্টা বেড়ে যাবে। এতে বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। অথচ এখনও বহু সংখ্যক মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার এখন আর তেমন বালাই নেই। যেন সব কিছু স্বাভাবিক। পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে কোভিড বিধি। এই উদাসীনতাই ফের বড়সড় বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামলাতে বিধি মানায় জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ করোনার নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত কোভিডের টিকা গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেছেন, বহির্বিশ্বে মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে অমিক্রনের নতুন উপধরনে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেশে ওই উপধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, ভারতে অমিক্রনের ওই উপধরনে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। তাই করোনার নতুন উপধরন বিশ্লেষণ করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান সরকারকে। না হলে আগামী ঈদের (ঈদুল আজহা) সময় করোনা সংক্রমণের হার চার-পাঁচ গুণ বাড়তে পারে।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক রোববার বলেছেন, মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।
প্রসঙ্গত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশে প্রথমে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানালেও পরে তা কমিয়ে ৭০ শতাংশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির ১৬ মাসে ২৬ জুন, ২০২২ পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৯ জন; যা জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জন, যা মোট জনসংখ্যার ৭০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ১ কোটি বেশি মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীসহ ১২ বছর উর্ধ্ব বয়সীদের করোনার টিকার আওতায় আনা হয়। এখন সরকার ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এই শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।
হরলাল রায় সাগর
২৮ জুন, ২০২২, 12:51 AM

দেশে ফের অতিমারি করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। শুরু হয়েছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। করোনা ভাইরাস অমিক্রনের নতুন উপধরনটি (সাব-ভেরিয়েন্ট) দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। একারণে প্রায় শূন্যে নেমে আসা করোনা শনাক্তের হার আবার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত রোগী দুই হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের পক্ষ থেকে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার চর্চা অব্যাহত রাখা এবং বেপরোয়াভাবে চলাচল না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনায় দেশে গত একদিনে (রোবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়) শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১০১ জন। আর ২ জন মারা গেছেন। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৬৮০ জন। এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেশি হয়েছে ৪২১জন। সর্বশেষ একদিনে ২ হাজার ১৫০ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি।
আরও উদ্বেগের বিষয় একসঙ্গে ১২জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একজন নির্বাচন কমিশনারেরও করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে আইনমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন।
চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকে। শনাক্তের হার নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোটায়। কিন্তু চলতি জুন মাসের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘরে ঘরে জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির প্রকোপও বাড়ছে। তবে আবাহওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এই জ্বর-সর্দির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানালেও করোনা সংক্রমণের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
গত ২১ জুন যশোরে অমিক্রনের উপধরণ শনাক্তের কথা জানান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। তারা বলেন, যশোরের দুজন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এই উপধরনটি (ইঅ.৪/৫) শনাক্ত করা হয়। গবেষকদলটি জানায়, আক্রান্ত দুজনই পুরুষ। যাদের একজনের বয়স ৪৪ এবং আরেকজনের বয়স ৭৯ বছর। এরমধ্যে একজন করোনার টিকার বুস্টার ডোজ এবং অপরজন দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে।
অমিক্রনের এই উপধরন জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছে। গত মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ ভারতে এই উপধরন শনাক্ত হয়।
অবশ্য গত এপ্রিল মাসেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কানপুর আইআইটি’র এক গবেষণা প্রতিবেদনে জুন থেকেই করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের কথা বলা হয়েছে। আর ওই দেশটিতেই অমিক্রণের নতুন উপধরণ শনাক্ত হয়। এই ধরণটির তাণ্ডব চলতে পারে অক্টোবর পর্যন্ত।
সামনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেনাকাটাসহ সর্বত্রই জনসমাগম বাড়বে। আর ঈদে বাড়ি যেতেও ভীড়-বাট্টা বেড়ে যাবে। এতে বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। অথচ এখনও বহু সংখ্যক মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার এখন আর তেমন বালাই নেই। যেন সব কিছু স্বাভাবিক। পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে কোভিড বিধি। এই উদাসীনতাই ফের বড়সড় বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামলাতে বিধি মানায় জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ করোনার নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত কোভিডের টিকা গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেছেন, বহির্বিশ্বে মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে অমিক্রনের নতুন উপধরনে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেশে ওই উপধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, ভারতে অমিক্রনের ওই উপধরনে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। তাই করোনার নতুন উপধরন বিশ্লেষণ করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান সরকারকে। না হলে আগামী ঈদের (ঈদুল আজহা) সময় করোনা সংক্রমণের হার চার-পাঁচ গুণ বাড়তে পারে।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক রোববার বলেছেন, মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।
প্রসঙ্গত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশে প্রথমে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানালেও পরে তা কমিয়ে ৭০ শতাংশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির ১৬ মাসে ২৬ জুন, ২০২২ পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৯ জন; যা জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জন, যা মোট জনসংখ্যার ৭০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ১ কোটি বেশি মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীসহ ১২ বছর উর্ধ্ব বয়সীদের করোনার টিকার আওতায় আনা হয়। এখন সরকার ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এই শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।