সীমান্তে বিজিবির ফাঁকা গুলি:  আটক ভারতীয় পাচারকারি

#
news image

রোববার প্রথম প্রহরে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা নারিপাচারকারি এক ভারতীয় দালালকে আটক এবং পাচারের শিকার তিন বাংলাদেশি নারিকে উদ্ধার করেছে বলে সোমবার সকালে বিজিবি মহেশপুরের ৫৮ ব্যাটালিয়নের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫৮ ব্যাটালিয়নের সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী মহেশপুরের ৫৮ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকার সীমান্তপিলার ৬০/২৯ র কাছে বাঘাডাংগা গ্রামের’ হুদাপাড়া এলাকা দিয়ে মানব পাচারকারী চক্র তিনজন বাংলাদেশী নারীকে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করবে এমন খবরে বিজিবির একটি মেহগনী বাগানের মধ্যে ওৎ পেতে। সন্ধ্যার পর  বিজিবি সদস্যরা হুদাপাড়া গ্রামের শেষ অংশে শুন্যরেখার  কাছাকাছি তিনজন নারীর অবস্থান নিশ্চিত করে।

কিছুক্ষণ পর অন্ধকার ঘনিয়ে এলে শুন্যলাইনের কাছাকাছি হতে অজ্ঞাত ব্যক্তি পাখির মতো শব্দ করে সংকেত প্রেরণ করতে থাকে। দূরত্ব বেশীর কারণে ওই নারিরা সংকেত বুঝতে না পারায় মানব পাচারকারী ব্যক্তি টহলরত বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওইসব নারীর কাছাকাছি এসে ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। টহল দল তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তারা ভারত অভিমূখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যদের সামনে বাংলাদেশী তিন নারী থাকায় মানব পাচারকারীকে লক্ষ্য করে গুলি করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে বিধায় তারা দুইরাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে ভারতীয় মানবপাচারকারী ও নারিরা আতংকিত হয়ে মাটিতে বসে পড়লে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে।

বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানান, তার নাম বিকাশ সরকার (৪১), তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কল্যাণী থানার মাঝেরচর গ্রামের রায়মোহন সরকারের ছেলে। তল্লাশী করে তার ভারতীয় আধারকার্ড এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন তিনি মানবপাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন যাবৎ মানবপাচারের সাথে সম্পৃক্ত। বিজিবি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত ভারতীয় মানবপাচারকারীকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন  করে মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের ও সোপর্দ করা এবং পাচারের সময় আটক তিনি বাংলাদেশী নারীকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য জাস্টিস এন্ড কেয়ার, যশোর শাখার প্রতিনিধির কাছে সোপর্দ করা হবে।

 

দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ

২৬ আগস্ট, ২০২৪,  6:53 PM

news image

রোববার প্রথম প্রহরে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা নারিপাচারকারি এক ভারতীয় দালালকে আটক এবং পাচারের শিকার তিন বাংলাদেশি নারিকে উদ্ধার করেছে বলে সোমবার সকালে বিজিবি মহেশপুরের ৫৮ ব্যাটালিয়নের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫৮ ব্যাটালিয়নের সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী মহেশপুরের ৫৮ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকার সীমান্তপিলার ৬০/২৯ র কাছে বাঘাডাংগা গ্রামের’ হুদাপাড়া এলাকা দিয়ে মানব পাচারকারী চক্র তিনজন বাংলাদেশী নারীকে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করবে এমন খবরে বিজিবির একটি মেহগনী বাগানের মধ্যে ওৎ পেতে। সন্ধ্যার পর  বিজিবি সদস্যরা হুদাপাড়া গ্রামের শেষ অংশে শুন্যরেখার  কাছাকাছি তিনজন নারীর অবস্থান নিশ্চিত করে।

কিছুক্ষণ পর অন্ধকার ঘনিয়ে এলে শুন্যলাইনের কাছাকাছি হতে অজ্ঞাত ব্যক্তি পাখির মতো শব্দ করে সংকেত প্রেরণ করতে থাকে। দূরত্ব বেশীর কারণে ওই নারিরা সংকেত বুঝতে না পারায় মানব পাচারকারী ব্যক্তি টহলরত বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওইসব নারীর কাছাকাছি এসে ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। টহল দল তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তারা ভারত অভিমূখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যদের সামনে বাংলাদেশী তিন নারী থাকায় মানব পাচারকারীকে লক্ষ্য করে গুলি করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে বিধায় তারা দুইরাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে ভারতীয় মানবপাচারকারী ও নারিরা আতংকিত হয়ে মাটিতে বসে পড়লে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে।

বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানান, তার নাম বিকাশ সরকার (৪১), তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কল্যাণী থানার মাঝেরচর গ্রামের রায়মোহন সরকারের ছেলে। তল্লাশী করে তার ভারতীয় আধারকার্ড এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন তিনি মানবপাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন যাবৎ মানবপাচারের সাথে সম্পৃক্ত। বিজিবি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত ভারতীয় মানবপাচারকারীকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন  করে মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের ও সোপর্দ করা এবং পাচারের সময় আটক তিনি বাংলাদেশী নারীকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য জাস্টিস এন্ড কেয়ার, যশোর শাখার প্রতিনিধির কাছে সোপর্দ করা হবে।