ব্রিজ নির্মাণে শম্ভুকগতি ঝুঁকিতে চলছে পথচারি

মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা
২৪ আগস্ট, ২০২৪, 9:55 PM

ব্রিজ নির্মাণে শম্ভুকগতি ঝুঁকিতে চলছে পথচারি
২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজও ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া ঝুঁকি নিয়ে সেই পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করছে পথচারি ও ভারি যানবাহন। যে কোন মহুত্বে রড় ধরনোর দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি ও সচেতন মহল। এলাকাবাসির দাবি কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে এবং ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ধীরগতিতে চলছে ব্রিজ নির্মাণের কাজ। ২০২২ সালের ১৫ মে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে রংপুরের পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরের যোগাযোগের একমাত্র সড়কের নগর কাঠগড়া নামক স্থানে ঘাঘট নদীর ওপর ৯৯.০৬ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন তপন সরকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণের চুক্তিমূল্য ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩২ টাকা। বাস্তবায়কারি সংস্থার দায়িত্বে রয়েছে রংপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং নির্মাণ কাজের তদারকি করছেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
দীর্ঘদিনের পুরাতন ব্রিজটির ওপর দিয়ে পথচারি ও যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে ব্রিজটি নির্মাণে আলোর মুখ দেখে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ব্রিজ নির্মাণের ৫০ ভাগ কাজ আজও শেষ হয়নি দাবি স্থানীয় অবসর স্কুল শিক্ষক মো. ইউনুছ আলীর। তিনি বলেন ব্রিজটি নির্মাণ বিলম্বের কারণে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। যে কোন মহুত্বে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের ওপর নির্মাণ হচ্ছে ব্রিজটি।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার ছোটখাট ও ভারি যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। ঠিকাদার কেন ব্রিজ নির্মাণে বিলম্ব করছেন তা খতিয়ে দেখা একান্ত প্রয়োজন। তিনি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঠিকাদার তপন সরকার জানান, নদীতে পানি ভরে যাওয়ায় এবং মাটি না পাওয়ায় কারণে নির্মাণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাইলিং এর কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। নির্মাণাধীন ব্রিজের প্রায় ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নদীতে পানি আসার কারণে ব্রিজ নির্মাণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য। কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নাফ বলেন, ব্রিজটি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণ হলেও এটির দেখভাল করছেন মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তিনিও দাবি করেন দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করা দরকার।
মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা
২৪ আগস্ট, ২০২৪, 9:55 PM

২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজও ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া ঝুঁকি নিয়ে সেই পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করছে পথচারি ও ভারি যানবাহন। যে কোন মহুত্বে রড় ধরনোর দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি ও সচেতন মহল। এলাকাবাসির দাবি কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে এবং ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ধীরগতিতে চলছে ব্রিজ নির্মাণের কাজ। ২০২২ সালের ১৫ মে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে রংপুরের পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরের যোগাযোগের একমাত্র সড়কের নগর কাঠগড়া নামক স্থানে ঘাঘট নদীর ওপর ৯৯.০৬ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন তপন সরকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণের চুক্তিমূল্য ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩২ টাকা। বাস্তবায়কারি সংস্থার দায়িত্বে রয়েছে রংপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং নির্মাণ কাজের তদারকি করছেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
দীর্ঘদিনের পুরাতন ব্রিজটির ওপর দিয়ে পথচারি ও যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে ব্রিজটি নির্মাণে আলোর মুখ দেখে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ব্রিজ নির্মাণের ৫০ ভাগ কাজ আজও শেষ হয়নি দাবি স্থানীয় অবসর স্কুল শিক্ষক মো. ইউনুছ আলীর। তিনি বলেন ব্রিজটি নির্মাণ বিলম্বের কারণে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। যে কোন মহুত্বে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের ওপর নির্মাণ হচ্ছে ব্রিজটি।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার ছোটখাট ও ভারি যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। ঠিকাদার কেন ব্রিজ নির্মাণে বিলম্ব করছেন তা খতিয়ে দেখা একান্ত প্রয়োজন। তিনি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঠিকাদার তপন সরকার জানান, নদীতে পানি ভরে যাওয়ায় এবং মাটি না পাওয়ায় কারণে নির্মাণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাইলিং এর কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। নির্মাণাধীন ব্রিজের প্রায় ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নদীতে পানি আসার কারণে ব্রিজ নির্মাণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য। কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নাফ বলেন, ব্রিজটি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণ হলেও এটির দেখভাল করছেন মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তিনিও দাবি করেন দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করা দরকার।