পুলিশ কনস্টেবল কাওছার ‘মানসিক রোগী’পরিবারের দাবী

#
news image

রাজধানীর বারিধারায় কূটনৈতিকপাড়ায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যা করেছেন তারই সহকর্মী কাউছার আলী। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকান্ড হতে পারে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা । তবে চাকরিরত অবস্থায় প্রায় ১৪ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলো। সরকারিভাবে হাসপাতালে গিয়েও মানসিক রোগের চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি বলছেন কাউসারের পরিবারের সদস্যরা। কাউছার আলীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া এলাকায়। (১০ জুন) সোমবার সরেজমিনে  গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করছেন।

বাড়ির ভেতরে মা ও স্ত্রী বসেছিলেন ও তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টার অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন। কাউসারের দুই ছেলে সন্তানও ছিল বাড়িতে। তার দু’জন ছেলে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম ও অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। সেই সময় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, মানসিক সমস্যা হলে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কম কথা বলতেন। গত কয়েক দিন ধরে কম যোগাযোগ করেছেন। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন কাউছার। ২০১০ সালের দিকে প্রথম মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাঁকে সরকারিভাবে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

কর্মরত অবস্থায় বেশ কয়েকবার তাকে চিকিৎসা করানো হয়ছে । তবে পারিবারিক ভাবে কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কাউসারের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর মা মাবিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে খুব ভালো ছিল। তার মাথায় একটু সমস্যা আছে। সে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে অসুস্থ হয়। শনিবার রাতেও আমার সাথে ভালোভাবেই কথা বলেছে। মা কেমন আছো, আব্বা কেমন আছে জিজ্ঞেস করেছে।

তবে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে একটু কম কথা বলত আমার ছেলে। কাউছার মাদকাসক্ত কিনা জানতে চাইলে, তার স্ত্রী সাথি বলেন, আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। কয়েকদিন ধরে আমার সঙ্গে কম কথা বলতেন। সাথি আরও বলেন, তাকে বেশ কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। পারিবারিকভাবে আমাদের কোন সমস্যা ছিল না। তবে তার মাথায় সমস্যা, জন্য  বাড়ীতে যোগাযোগ কম করত এবং কথাও কম বলত। কাউসারের বিষয় প্রতিবেশী দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, কাওছার চাকরিতে যোগদানের  কয়েক বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয় তিনি। পরবর্তীতে তার চিকিৎসা করানোর পরে সুস্থ হলে সে আবার চাকরিতে যোগদান করে ,বলে জানান তিনি।

মোঃ জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া

১০ জুন, ২০২৪,  5:14 PM

news image

রাজধানীর বারিধারায় কূটনৈতিকপাড়ায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যা করেছেন তারই সহকর্মী কাউছার আলী। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকান্ড হতে পারে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা । তবে চাকরিরত অবস্থায় প্রায় ১৪ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলো। সরকারিভাবে হাসপাতালে গিয়েও মানসিক রোগের চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি বলছেন কাউসারের পরিবারের সদস্যরা। কাউছার আলীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া এলাকায়। (১০ জুন) সোমবার সরেজমিনে  গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করছেন।

বাড়ির ভেতরে মা ও স্ত্রী বসেছিলেন ও তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টার অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন। কাউসারের দুই ছেলে সন্তানও ছিল বাড়িতে। তার দু’জন ছেলে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম ও অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। সেই সময় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, মানসিক সমস্যা হলে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কম কথা বলতেন। গত কয়েক দিন ধরে কম যোগাযোগ করেছেন। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন কাউছার। ২০১০ সালের দিকে প্রথম মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাঁকে সরকারিভাবে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

কর্মরত অবস্থায় বেশ কয়েকবার তাকে চিকিৎসা করানো হয়ছে । তবে পারিবারিক ভাবে কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কাউসারের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর মা মাবিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে খুব ভালো ছিল। তার মাথায় একটু সমস্যা আছে। সে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে অসুস্থ হয়। শনিবার রাতেও আমার সাথে ভালোভাবেই কথা বলেছে। মা কেমন আছো, আব্বা কেমন আছে জিজ্ঞেস করেছে।

তবে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে একটু কম কথা বলত আমার ছেলে। কাউছার মাদকাসক্ত কিনা জানতে চাইলে, তার স্ত্রী সাথি বলেন, আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। কয়েকদিন ধরে আমার সঙ্গে কম কথা বলতেন। সাথি আরও বলেন, তাকে বেশ কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। পারিবারিকভাবে আমাদের কোন সমস্যা ছিল না। তবে তার মাথায় সমস্যা, জন্য  বাড়ীতে যোগাযোগ কম করত এবং কথাও কম বলত। কাউসারের বিষয় প্রতিবেশী দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, কাওছার চাকরিতে যোগদানের  কয়েক বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয় তিনি। পরবর্তীতে তার চিকিৎসা করানোর পরে সুস্থ হলে সে আবার চাকরিতে যোগদান করে ,বলে জানান তিনি।