দেশে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা

নাগরিক প্রতিবেদন
০৭ মে, ২০২৪, 2:16 PM

দেশে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা
কর্মসংস্থানের অভাবে দেশে বাড়ছে বেকার জনসংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে বেকার ছিল ২৩ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার জন। পুরুষের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার কম। সোমবার (৬ মে ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন। বেকারের সংজ্ঞা নির্ধারণ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় বিবিএস বলছে, সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, তবে কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন, তাদেরই বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি জরিপের আগে ৩০ দিন বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন, তারাও বেকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে দেশের শ্রমশক্তিতে আছেন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার এবং নারী ২ কোটি ৫৩ লাখ। তিন মাস আগে মোট জনসংখ্যার মধ্যে শ্রমশক্তিতে ছিল ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার নারী-পুরুষ। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে শ্রমশক্তিতে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার। শ্রমশক্তি জনগোষ্ঠী বাড়লেও সেই তুলনায় দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। বিবিএস বলছে, তিন মাস আগে কর্মে নিয়োজিত ছিল ৭ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার। আর এখন শ্রমশক্তিতে থাকা জনসংখ্যার মধ্যে কর্মে নিয়োজিত নারী-পুরুষের সংখ্যা ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে কর্মে নিয়োজিত জনসংখ্যা বেড়েছে ৫০ হাজার। কিন্তু একই সময়ে ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ শ্রমশক্তিতে যুক্ত হওয়ায় বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার।
দেশে মোট বেকারের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট বেকারের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪০ হাজার আর নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার। তিন মাস আগে দেশে পুরুষ বেকার ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেকার ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেড়েছে ৭০ হাজার।
বিবিএসের জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বর্তমানে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ বেকার। এর মধ্যে পুরুষ বেকারের হার ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর নারী বেকারের হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ নারী বেকারের চেয়ে পুরুষ বেকারত্বের হার শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। এদিকে বেকারের বাইরে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে। এদের বড় অংশই শিক্ষার্থী, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত বা বয়স্ক। এরা কাজ করতে অক্ষম কিংবা কর্মে অনিচ্ছুক। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তিন মাস আগে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার। শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে শ্রমশক্তির বাইরে থাকা নারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার আর পুরুষের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার।
বছরওয়ারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সাময়িক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশ কমেছে। গত বছর শেষে বেকারের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজারে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। বছরওয়ারি হিসাবে গত বছর শেষে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সর্বশেষ জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্মসংস্থান বেশি কৃষিতে। বিবিএসের হিসাবে জানুয়ারি-মার্চ মাস শেষে কৃষি খাতে কাজ করেন ৩ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার। শিল্প খাতে এ সংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার আর সেবা খাতে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার।
নাগরিক প্রতিবেদন
০৭ মে, ২০২৪, 2:16 PM

কর্মসংস্থানের অভাবে দেশে বাড়ছে বেকার জনসংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে বেকার ছিল ২৩ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার জন। পুরুষের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার কম। সোমবার (৬ মে ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন। বেকারের সংজ্ঞা নির্ধারণ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় বিবিএস বলছে, সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, তবে কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন, তাদেরই বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি জরিপের আগে ৩০ দিন বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন, তারাও বেকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে দেশের শ্রমশক্তিতে আছেন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার এবং নারী ২ কোটি ৫৩ লাখ। তিন মাস আগে মোট জনসংখ্যার মধ্যে শ্রমশক্তিতে ছিল ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার নারী-পুরুষ। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে শ্রমশক্তিতে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার। শ্রমশক্তি জনগোষ্ঠী বাড়লেও সেই তুলনায় দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। বিবিএস বলছে, তিন মাস আগে কর্মে নিয়োজিত ছিল ৭ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার। আর এখন শ্রমশক্তিতে থাকা জনসংখ্যার মধ্যে কর্মে নিয়োজিত নারী-পুরুষের সংখ্যা ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে কর্মে নিয়োজিত জনসংখ্যা বেড়েছে ৫০ হাজার। কিন্তু একই সময়ে ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ শ্রমশক্তিতে যুক্ত হওয়ায় বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার।
দেশে মোট বেকারের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট বেকারের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪০ হাজার আর নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার। তিন মাস আগে দেশে পুরুষ বেকার ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেকার ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেড়েছে ৭০ হাজার।
বিবিএসের জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বর্তমানে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ বেকার। এর মধ্যে পুরুষ বেকারের হার ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর নারী বেকারের হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ নারী বেকারের চেয়ে পুরুষ বেকারত্বের হার শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। এদিকে বেকারের বাইরে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে। এদের বড় অংশই শিক্ষার্থী, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত বা বয়স্ক। এরা কাজ করতে অক্ষম কিংবা কর্মে অনিচ্ছুক। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তিন মাস আগে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার। শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে শ্রমশক্তির বাইরে থাকা নারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার আর পুরুষের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার।
বছরওয়ারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সাময়িক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশ কমেছে। গত বছর শেষে বেকারের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজারে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। বছরওয়ারি হিসাবে গত বছর শেষে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সর্বশেষ জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্মসংস্থান বেশি কৃষিতে। বিবিএসের হিসাবে জানুয়ারি-মার্চ মাস শেষে কৃষি খাতে কাজ করেন ৩ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার। শিল্প খাতে এ সংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার আর সেবা খাতে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার।