পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান পদত্যাগ নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। ২৫ এপ্রিল কলাপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। মেয়াদ পূর্ন হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি এ পদত্যাগ পত্র দেন। এছাড়া ৫জুন অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে লিখিত পত্র দেন। তবে হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ নেতা এস এম রাকিবুল আহসান এ পদত্যাগ ও নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের কেউ কেউ বলছেন দুদকের মামলা থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।

সূত্র জানায়, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান কলাপাড়া নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবর পদত্যাগ পত্র সহ আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার বিষয়ে পৃথক আর একটি পত্র দেন। যাতে তিনি স্বস্ত্রীক সড়ক দুর্ঘনায় আহত হয়ে অসুস্থতার কথা বলেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসা গ্রহনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। কলাপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে এস এম রাকিবুল আহসান পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,’তিনি অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন তার পদত্যাগ পত্রে।

তার পদত্যাগ পত্র ফরোয়ার্ডিং করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান রাকিবুলের পদত্যাগ ও নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের একাধিক সূত্র বলেছেন,দুর্নীতি,অনিয়ম করে অবৈধ অর্থ,সম্পদের মালিক হয়েছেন রাকিবুল আহসান। মসজিদের অর্থ, সম্পদ লোপাটের অভিযোগে চলমান দুর্নীতি দমন আইনের মামলা সহ প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিআইডি’র তদন্তধীন মামলা থেকে বাঁচতে এবার দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন এস এম রাকিবুল আহসান। তবে এ বিষয়ে এসএম রাকিবুল আহসানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।