তীব্র গরমের সঙ্গে বাড়ছে লোডশেডিং

#
news image

দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপদাহ। ঘোষণা করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতি সপ্তাহের জন্য বন্ধ। প্রচণ্ড গরমে ঘরে-বাইরে অতিষ্ঠ মানুষ। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঈদের পর সব শিল্প-কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। সে তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি। ফলে গরমের সঙ্গে লোডশেডিং ভোগান্তি বাড়িয়েছে আরও।

রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে লোডশেডিং অতটা না হলেও গ্রামাঞ্চলে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। রংপুর, দিনাজপুর, সাভার, নোয়াখালী, সিলেট, চুয়াডাঙ্গা ও গাইবান্ধা অঞ্চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা ডিপিডিসি ও ডেসকো জানিয়েছে, তাদের এলাকায় কোনো লোডশেডিং নেই। চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ থাকছে না, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তবে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, চাহিদানুয়ায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশে গরম থেকে রেহাই পেতে এসিসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের ব্যবহার বেড়েছে। এ ছাড়া ঈদের ছুটির পর সব শিল্প-কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সারা দেশে চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। ৫০০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৩৮০ মেগাওয়াট, উৎপাদিত হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৫ মেগাওয়াট। লোডশেডিং করতে হয়েছে ৪৫৪ মেগাওয়াট। ইভিনিং পিক আওয়ারে আরও ১ থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট চাহিদা বাড়তে পারে।

শনিবারের বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ও উৎপাদনের তথ্যে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে ইভিনিং পিক আওয়ারে ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট আর ডে পিক আওয়ারে হতে পারে ১৩ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। আর সর্বোচ্চ উৎপাদন হতে পারে ১৬ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদিত হয়নি। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী, বিদ্যুৎ ঘাটতিতে গত বৃহস্পতিবার সারা দিনই লোডশেডিং করতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১টায় সর্বোচ্চ ৬৮৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে সারা দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি ১ থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট। এ ছাড়া সিস্টেম লস তো আছেই। যা বলা হচ্ছে তার চেয়ে বিদ্যুতের ঘাটতি বেশি। চলতি সপ্তাহে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। ফলে রাজধানীতেও লোডশেডিং হানা দিতে পারে। জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে গ্রামাঞ্চলে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। একবার গেলে টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসে না। তীব্র গরমের মধ্যে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনগণ বিরক্ত। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক সেচ কার্যক্রম ও শিল্পোৎপাদন।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ নোমান জানান, তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে। ডিপিডিসি এলাকায় কোনো লোডশেডিং করতে হচ্ছে না। কারণ আমরা চাহিদানুযায়ী সরবরাহ পাচ্ছি। কোনো কোনো পকেটে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ না থাকতে পারে, সেটি মেইনটেনন্সের জন্য।

ডেসকোর জনসংযোগ কর্মকর্তা মলয় বিকাশ দেবনাথ জানান, শনিবার বেলা ৩টায় ডেসকো এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ১৪০ মেগাওয়াট। পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে, কোনো লোডশেডিং করতে হয়নি। ঢাকার বাইরের বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, এলাকাভেদে চাহিদার তুলনায় ২০-৫০ ভাগ বিদ্যুৎ কম মিলছে। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সরবরাহ না বাড়লে সামনে লোডশেডিং আরও বাড়বে।

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্র জানায়, তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। তাই বিতরণেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জানান, চট্টগ্রামে তীব্র গরমে বেড়েছে লোডশেডিং। পিডিবি বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই চট্টগ্রামে লোডশেডিং নেই। তবে গ্রাহকরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা কমেনি। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে। তীব্র তাপদাহের এ সময় লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, লোডশেডিংয়ে এখানকার গ্রামাঞ্চলে জনজীবন অতিষ্ঠ। দিনরাত মিলিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ধকল পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। লোডশেডিংয়ের জন্য সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে বিসিক শিল্পনগরীসহ গাইবান্ধার সাত উপজেলার ছোট-বড় কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রংপুর প্রতিনিধি জানান, প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। রংপুরে চাহিদা ৯০০-৯৫০ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে তার চেয়ে কম।

নোয়াখালী প্রতিনিধি  জানান, জেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কলকারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে। হাসপাতালে ভোগান্তিতে রয়েছে রোগীরা। জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীতে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। নাম প্রকাশ না শর্তে পল্লী বিদ্যুতের একজন কর্মকর্তা বলেন, চাহিদার তুলনায় জেলাতে প্রায় ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি।

সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, দিন-রাতে আট থেকে দশবার বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে মহানগরবাসীকে। সিলেটে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় ভয়াবহ লোডশেডিং হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ করায় গ্রামে লোডশেডিং হচ্ছে।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরে গরমের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। গাজীপুর পলী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডিজিএম (টেকনিক্যাল) প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা ৪৬২ মেগাওয়াট কিন্তু কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৩৩০ মেগাওয়াট।

দিনাজপুর  প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুর শহরে লোডশেডিং তেমনটা নেই, তবে গ্রামে অত্যধিক বেড়েছে।

নাগরিক প্রতিবেদন

২১ এপ্রিল, ২০২৪,  5:05 PM

news image

দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপদাহ। ঘোষণা করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতি সপ্তাহের জন্য বন্ধ। প্রচণ্ড গরমে ঘরে-বাইরে অতিষ্ঠ মানুষ। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঈদের পর সব শিল্প-কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। সে তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি। ফলে গরমের সঙ্গে লোডশেডিং ভোগান্তি বাড়িয়েছে আরও।

রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে লোডশেডিং অতটা না হলেও গ্রামাঞ্চলে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। রংপুর, দিনাজপুর, সাভার, নোয়াখালী, সিলেট, চুয়াডাঙ্গা ও গাইবান্ধা অঞ্চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা ডিপিডিসি ও ডেসকো জানিয়েছে, তাদের এলাকায় কোনো লোডশেডিং নেই। চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ থাকছে না, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তবে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, চাহিদানুয়ায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশে গরম থেকে রেহাই পেতে এসিসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের ব্যবহার বেড়েছে। এ ছাড়া ঈদের ছুটির পর সব শিল্প-কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সারা দেশে চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। ৫০০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৩৮০ মেগাওয়াট, উৎপাদিত হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৫ মেগাওয়াট। লোডশেডিং করতে হয়েছে ৪৫৪ মেগাওয়াট। ইভিনিং পিক আওয়ারে আরও ১ থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট চাহিদা বাড়তে পারে।

শনিবারের বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ও উৎপাদনের তথ্যে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে ইভিনিং পিক আওয়ারে ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট আর ডে পিক আওয়ারে হতে পারে ১৩ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। আর সর্বোচ্চ উৎপাদন হতে পারে ১৬ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদিত হয়নি। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী, বিদ্যুৎ ঘাটতিতে গত বৃহস্পতিবার সারা দিনই লোডশেডিং করতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১টায় সর্বোচ্চ ৬৮৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে সারা দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি ১ থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট। এ ছাড়া সিস্টেম লস তো আছেই। যা বলা হচ্ছে তার চেয়ে বিদ্যুতের ঘাটতি বেশি। চলতি সপ্তাহে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। ফলে রাজধানীতেও লোডশেডিং হানা দিতে পারে। জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে গ্রামাঞ্চলে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। একবার গেলে টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসে না। তীব্র গরমের মধ্যে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনগণ বিরক্ত। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক সেচ কার্যক্রম ও শিল্পোৎপাদন।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ নোমান জানান, তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে। ডিপিডিসি এলাকায় কোনো লোডশেডিং করতে হচ্ছে না। কারণ আমরা চাহিদানুযায়ী সরবরাহ পাচ্ছি। কোনো কোনো পকেটে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ না থাকতে পারে, সেটি মেইনটেনন্সের জন্য।

ডেসকোর জনসংযোগ কর্মকর্তা মলয় বিকাশ দেবনাথ জানান, শনিবার বেলা ৩টায় ডেসকো এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ১৪০ মেগাওয়াট। পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে, কোনো লোডশেডিং করতে হয়নি। ঢাকার বাইরের বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, এলাকাভেদে চাহিদার তুলনায় ২০-৫০ ভাগ বিদ্যুৎ কম মিলছে। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সরবরাহ না বাড়লে সামনে লোডশেডিং আরও বাড়বে।

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্র জানায়, তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। তাই বিতরণেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জানান, চট্টগ্রামে তীব্র গরমে বেড়েছে লোডশেডিং। পিডিবি বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই চট্টগ্রামে লোডশেডিং নেই। তবে গ্রাহকরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা কমেনি। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে। তীব্র তাপদাহের এ সময় লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, লোডশেডিংয়ে এখানকার গ্রামাঞ্চলে জনজীবন অতিষ্ঠ। দিনরাত মিলিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ধকল পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। লোডশেডিংয়ের জন্য সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে বিসিক শিল্পনগরীসহ গাইবান্ধার সাত উপজেলার ছোট-বড় কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রংপুর প্রতিনিধি জানান, প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। রংপুরে চাহিদা ৯০০-৯৫০ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে তার চেয়ে কম।

নোয়াখালী প্রতিনিধি  জানান, জেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কলকারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে। হাসপাতালে ভোগান্তিতে রয়েছে রোগীরা। জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীতে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। নাম প্রকাশ না শর্তে পল্লী বিদ্যুতের একজন কর্মকর্তা বলেন, চাহিদার তুলনায় জেলাতে প্রায় ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি।

সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, দিন-রাতে আট থেকে দশবার বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে মহানগরবাসীকে। সিলেটে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় ভয়াবহ লোডশেডিং হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ করায় গ্রামে লোডশেডিং হচ্ছে।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরে গরমের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। গাজীপুর পলী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডিজিএম (টেকনিক্যাল) প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা ৪৬২ মেগাওয়াট কিন্তু কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৩৩০ মেগাওয়াট।

দিনাজপুর  প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুর শহরে লোডশেডিং তেমনটা নেই, তবে গ্রামে অত্যধিক বেড়েছে।