কুয়াকাটা বিমানবন্দর: সম্ভাব্যতা সমীক্ষার পর সিদ্ধান্ত

#
news image

সম্ভাব্যতা সমীক্ষার পর কুয়াকাটা বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করেছে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণ  কমিটি । উল্লেখ্য, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণ করতে চায় সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পায়রা বন্দরে মানুষের যাতায়াত অনেক বেড়েছে। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।

ইতিমধ্যে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণ করতে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। সরেজমিন ওই এলাকা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পরিদর্শন করে কমিটি দুটি স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়েছে।

পাশাপাশি বিস্তারিতভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার পর বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ারও সুপারিশ করেছে কমিটি। বেবিচক পরিচালক (প্রশাসন) মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের কমিটি এলাকা পরিদর্শন করে গত ২৩ মার্চ তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দর নির্মাণে প্রায় ৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। কলাপাড়া বরগুনার আমতলী উপজেলার আওতাভুক্ত। প্রস্তাবিত স্থানের অধিকাংশ জমিই ফসলি অথবা খাস জমি, বসতবাড়ির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম এবং সুউচ্চ তেমন কোনো অবকাঠামো নেই। পাশাপাশি এটা দুই উপজেলার মধ্যে হওয়ায় নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণও অনেকটা সহজ হবে। ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও কমিটির সদস্য শরীফ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান (সিনিয়র প্ল্যানার) নগর উন্নয়ন অধিদফতর কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্য ও উপস্থিত স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের দেওয়া তথ্যানুসারে প্রস্তাবিত জায়গা কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলাধীন ৫টি মৌজার (চাকামাইয়া, গামুরীবুনিয়া, তারিকাটা, উত্তর টিয়াখালী ও নীলগঞ্জ) মধ্যে অবস্থিত।

প্রস্তাবিত স্থান জিওলজিক্যালি Poor Area ও হাইড্রোলজিক্যালি Suitable Area এর মধ্যে অবস্থিত এবং Criticla Habitate নেই। এ এলাকার বাতাসের গতিবেগ সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য স্থানীয় আবহাওয়া অফিস, খেপুপাড়ার তথ্যমতে, আবহাওয়া অধিদফতর, ঢাকা হতে বিগত ৩০ বছরের তথ্য নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য হতে প্রতীয়মান হয় যে, প্রায় উত্তর-দক্ষিণ ৩৫০ ডিগ্রি-১৭০ ডিগ্রি ম্যাগনেটিক অনুযায়ী বিমানবন্দর নির্মাণের স্থান চিহ্নিত হবে। তবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক হতে প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণ করা হলে শুধু পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।

অন্যদিকে অন্যান্য জেলা হতে স্থানটি সেন্ট্রাল অবস্থানে নেই। পায়রা সমুদ্রবন্দরের কার্যকারিতা, কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের বিকাশ, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় অন্যান্য শিল্প কারখানা স্থাপনসহ ব্যাপক অথনৈতিক উন্নয়ন সাধন হওয়া সাপেক্ষে প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে কমিটি একমত পোষণ করে।

উল্লেখ্য যে, বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যতীত সব বিমানবন্দর লোকসানে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়েও কমিটি একমত পোষণ করে। কমিটির সুপারিশে বলা হয়, পায়রা সমুদ্রবন্দরের কার্যকারিতা, কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের বিকাশ, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় অন্যান্য শিল্প কারখানা স্থাপনসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের বিষয়টি যাচাই করে ম্যাপে প্রদর্শিত স্থানটি বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য চিহ্নিত করা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুয়াকাটাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ বহু আগে শুরু হলেও মূলত ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার বিস্তৃত এ সৈকত। সমুদ্র্রের গর্জন, উথাল-পাথাল ঢেউ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, দীর্ঘতম সৈকত প্রতিনিয়তই আকৃষ্ট করে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের।

ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি অর্জন করেছে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটা। পর্যটকদের কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল। এ কারণে বেড়েছে প্রশাসনিক নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা। সৈকতের কোলঘেঁষে রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল। এ ছাড়া সুন্দরবনেও প্রচুর পর্যটক ভ্রমণে আসেন। কিন্তু এখনও স্থানীয়ভাবে যোগাযোগব্যবস্থা অতটা উন্নত হয়নি। আকাশপথের সুযোগ না থাকায় দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আসছেন না। বিশ্বব্যাপী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরকে পরিচিত করার জন্য বিমানবন্দরের বিকল্প নেই। বিমানবন্দর হলে খুব সহজেই বিদেশিরা এখানে আসবেন। সময় বাঁচাতে কিংবা প্রথম বিমানভ্রমণের স্বাদ পেতে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের মতো এই অঞ্চলেরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে হোটেল-মোটেলও। এ অবস্থায় এখানে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। অর্থসংস্থান করতে পারলে এখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করব।

নাগরিক প্রতিবেদন

১০ এপ্রিল, ২০২৪,  3:49 PM

news image

সম্ভাব্যতা সমীক্ষার পর কুয়াকাটা বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করেছে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণ  কমিটি । উল্লেখ্য, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণ করতে চায় সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পায়রা বন্দরে মানুষের যাতায়াত অনেক বেড়েছে। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।

ইতিমধ্যে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণ করতে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। সরেজমিন ওই এলাকা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পরিদর্শন করে কমিটি দুটি স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়েছে।

পাশাপাশি বিস্তারিতভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার পর বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ারও সুপারিশ করেছে কমিটি। বেবিচক পরিচালক (প্রশাসন) মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের কমিটি এলাকা পরিদর্শন করে গত ২৩ মার্চ তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দর নির্মাণে প্রায় ৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। কলাপাড়া বরগুনার আমতলী উপজেলার আওতাভুক্ত। প্রস্তাবিত স্থানের অধিকাংশ জমিই ফসলি অথবা খাস জমি, বসতবাড়ির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম এবং সুউচ্চ তেমন কোনো অবকাঠামো নেই। পাশাপাশি এটা দুই উপজেলার মধ্যে হওয়ায় নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণও অনেকটা সহজ হবে। ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও কমিটির সদস্য শরীফ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান (সিনিয়র প্ল্যানার) নগর উন্নয়ন অধিদফতর কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্য ও উপস্থিত স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের দেওয়া তথ্যানুসারে প্রস্তাবিত জায়গা কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলাধীন ৫টি মৌজার (চাকামাইয়া, গামুরীবুনিয়া, তারিকাটা, উত্তর টিয়াখালী ও নীলগঞ্জ) মধ্যে অবস্থিত।

প্রস্তাবিত স্থান জিওলজিক্যালি Poor Area ও হাইড্রোলজিক্যালি Suitable Area এর মধ্যে অবস্থিত এবং Criticla Habitate নেই। এ এলাকার বাতাসের গতিবেগ সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য স্থানীয় আবহাওয়া অফিস, খেপুপাড়ার তথ্যমতে, আবহাওয়া অধিদফতর, ঢাকা হতে বিগত ৩০ বছরের তথ্য নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য হতে প্রতীয়মান হয় যে, প্রায় উত্তর-দক্ষিণ ৩৫০ ডিগ্রি-১৭০ ডিগ্রি ম্যাগনেটিক অনুযায়ী বিমানবন্দর নির্মাণের স্থান চিহ্নিত হবে। তবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক হতে প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণ করা হলে শুধু পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।

অন্যদিকে অন্যান্য জেলা হতে স্থানটি সেন্ট্রাল অবস্থানে নেই। পায়রা সমুদ্রবন্দরের কার্যকারিতা, কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের বিকাশ, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় অন্যান্য শিল্প কারখানা স্থাপনসহ ব্যাপক অথনৈতিক উন্নয়ন সাধন হওয়া সাপেক্ষে প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে কমিটি একমত পোষণ করে।

উল্লেখ্য যে, বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যতীত সব বিমানবন্দর লোকসানে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়েও কমিটি একমত পোষণ করে। কমিটির সুপারিশে বলা হয়, পায়রা সমুদ্রবন্দরের কার্যকারিতা, কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের বিকাশ, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় অন্যান্য শিল্প কারখানা স্থাপনসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের বিষয়টি যাচাই করে ম্যাপে প্রদর্শিত স্থানটি বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য চিহ্নিত করা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুয়াকাটাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ বহু আগে শুরু হলেও মূলত ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার বিস্তৃত এ সৈকত। সমুদ্র্রের গর্জন, উথাল-পাথাল ঢেউ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, দীর্ঘতম সৈকত প্রতিনিয়তই আকৃষ্ট করে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের।

ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি অর্জন করেছে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটা। পর্যটকদের কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল। এ কারণে বেড়েছে প্রশাসনিক নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা। সৈকতের কোলঘেঁষে রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল। এ ছাড়া সুন্দরবনেও প্রচুর পর্যটক ভ্রমণে আসেন। কিন্তু এখনও স্থানীয়ভাবে যোগাযোগব্যবস্থা অতটা উন্নত হয়নি। আকাশপথের সুযোগ না থাকায় দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আসছেন না। বিশ্বব্যাপী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরকে পরিচিত করার জন্য বিমানবন্দরের বিকল্প নেই। বিমানবন্দর হলে খুব সহজেই বিদেশিরা এখানে আসবেন। সময় বাঁচাতে কিংবা প্রথম বিমানভ্রমণের স্বাদ পেতে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের মতো এই অঞ্চলেরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে হোটেল-মোটেলও। এ অবস্থায় এখানে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। অর্থসংস্থান করতে পারলে এখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করব।