ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝিনাইদহ ১ আসনের এমপি আব্দুল হাই-র জীবনাবসান

দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ
১৬ মার্চ, ২০২৪, 7:22 PM

ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝিনাইদহ ১ আসনের এমপি আব্দুল হাই-র জীবনাবসান
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল হাই মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহে রাজেউন)। শনিবার থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহনকারি আব্দুল হাই-এর বাবা ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও মা ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শবর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়, বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে তিনি স্নাতক শেষ করেন। রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন ঝিনাইদহ মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভঅইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নির্বাচিত হন। ওইবছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতিও নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে, জীবন বাজি রেখে তিনি ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি ঝিনাইদহ যুবলীগের আহবায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে ১৯৮৭ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে সারাদেশে মাত্র ৫৮টি আসনে বিজয় লাভ করে দীর্ঘ ৩০ বছর পর তিনি বিএনপির হাত থেকে শৈলকুপা আসনটি উদ্ধার করে আওয়ামী লীগের দখলে নেন। তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এবং ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন । ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের কাউন্সিলে জেলা আওয়ামী লীগের এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ। তার মরদহে ঝিনাইদহে নিয়ে আসা, জানাযা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ
১৬ মার্চ, ২০২৪, 7:22 PM

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল হাই মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহে রাজেউন)। শনিবার থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহনকারি আব্দুল হাই-এর বাবা ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও মা ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শবর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়, বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে তিনি স্নাতক শেষ করেন। রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন ঝিনাইদহ মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভঅইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নির্বাচিত হন। ওইবছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতিও নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে, জীবন বাজি রেখে তিনি ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি ঝিনাইদহ যুবলীগের আহবায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে ১৯৮৭ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে সারাদেশে মাত্র ৫৮টি আসনে বিজয় লাভ করে দীর্ঘ ৩০ বছর পর তিনি বিএনপির হাত থেকে শৈলকুপা আসনটি উদ্ধার করে আওয়ামী লীগের দখলে নেন। তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এবং ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন । ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের কাউন্সিলে জেলা আওয়ামী লীগের এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ। তার মরদহে ঝিনাইদহে নিয়ে আসা, জানাযা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।