শেষ মুহূর্তে বাণিজ্যমেলায় উপচেপড়া ভিড়

নাগরিক প্রতিবেদন
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 6:14 PM
শেষ মুহূর্তে বাণিজ্যমেলায় উপচেপড়া ভিড়
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের শেষ শুক্রবার ছিল গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি )। সময় শেষ হয়ে আসায় বিক্রেতা যেমন মূল্যছাড় দিয়েছেন, তেমনি উপচে পড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রের স্টল ও প্যাভিলিয়নে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিকালের পর থেকে প্রায় প্রতিটি স্টলে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। শুরুর কয়েক দিনের বেচাকেনার হতাশা কাটিয়ে মৃদু হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। পাটজাত পণ্যের প্রতিষ্ঠান ইজমা ব্যান্ডের স্বত্বাধিকারী সালমান জানান, টেকসই ও ভিন্নতা থাকায় পাটপণ্যে আকৃষ্ট হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে বাঁশ ও বেতের বুননে তৈরি মোড়া, পাটের তৈরি টেবিল-চেয়ার ও শো-পিস। এছাড়াও আছে জুতা, বিছানার চাদর, পাপোশ, কুলাসহ গৃহসজ্জার নানা পণ্যের সম্ভার। এসব পণ্যের বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো। আর এসব দৃষ্টিনন্দন পণ্য তৈরি করেছেন সশ্রম কারাবন্দিরা।
২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। একজন ডেপুটি জেলার আমাদের সময়কে বলেন, কারাগারে প্রত্যেক বন্দিরই একটা ক্যাশ থাকে। পণ্য বিক্রি করে লাভের একটা অংশের টাকা আমরা সেখানে জমা রাখি। তাতে তারা পণ্য কিনে খেতে পারে কিংবা আইনি সহায়তার খরচ নির্বাহ করতে পারে। দর্শকদের মেলামুখী করতে ব্যবসায়ীরা আকর্ষণীয় অফারে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কেনাবেচা তেমন নেই। তাই বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন পণ্যে মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। নাদিয়া ফার্নিচারের এক্সিকিউটিভ মারুফ হাসান জানান, তাদের সব পণ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নগদ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার ভেতরে হোম ডেলিভারি সম্পূর্ণ ফ্রি। ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, মেলার উত্তর দিকের পেছন গেটের পাশে ‘কার পার্কিং ক্যান্টিনে’ সব খাবারের পণ্যে গায়ের দাম থেকে ২-১০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে। দাম বেশি রাখায় বিল দিতে গিয়ে অনেক ক্রেতা তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে খাবারের স্টলগুলো। বসার স্থান না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে সেরে নেন খাওয়ার কাজ। এবারের মেলায় ফুড বাংলো, সুলতান কাচ্চি, লাইবা রেস্টুরেন্ট, পুরান ঢাকার শাহি বিরিয়ানি, হাজির বিরিয়ানি, পুরান ঢাকার চিংড়ি ঝালফ্রাই, কস্তুরি কাবাবসহ বেশ কিছু খাবারের স্টল রয়েছে। মেলায় বিভিন্ন খাবারের মধ্যে কাবাব, চিকেন মাসালা, বিরিয়ানি, হাঁসের মাংস, কাচ্চি, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চায়ের চাহিদা বেশি।
গত কয়েক দিন শীতের কারণে মেলায় ব্লেজারসহ অন্যান্য গরমের পোশাকের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা গেছে। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যমেলা শুরু হলেও এবার নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে যায় মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলে স্থায়ী কেন্দ্রে বাণিজ্যমেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
নাগরিক প্রতিবেদন
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 6:14 PM
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের শেষ শুক্রবার ছিল গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি )। সময় শেষ হয়ে আসায় বিক্রেতা যেমন মূল্যছাড় দিয়েছেন, তেমনি উপচে পড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রের স্টল ও প্যাভিলিয়নে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিকালের পর থেকে প্রায় প্রতিটি স্টলে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। শুরুর কয়েক দিনের বেচাকেনার হতাশা কাটিয়ে মৃদু হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। পাটজাত পণ্যের প্রতিষ্ঠান ইজমা ব্যান্ডের স্বত্বাধিকারী সালমান জানান, টেকসই ও ভিন্নতা থাকায় পাটপণ্যে আকৃষ্ট হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে বাঁশ ও বেতের বুননে তৈরি মোড়া, পাটের তৈরি টেবিল-চেয়ার ও শো-পিস। এছাড়াও আছে জুতা, বিছানার চাদর, পাপোশ, কুলাসহ গৃহসজ্জার নানা পণ্যের সম্ভার। এসব পণ্যের বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো। আর এসব দৃষ্টিনন্দন পণ্য তৈরি করেছেন সশ্রম কারাবন্দিরা।
২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। একজন ডেপুটি জেলার আমাদের সময়কে বলেন, কারাগারে প্রত্যেক বন্দিরই একটা ক্যাশ থাকে। পণ্য বিক্রি করে লাভের একটা অংশের টাকা আমরা সেখানে জমা রাখি। তাতে তারা পণ্য কিনে খেতে পারে কিংবা আইনি সহায়তার খরচ নির্বাহ করতে পারে। দর্শকদের মেলামুখী করতে ব্যবসায়ীরা আকর্ষণীয় অফারে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কেনাবেচা তেমন নেই। তাই বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন পণ্যে মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। নাদিয়া ফার্নিচারের এক্সিকিউটিভ মারুফ হাসান জানান, তাদের সব পণ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নগদ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার ভেতরে হোম ডেলিভারি সম্পূর্ণ ফ্রি। ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, মেলার উত্তর দিকের পেছন গেটের পাশে ‘কার পার্কিং ক্যান্টিনে’ সব খাবারের পণ্যে গায়ের দাম থেকে ২-১০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে। দাম বেশি রাখায় বিল দিতে গিয়ে অনেক ক্রেতা তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে খাবারের স্টলগুলো। বসার স্থান না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে সেরে নেন খাওয়ার কাজ। এবারের মেলায় ফুড বাংলো, সুলতান কাচ্চি, লাইবা রেস্টুরেন্ট, পুরান ঢাকার শাহি বিরিয়ানি, হাজির বিরিয়ানি, পুরান ঢাকার চিংড়ি ঝালফ্রাই, কস্তুরি কাবাবসহ বেশ কিছু খাবারের স্টল রয়েছে। মেলায় বিভিন্ন খাবারের মধ্যে কাবাব, চিকেন মাসালা, বিরিয়ানি, হাঁসের মাংস, কাচ্চি, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চায়ের চাহিদা বেশি।
গত কয়েক দিন শীতের কারণে মেলায় ব্লেজারসহ অন্যান্য গরমের পোশাকের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা গেছে। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যমেলা শুরু হলেও এবার নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে যায় মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলে স্থায়ী কেন্দ্রে বাণিজ্যমেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।